দুর্গাপুর প্রতিনিধি
দুর্গাপুরে তিন ফসলি কৃষিজমি নষ্ট করে অবৈধভাবে পুকুর খনন চলছে। এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগের দুটি খুঁটি। এ ছাড়া পুকুর খননের মাটি বিক্রি হচ্ছে ইটভাটাসহ নানা জায়গায়। ট্রাকে মাটি পরিবহনে ওই এলাকার রাস্তাঘাটও হয়েছে বেহাল।
উপজেলার কিসমত গণকৈড় ইউনিয়নের কয়ামাজমপুর পূর্বপাড়া বাবলাকান্দর এলাকায় অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে ফসলি জমি নষ্ট করে এ পুকুর খনন করছেন ওই এলাকার মোখলেছুর রহমান নামের এক ব্যক্তি। অবৈধ পুকুর খননে স্থানীয় প্রশাসনসহ যাবতীয় কর্তাব্যক্তিদের ম্যানেজ করার দায়িত্ব নিয়েছেন পুকুর খননের এক্সকাভেটরের মালিক জাহাঙ্গীর আলম। বিগত বছরগুলোতে ফসলি জমি নষ্ট করে পুকুর খননের অপরাধে এই জাহাঙ্গীর আলমকে একাধিকবার কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ড করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতে। এরপরও থেমে নেই তাঁর পুকুর খনন কার্যক্রম।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, কয়ামাজমপুর গ্রামে গত কয়েক বছরের অসংখ্য পুকুর খনন হয়েছে। এখন অবশিষ্ট কৃষিজমি নেই বললেই চলে। কয়ামাজমপুর পূর্বপাড়া বাবলাকান্দর বিলে প্রভাবশালী মোখলেছুর রহমান হঠাৎ করে কৃষিজমি নষ্ট করে পুকুর শুরু করেন। খনন করা পুকুরের মধ্যে পড়েছে দুটি বিদ্যুতের খুঁটি। তিনি যেখানে পুকুর খনন শুরু করেছেন, সেখানে কৃষকেরা ধানসহ বিভিন্ন ফসল আবাদ করেন। ওই বিলে পুকুর খনন হলে ওই এলাকার সব ফসলি জমি পতিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অতিরিক্ত টাকার লোভ দেখিয়ে মোখলেছুর রহমান কৃষকদের জমি দখল করে পুকুর খনন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর এ কাজের সহযোগী এক্সকাভেটরের মালিক জাহাঙ্গীর আলম। বাবলাকান্দরে পুকুর খনন হলে বর্ষাকালে ওই বিলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। এতে কৃষকদের সব ফসলি জমি পতিত হয়ে পড়বে। এলাকার কৃষকেরা পুকুর খননে বাধা দিলে মিলছে হুমকি-ধমকি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘মাঝারি ধরনের একটা পুকুর হচ্ছে। প্রশাসনিক অনুমতি নেওয়া, নাকি না নেওয়া—আমি কিছুই বলতে পারব না। সবকিছুর দায়িত্ব নিয়েছেন এক্সকাভেটরের মালিক জাহাঙ্গীর আলম। আমি শুধু টাকা দিচ্ছি আর তিনিই সবকিছু করছেন।’
এস্ককাভেটরের মালিক জাহাঙ্গীর আলম জানান, ওপরের সঙ্গে যোগাযোগ করেই তিনি পুকুর খনন করছেন। তিনি এ পুকুর খননে দুর্গাপুর সদর বাজারের বাপ্পি নামের এক ব্যক্তির গায়ে দোষ চাপিয়ে বলেন, ‘বাপ্পি ভাই প্রশাসন ম্যানেজ করার দায়িত্ব নিয়েছেন।’
দুর্গাপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আরিফুল কবীর মো. শোয়াইব বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে অবৈধ পুকুর খননের ফলে এই এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের সংযোগ টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পুকুর খননের ফলে ভবিষ্যতে আরও কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হতে পারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে। এ বিষয়ে প্রায় মাসিক মিটিংয়ে কথা বলি। কিন্তু পুকুর খনন বন্ধ হয় না।’
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল রানা বলেন, ‘কিছুতেই পুকুর খনন হতে দেওয়া হবে না। কৃষিজমি রক্ষা ও বিদ্যুতের সংযোগের সুরক্ষায় যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি দ্রুত ওই এলাকার পুকুর খননকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
