সম্পাদকীয়
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কবিতা লিখতে শুরু করেছিলেন কৈশোর থেকে। তাঁর প্রিয় মানুষ গৌরমোহন মুখোপাধ্যায়ের নির্দেশ মানতেন তিনি। গৌরমোহনের কথা ছিল ‘নট এ ডে উইদাউট এ লাইন’। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়েছিলেন, ‘কোন কবিতা ছাপতে দিতে হবে, কোনটা নয়, সেটা তুমি নিজেই বুঝতে পারবে।’
এরপর শক্তি চট্টোপাধ্যায়। শক্তি চট্টোপাধ্যায় তখন আপ্রাণ চেষ্টা করছেন, কবিতা যেন রবীন্দ্রনাথের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসে। আর এই বেরিয়ে আসার জন্য কী পরিমাণ সংগ্রাম করতে হয়েছে কবিদের, সেই গল্প শুনতে শুনতেই কবিতার সঙ্গে বসবাস পোক্ত হলো সৌমিত্রের।
ক্লাস টেনে থাকতে কবিতা লেখার শুরু। বাবার বদলির চাকরি হওয়ায় অল্প বয়সেই নানা রকম পরিবেশে থেকেছেন, উপভোগ করেছেন প্রকৃতির ভালোবাসা। মনের মধ্যে দানা বাঁধতে শুরু করেছে রোমান্টিক আবেগ। কীভাবে সে আবেগ ব্যক্ত করবেন সৌমিত্র? সে জন্যই বেছে নিয়েছিলেন কবিতাকে।
মানের দিক থেকে কেমন ছিল সে কবিতা? সৌমিত্রেরই মনে হতো, সেগুলো ছিল রদ্দি মাল। রবীন্দ্রনাথের ছায়া থেকে বের হতে পারছিলেন না তিনি। নিজের মতো হয়ে ওঠা হচ্ছিল না একেবারে। সে সময় শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের নামডাক হয়েছে। তাঁর কবিতাগুলো বাংলা সাহিত্যে এক একটা ল্যান্ডমার্ক হয়ে উঠছে। তিনি সৌমিত্রকে পাত্তা না দিলে কিছুই আসত-যেত না। কিন্তু শক্তি সে কাজটি করেননি; বরং আগ্রহ নিয়ে সৌমিত্রের কবিতা শুনেছেন। কখনো কবিতা শুনে বলতেন, ‘পুলু (সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ডাক নাম), এটা একটু রবীন্দ্রনাথ হয়ে গেল না?’
কী করলে লেখা রবীন্দ্রনাথের মতো হয়ে উঠবে না, সে চেষ্টা সৌমিত্রকে করতে হয়েছে। আস্তে আস্তে রবীন্দ্র-প্রভাব এড়িয়ে নিজের পথের দেখা পেয়েছেন সৌমিত্র। আর তখনই শক্তি বলেছেন, ‘পুলু, এবার বই বের করো।’ শুধু কি তাই? সৌমিত্রের জন্য প্রকাশকও খুঁজে দিয়েছিলেন শক্তি চট্টোপাধ্যায়। সেটা ছিল ১৯৭৫ সাল।
সূত্র: পায়েল সেনগুপ্ত, দেশ, ডিসেম্বর ২০২০ সংখ্যা, পৃষ্ঠা ৩৬-৩৭
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কবিতা লিখতে শুরু করেছিলেন কৈশোর থেকে। তাঁর প্রিয় মানুষ গৌরমোহন মুখোপাধ্যায়ের নির্দেশ মানতেন তিনি। গৌরমোহনের কথা ছিল ‘নট এ ডে উইদাউট এ লাইন’। তবে তিনি সতর্ক করে দিয়েছিলেন, ‘কোন কবিতা ছাপতে দিতে হবে, কোনটা নয়, সেটা তুমি নিজেই বুঝতে পারবে।’
এরপর শক্তি চট্টোপাধ্যায়। শক্তি চট্টোপাধ্যায় তখন আপ্রাণ চেষ্টা করছেন, কবিতা যেন রবীন্দ্রনাথের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসে। আর এই বেরিয়ে আসার জন্য কী পরিমাণ সংগ্রাম করতে হয়েছে কবিদের, সেই গল্প শুনতে শুনতেই কবিতার সঙ্গে বসবাস পোক্ত হলো সৌমিত্রের।
ক্লাস টেনে থাকতে কবিতা লেখার শুরু। বাবার বদলির চাকরি হওয়ায় অল্প বয়সেই নানা রকম পরিবেশে থেকেছেন, উপভোগ করেছেন প্রকৃতির ভালোবাসা। মনের মধ্যে দানা বাঁধতে শুরু করেছে রোমান্টিক আবেগ। কীভাবে সে আবেগ ব্যক্ত করবেন সৌমিত্র? সে জন্যই বেছে নিয়েছিলেন কবিতাকে।
মানের দিক থেকে কেমন ছিল সে কবিতা? সৌমিত্রেরই মনে হতো, সেগুলো ছিল রদ্দি মাল। রবীন্দ্রনাথের ছায়া থেকে বের হতে পারছিলেন না তিনি। নিজের মতো হয়ে ওঠা হচ্ছিল না একেবারে। সে সময় শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের নামডাক হয়েছে। তাঁর কবিতাগুলো বাংলা সাহিত্যে এক একটা ল্যান্ডমার্ক হয়ে উঠছে। তিনি সৌমিত্রকে পাত্তা না দিলে কিছুই আসত-যেত না। কিন্তু শক্তি সে কাজটি করেননি; বরং আগ্রহ নিয়ে সৌমিত্রের কবিতা শুনেছেন। কখনো কবিতা শুনে বলতেন, ‘পুলু (সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ডাক নাম), এটা একটু রবীন্দ্রনাথ হয়ে গেল না?’
কী করলে লেখা রবীন্দ্রনাথের মতো হয়ে উঠবে না, সে চেষ্টা সৌমিত্রকে করতে হয়েছে। আস্তে আস্তে রবীন্দ্র-প্রভাব এড়িয়ে নিজের পথের দেখা পেয়েছেন সৌমিত্র। আর তখনই শক্তি বলেছেন, ‘পুলু, এবার বই বের করো।’ শুধু কি তাই? সৌমিত্রের জন্য প্রকাশকও খুঁজে দিয়েছিলেন শক্তি চট্টোপাধ্যায়। সেটা ছিল ১৯৭৫ সাল।
সূত্র: পায়েল সেনগুপ্ত, দেশ, ডিসেম্বর ২০২০ সংখ্যা, পৃষ্ঠা ৩৬-৩৭
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে