নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে ১৫ দিনের মধ্যে চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে স্কুলে থাকা ল্যাপটপ, সিলিং ফ্যান, ঘণ্টা ও বৈদ্যুতিক বাল্বসহ নানা জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। এসব চুরির ঘটনায় স্কুলের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

এতে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এমনকি চুরি যাওয়া মালামালও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। মোহনগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বিশ্বজিৎ সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত এক বছরে ১৫টির বেশি স্কুলে রাতের বেলায় তালা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটেছে।

এর মধ্যে গত ১৫ দিনেই চারটি স্কুলে চুরির ঘটনা ঘটেছে। স্কুলের ল্যাপটপ ও সিলিং ফ্যানসহ নানা মালামাল নিয়ে গেছে। তবে এ পর্যন্ত একটি মালামালও উদ্ধার হয়নি। কোনো চোরও গ্রেপ্তার হয়নি। তবে সব ঘটনার পরই থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

শিক্ষা অফিস ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি উপজেলার বসন্তিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলুংকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সোনারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বড়তলী-বানিয়াহারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটে। এসব বিদ্যালয়ে নেই কোনো নৈশপ্রহরী। এ ছাড়া বাউন্ডারি দেয়াল না থাকায় রাতে তালা ভেঙে একটি ল্যাপটপ, ৮-১০টি সিলিং ফ্যানসহ নানা মালামাল নিয়ে যায়। এসব চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

স্কুলে চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এসব ঘটনায় তদন্ত চলছে। আমি ছুটিতে আছি। থানার এসআই তাজুল ইসলাম এ বিষয়ে তদন্ত করছেন তাঁকে জিজ্ঞাসা করুন।

এ বিষয়ে এসআই তাজুল ইসলাম বলেন, ওই স্কুলগুলোয় নৈশপ্রহরী নেই। বাউন্ডারি দেওয়ালও নেই। ফলে খোলা জায়গায় রাতে তালা ভেঙে চুরি হয়। স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের এ বিষয়ে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে বলেছি। তদন্ত চলছে। আশা করছি চুরি যাওয়া মালমাল উদ্ধার করা সম্ভব হবে।