দুর্গাপুরে তিন ফসলি কৃষিজমি নষ্ট করে অবৈধভাবে পুকুর খনন চলছে। এতে ঝুঁকির মুখে পড়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগের দুটি খুঁটি। এ ছাড়া পুকুর খননের মাটি বিক্রি হচ্ছে ইটভাটাসহ নানা জায়গায়। ট্রাকে মাটি পরিবহনে ওই এলাকার রাস্তাঘাটও হয়েছে বেহাল।
উপজেলার কিসমত গণকৈড় ইউনিয়নের কয়ামাজমপুর পূর্বপাড়া বাবলাকান্দর এলাকায় অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে ফসলি জমি নষ্ট করে এ পুকুর খনন করছেন ওই এলাকার মোখলেছুর রহমান নামের এক ব্যক্তি। অবৈধ পুকুর খননে স্থানীয় প্রশাসনসহ যাবতীয় কর্তাব্যক্তিদের ম্যানেজ করার দায়িত্ব নিয়েছেন পুকুর খননের এক্সকাভেটরের মালিক জাহাঙ্গীর আলম। বিগত বছরগুলোতে ফসলি জমি নষ্ট করে পুকুর খননের অপরাধে এই জাহাঙ্গীর আলমকে একাধিকবার কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ড করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতে। এরপরও থেমে নেই তাঁর পুকুর খনন কার্যক্রম।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, কয়ামাজমপুর গ্রামে গত কয়েক বছরের অসংখ্য পুকুর খনন হয়েছে। এখন অবশিষ্ট কৃষিজমি নেই বললেই চলে। কয়ামাজমপুর পূর্বপাড়া বাবলাকান্দর বিলে প্রভাবশালী মোখলেছুর রহমান হঠাৎ করে কৃষিজমি নষ্ট করে পুকুর শুরু করেন। খনন করা পুকুরের মধ্যে পড়েছে দুটি বিদ্যুতের খুঁটি। তিনি যেখানে পুকুর খনন শুরু করেছেন, সেখানে কৃষকেরা ধানসহ বিভিন্ন ফসল আবাদ করেন। ওই বিলে পুকুর খনন হলে ওই এলাকার সব ফসলি জমি পতিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অতিরিক্ত টাকার লোভ দেখিয়ে মোখলেছুর রহমান কৃষকদের জমি দখল করে পুকুর খনন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর এ কাজের সহযোগী এক্সকাভেটরের মালিক জাহাঙ্গীর আলম। বাবলাকান্দরে পুকুর খনন হলে বর্ষাকালে ওই বিলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। এতে কৃষকদের সব ফসলি জমি পতিত হয়ে পড়বে। এলাকার কৃষকেরা পুকুর খননে বাধা দিলে মিলছে হুমকি-ধমকি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘মাঝারি ধরনের একটা পুকুর হচ্ছে। প্রশাসনিক অনুমতি নেওয়া, নাকি না নেওয়া—আমি কিছুই বলতে পারব না। সবকিছুর দায়িত্ব নিয়েছেন এক্সকাভেটরের মালিক জাহাঙ্গীর আলম। আমি শুধু টাকা দিচ্ছি আর তিনিই সবকিছু করছেন।’
এস্ককাভেটরের মালিক জাহাঙ্গীর আলম জানান, ওপরের সঙ্গে যোগাযোগ করেই তিনি পুকুর খনন করছেন। তিনি এ পুকুর খননে দুর্গাপুর সদর বাজারের বাপ্পি নামের এক ব্যক্তির গায়ে দোষ চাপিয়ে বলেন, ‘বাপ্পি ভাই প্রশাসন ম্যানেজ করার দায়িত্ব নিয়েছেন।’
দুর্গাপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আরিফুল কবীর মো. শোয়াইব বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে অবৈধ পুকুর খননের ফলে এই এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের সংযোগ টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পুকুর খননের ফলে ভবিষ্যতে আরও কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হতে পারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে। এ বিষয়ে প্রায় মাসিক মিটিংয়ে কথা বলি। কিন্তু পুকুর খনন বন্ধ হয় না।’
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহেল রানা বলেন, ‘কিছুতেই পুকুর খনন হতে দেওয়া হবে না। কৃষিজমি রক্ষা ও বিদ্যুতের সংযোগের সুরক্ষায় যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি দ্রুত ওই এলাকার পুকুর খননকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে