সম্পাদকীয়
সত্যজিৎ রায়কে একবারই কাছাকাছি দেখেছিলেন সৈয়দ শামসুল হক। ১৯৭৩ সালে বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে ‘অশনিসংকেত’ সিনেমার জন্য পুরস্কার পেয়েছিলেন সত্যজিৎ। এরপর তিনি এসেছিলেন লন্ডনে। উঠেছিলেন ‘প্রেসিডেন্ট’ হোটেলে। সৈয়দ হক তখন কাজ করেন বিবিসিতে।
সত্যজিতের সাক্ষাৎকার নেওয়ার ভার পড়ল সৈয়দ হক আর শ্যামল লোধের ওপর। প্রথমজন নেবেন বাংলায়, দ্বিতীয় জন ইংরেজিতে। সময় ঠিক হলো সকাল ১০টা।
বিবিসির সাংবাদিকদ্বয় হোটেলে পৌঁছালেন সকাল ১০টা ১০ মিনিটে। বিবিসি থেকে কাঁধে রেকর্ডিংয়ের যন্ত্রপাতি নিয়ে হেঁটে এক কিলোমিটার পথ এসেছিলেন দুজন। হোটেলের লাউঞ্জে ঢুকে তাঁরা দেখলেন, রিসেপশন কাউন্টারে সত্যজিৎ দাঁড়িয়ে আছেন। দীর্ঘ দেহ, গায়ে হালকা বাদামি রঙের বম্বার জ্যাকেট। ছাই রঙের ট্রাউজার।
রিসেপশনে নানা দেশের মানুষ। তাঁরা আড়ালে-আবডালে ফিসফিস করে বলছেন, ‘ওই যে রে, স্ট্যাজিট রে।’ কোনো বাঙালিকে দেখিয়ে শ্বেতাঙ্গ মানুষেরা ফিসফিস করছেন, এ এক বিরল দৃশ্য। সত্যজিতের চেহারা দেখেই তাঁরা চিনে ফেলেছেন।
সৈয়দ হক আর শ্যামল লোধকে দেখে সত্যজিৎ ঘড়ি দেখে হাসতে হাসতে বললেন, ‘বাঙালির এই বুঝি সময়? এখন বাজে ১০টা ১০।’
সাক্ষাৎকার মূলত হলো অশনিসংকেত বিষয়ে। সাক্ষাৎকার শেষে যখন উঠে আসছেন, তখন সৈয়দ হকের দিকে ফিরে সত্যজিৎ বললেন, ‘আপনি তো বাংলাদেশের মানুষ। এখন তো আর পাকিস্তান নেই। তবু পাকিস্তানি ধ্যান-ধারণা এখনো আপনাদের দেশে রয়ে গেছে বলে আমি মনে করি। আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
সেই তিয়াত্তর সালেই যেন বাংলাদেশ ভবিষ্যতে কোনো সংকটে পড়তে যাচ্ছে, তা দেখে ফেলেছিলেন সত্যজিৎ রায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখন জীবিত, তিনিই দেশের হাল ধরেছেন, অথচ তখনই ঋষির মতো সত্যজিতের চোখে ধরা পড়েছিল আমাদের জাতীয় জীবনের আসন্ন সংকটের সূত্রটি।
তবে সেই সাক্ষাৎকারেই সত্যজিৎ বলেছিলেন, ‘বাঙালির আছে প্রচুর প্রাণশক্তি। সেই শক্তি সম্পর্কে যত দিন সচেতন থাকব, তত দিন বাংলা আর বাঙালির ভয় নেই।’
সূত্র: সৈয়দ শামসুল হক, হৃৎকলমের টানে, পৃষ্ঠা ২৬১-২৬২
সত্যজিৎ রায়কে একবারই কাছাকাছি দেখেছিলেন সৈয়দ শামসুল হক। ১৯৭৩ সালে বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে ‘অশনিসংকেত’ সিনেমার জন্য পুরস্কার পেয়েছিলেন সত্যজিৎ। এরপর তিনি এসেছিলেন লন্ডনে। উঠেছিলেন ‘প্রেসিডেন্ট’ হোটেলে। সৈয়দ হক তখন কাজ করেন বিবিসিতে।
সত্যজিতের সাক্ষাৎকার নেওয়ার ভার পড়ল সৈয়দ হক আর শ্যামল লোধের ওপর। প্রথমজন নেবেন বাংলায়, দ্বিতীয় জন ইংরেজিতে। সময় ঠিক হলো সকাল ১০টা।
বিবিসির সাংবাদিকদ্বয় হোটেলে পৌঁছালেন সকাল ১০টা ১০ মিনিটে। বিবিসি থেকে কাঁধে রেকর্ডিংয়ের যন্ত্রপাতি নিয়ে হেঁটে এক কিলোমিটার পথ এসেছিলেন দুজন। হোটেলের লাউঞ্জে ঢুকে তাঁরা দেখলেন, রিসেপশন কাউন্টারে সত্যজিৎ দাঁড়িয়ে আছেন। দীর্ঘ দেহ, গায়ে হালকা বাদামি রঙের বম্বার জ্যাকেট। ছাই রঙের ট্রাউজার।
রিসেপশনে নানা দেশের মানুষ। তাঁরা আড়ালে-আবডালে ফিসফিস করে বলছেন, ‘ওই যে রে, স্ট্যাজিট রে।’ কোনো বাঙালিকে দেখিয়ে শ্বেতাঙ্গ মানুষেরা ফিসফিস করছেন, এ এক বিরল দৃশ্য। সত্যজিতের চেহারা দেখেই তাঁরা চিনে ফেলেছেন।
সৈয়দ হক আর শ্যামল লোধকে দেখে সত্যজিৎ ঘড়ি দেখে হাসতে হাসতে বললেন, ‘বাঙালির এই বুঝি সময়? এখন বাজে ১০টা ১০।’
সাক্ষাৎকার মূলত হলো অশনিসংকেত বিষয়ে। সাক্ষাৎকার শেষে যখন উঠে আসছেন, তখন সৈয়দ হকের দিকে ফিরে সত্যজিৎ বললেন, ‘আপনি তো বাংলাদেশের মানুষ। এখন তো আর পাকিস্তান নেই। তবু পাকিস্তানি ধ্যান-ধারণা এখনো আপনাদের দেশে রয়ে গেছে বলে আমি মনে করি। আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
সেই তিয়াত্তর সালেই যেন বাংলাদেশ ভবিষ্যতে কোনো সংকটে পড়তে যাচ্ছে, তা দেখে ফেলেছিলেন সত্যজিৎ রায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখন জীবিত, তিনিই দেশের হাল ধরেছেন, অথচ তখনই ঋষির মতো সত্যজিতের চোখে ধরা পড়েছিল আমাদের জাতীয় জীবনের আসন্ন সংকটের সূত্রটি।
তবে সেই সাক্ষাৎকারেই সত্যজিৎ বলেছিলেন, ‘বাঙালির আছে প্রচুর প্রাণশক্তি। সেই শক্তি সম্পর্কে যত দিন সচেতন থাকব, তত দিন বাংলা আর বাঙালির ভয় নেই।’
সূত্র: সৈয়দ শামসুল হক, হৃৎকলমের টানে, পৃষ্ঠা ২৬১-২৬২
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে