সম্পাদকীয়
১৯৫৯ সালে এমার ফিল্মস একটি ছবি প্রযোজনার কাজে হাত দিয়েছিল। সেই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সাংবাদিক জহুর হোসেন চৌধুরী ছবির সংগীত পরিচালনার দায়িত্ব দেন আবদুল আহাদকে। ছবিটির পরিচালক ছিলেন এ জে কারদার। ছবির কাহিনি আর গানগুলো লিখেছিলেন স্বনামধন্য সাহিত্যিক ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ।
ছবিটির ইংরেজিতে নাম ছিল ‘অব হিউম্যান হ্যাপিনেস’। পরে উর্দু নাম দেওয়া হয় ‘দূর হ্যায় সুখ কি গাঁও’। ছবিটির কাহিনি শুনে আবদুল আহাদ বুঝেছিলেন, এটা কোনো গতানুগতিক ছবি হবে না।
হবে নিরীক্ষাধর্মী ছবি। নিরীক্ষাধর্মী ছবির মতো করেই গানগুলোয় সুর করবেন বলে ভাবলেন আবদুল আহাদ। গানে নানাভাবে থাকবে সরোদের ব্যবহার। হারমোনিয়াম আর বেহালাও থাকবে কিছুটা। পুরুষকণ্ঠের গানে দুর্লভ একটি স্প্যানিশ পল্লিগীতির আদলে একটি সুর তৈরি করেছিলেন তিনি।
সে সময় নূরজাহান আর সেলিম রেজা ছিলেন খুবই জনপ্রিয়। ছবির গানগুলো তাঁরাই গাইবেন বলে ঠিক হলো। বাহাদুর হোসেন খানকে সহকারী হিসেবে নিয়েছিলেন আবদুল আহাদ।
যথাসময়ে লাহোরে গেলেন গান রেকর্ডিংয়ের জন্য। হোটেল ফ্যালোটিতে উঠেছিলেন তাঁরা। সেলিম রেজা হোটেলে এসে গান উঠিয়ে নিয়ে গেলেন। নূরজাহানের বাড়িতে গিয়ে গানটি শেখানো হলো। আবদুল আহাদের সঙ্গে কয়েকবার গাইলেন নূরজাহান। গানটি তাঁর খুব পছন্দ হলো।
পরদিন রেকর্ডিং হয়ে গেল। এবার ঢাকায় ফেরার পালা। এ জে কারদার এসে আবদুল আহাদকে জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘তুমি এমন রেকর্ড করেছ যে ভয় হচ্ছে আমি এ গান ঠিকমতো চিত্রায়িত করতে পারব কি না।’ আবদুল আহাদ বললেন, ‘পুরো ছবিই তো এক্সপেরিমেন্টাল। তাই চেষ্টা করেছি, গতানুগতিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে।’
কারদার বললেন, ‘আমি কিন্তু হেরে গেলাম তোমার কাছে।’
ছবিটি অবশ্য শেষ হয়নি। ছবির একেবারে শেষের দিকে প্রযোজকের সঙ্গে এ জে কারদারের মনোমালিন্য হয় ওয়ার্ল্ড রাইট নিয়ে। তাতেই ছবি বন্ধ হয়ে যায়।
সূত্র: আবদুল আহাদ, আসা যাওয়ার পথের ধারে, পৃষ্ঠা ১৫৭-১৫৯
১৯৫৯ সালে এমার ফিল্মস একটি ছবি প্রযোজনার কাজে হাত দিয়েছিল। সেই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সাংবাদিক জহুর হোসেন চৌধুরী ছবির সংগীত পরিচালনার দায়িত্ব দেন আবদুল আহাদকে। ছবিটির পরিচালক ছিলেন এ জে কারদার। ছবির কাহিনি আর গানগুলো লিখেছিলেন স্বনামধন্য সাহিত্যিক ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ।
ছবিটির ইংরেজিতে নাম ছিল ‘অব হিউম্যান হ্যাপিনেস’। পরে উর্দু নাম দেওয়া হয় ‘দূর হ্যায় সুখ কি গাঁও’। ছবিটির কাহিনি শুনে আবদুল আহাদ বুঝেছিলেন, এটা কোনো গতানুগতিক ছবি হবে না।
হবে নিরীক্ষাধর্মী ছবি। নিরীক্ষাধর্মী ছবির মতো করেই গানগুলোয় সুর করবেন বলে ভাবলেন আবদুল আহাদ। গানে নানাভাবে থাকবে সরোদের ব্যবহার। হারমোনিয়াম আর বেহালাও থাকবে কিছুটা। পুরুষকণ্ঠের গানে দুর্লভ একটি স্প্যানিশ পল্লিগীতির আদলে একটি সুর তৈরি করেছিলেন তিনি।
সে সময় নূরজাহান আর সেলিম রেজা ছিলেন খুবই জনপ্রিয়। ছবির গানগুলো তাঁরাই গাইবেন বলে ঠিক হলো। বাহাদুর হোসেন খানকে সহকারী হিসেবে নিয়েছিলেন আবদুল আহাদ।
যথাসময়ে লাহোরে গেলেন গান রেকর্ডিংয়ের জন্য। হোটেল ফ্যালোটিতে উঠেছিলেন তাঁরা। সেলিম রেজা হোটেলে এসে গান উঠিয়ে নিয়ে গেলেন। নূরজাহানের বাড়িতে গিয়ে গানটি শেখানো হলো। আবদুল আহাদের সঙ্গে কয়েকবার গাইলেন নূরজাহান। গানটি তাঁর খুব পছন্দ হলো।
পরদিন রেকর্ডিং হয়ে গেল। এবার ঢাকায় ফেরার পালা। এ জে কারদার এসে আবদুল আহাদকে জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘তুমি এমন রেকর্ড করেছ যে ভয় হচ্ছে আমি এ গান ঠিকমতো চিত্রায়িত করতে পারব কি না।’ আবদুল আহাদ বললেন, ‘পুরো ছবিই তো এক্সপেরিমেন্টাল। তাই চেষ্টা করেছি, গতানুগতিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে।’
কারদার বললেন, ‘আমি কিন্তু হেরে গেলাম তোমার কাছে।’
ছবিটি অবশ্য শেষ হয়নি। ছবির একেবারে শেষের দিকে প্রযোজকের সঙ্গে এ জে কারদারের মনোমালিন্য হয় ওয়ার্ল্ড রাইট নিয়ে। তাতেই ছবি বন্ধ হয়ে যায়।
সূত্র: আবদুল আহাদ, আসা যাওয়ার পথের ধারে, পৃষ্ঠা ১৫৭-১৫৯
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১১ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৩ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে