মো. শামীম রেজা, রাজবাড়ী
এক বছরের মতো বাকি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের। এরই মধ্যে ভোটারদের দৃষ্টি কাড়তে সারা দেশে শুরু হয়েছে দল ও মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তৎপরতা। সেই ধারাবাহিকতা চলছে রাজবাড়ী-১ আসনেও। জেলার সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসন। আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এবারও এই আসনের দখল ধরে রাখতে চায় ক্ষমতাসীন দল। তাই ভোটের মাঠে এরই মধ্যে নিজের উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন পাঁচবারের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী। অন্য নেতাদের উপস্থিতিও সরব। তবে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা আসনটিতে এখনো নীরব। তাঁরা কেন্দ্রের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছেন।
সাধারণ ভোটাররা বলছেন, ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দলের প্রার্থীদের উপস্থিতি তেমন নেই। প্রার্থীরা যেহেতু মাঠে নেই, তাই এ মুহূর্তে বলা মুশকিল, কাকে নির্বাচিত করবেন। তবে যেসব প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেবেন, তাঁদের মধ্য থেকে যোগ্য প্রার্থীকে বেছে নেবেন বলে জানান তাঁরা।
পরিসংখ্যান বলছে, বরাবরই এই আসনে এগিয়ে আওয়ামী লীগ। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আসনটিতে জয়লাভ করেন জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন নেতা আব্দুল ওয়াজেদ চৌধুরী। বার্ধক্যের কারণে ১৯৯২ সালে তাঁর মৃত্যু হলে রাজবাড়ী-১ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। পরে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিটে কাজী কেরামত আলী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৬ সালেও তিনি জয়লাভ করেন। তবে ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের কাছে তিনি পরাজিত হন।
কাজী কেরামত আলী ২০০৮ সালের নির্বাচনে আবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হন। ওই নির্বাচনে চারদলীয় জোটের প্রার্থী আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে আসনটি পুনরুদ্ধার করেন তিনি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কাজী কেরামত আলী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন তিনি। এ নিয়ে পাঁচবার তিনি এই আসনের সংসদ সদস্য।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বলছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী এবারও দলের কাছে মনোনয়ন চাইবেন। এ ছাড়া রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল জব্বার, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আকবর আলী মর্জি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, সাবেক সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য কামরুন্নাহার চৌধুরী লাভলী, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সালমা চৌধুরী রুমা ও রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন।
এদিকে বিএনপি এখনো রয়েছে কেন্দ্রের নির্দেশনার অপেক্ষায়। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে এই আসনে দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন তিনবারের নির্বাচিত রাজবাড়ী পৌরসভার চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম। এ ছাড়া রয়েছেন সাবেক সহসভাপতি আসলাম মিয়া, সাবেক মেয়র তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া।
জানতে চাইলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক লিয়াকত আলী বলেন, ‘আমাদের একটাই শর্ত, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন না হলে বিএনপি তাতে অংশ নেবে না। যদি নির্বাচন করার মতো পরিস্থিতি আসে, তাহলে বিএনপি অবশ্যই নির্বাচনে যাবে এবং সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হবে।’
রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আব্দুল জব্বার বলেন, এই সরকারের আমলে পদ্মা সেতু হয়েছে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। জনগণ শুধু আওয়ামী লীগকে চায়।’
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাশাপাশি মাঠে রয়েছে জাতীয় পার্টির নেতারাও। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন চাইতে পারেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হাবিবুর রহমান বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক মোকসেদুর রহমান মমিন।
এক বছরের মতো বাকি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের। এরই মধ্যে ভোটারদের দৃষ্টি কাড়তে সারা দেশে শুরু হয়েছে দল ও মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তৎপরতা। সেই ধারাবাহিকতা চলছে রাজবাড়ী-১ আসনেও। জেলার সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসন। আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এবারও এই আসনের দখল ধরে রাখতে চায় ক্ষমতাসীন দল। তাই ভোটের মাঠে এরই মধ্যে নিজের উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন পাঁচবারের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী। অন্য নেতাদের উপস্থিতিও সরব। তবে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা আসনটিতে এখনো নীরব। তাঁরা কেন্দ্রের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছেন।
সাধারণ ভোটাররা বলছেন, ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দলের প্রার্থীদের উপস্থিতি তেমন নেই। প্রার্থীরা যেহেতু মাঠে নেই, তাই এ মুহূর্তে বলা মুশকিল, কাকে নির্বাচিত করবেন। তবে যেসব প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেবেন, তাঁদের মধ্য থেকে যোগ্য প্রার্থীকে বেছে নেবেন বলে জানান তাঁরা।
পরিসংখ্যান বলছে, বরাবরই এই আসনে এগিয়ে আওয়ামী লীগ। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আসনটিতে জয়লাভ করেন জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন নেতা আব্দুল ওয়াজেদ চৌধুরী। বার্ধক্যের কারণে ১৯৯২ সালে তাঁর মৃত্যু হলে রাজবাড়ী-১ আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। পরে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিটে কাজী কেরামত আলী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৬ সালেও তিনি জয়লাভ করেন। তবে ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের কাছে তিনি পরাজিত হন।
কাজী কেরামত আলী ২০০৮ সালের নির্বাচনে আবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হন। ওই নির্বাচনে চারদলীয় জোটের প্রার্থী আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে আসনটি পুনরুদ্ধার করেন তিনি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কাজী কেরামত আলী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন তিনি। এ নিয়ে পাঁচবার তিনি এই আসনের সংসদ সদস্য।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বলছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী এবারও দলের কাছে মনোনয়ন চাইবেন। এ ছাড়া রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল জব্বার, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আকবর আলী মর্জি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, সাবেক সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য কামরুন্নাহার চৌধুরী লাভলী, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সালমা চৌধুরী রুমা ও রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন।
এদিকে বিএনপি এখনো রয়েছে কেন্দ্রের নির্দেশনার অপেক্ষায়। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে এই আসনে দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন তিনবারের নির্বাচিত রাজবাড়ী পৌরসভার চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম। এ ছাড়া রয়েছেন সাবেক সহসভাপতি আসলাম মিয়া, সাবেক মেয়র তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া।
জানতে চাইলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক লিয়াকত আলী বলেন, ‘আমাদের একটাই শর্ত, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন না হলে বিএনপি তাতে অংশ নেবে না। যদি নির্বাচন করার মতো পরিস্থিতি আসে, তাহলে বিএনপি অবশ্যই নির্বাচনে যাবে এবং সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হবে।’
রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির আব্দুল জব্বার বলেন, এই সরকারের আমলে পদ্মা সেতু হয়েছে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। জনগণ শুধু আওয়ামী লীগকে চায়।’
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাশাপাশি মাঠে রয়েছে জাতীয় পার্টির নেতারাও। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন চাইতে পারেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হাবিবুর রহমান বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক মোকসেদুর রহমান মমিন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে