মো. জাকিরুল ইসলাম, হালুয়াঘাট
হালুয়াঘাট উপজেলায় রমজান মাসের শুরু থেকেই ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে ভোগান্তি বেড়েছে সাধারণ মানুষের। ইফতার, সাহ্রি এমনকি নামাজের সময় অতিরিক্ত লোডশেডিং হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, গ্যাস-সংকটের জন্য সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ সপ্তাহের মধ্যে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে বিদ্যুৎবিভ্রাট নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। উপজেলার ধুরাইল এলাকার বাসিন্দা আল আমিন ক্ষোভ নিয়ে বলেন, ‘এত লোডশেডিং হচ্ছে, নামাজ-ইফতার কিছুই বাদ যাচ্ছে না। সারা দিন রোজা রেখে মানুষ শান্তিতে ইফতার ও তারাবিহ নামাজ পড়বে, তাও পারছে না। অন্তত নামাজ ও ইফতারের সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ করলেও অনেক উপকার হয়।’
উপজেলার বিলডোরা এলাকার ব্যবসায়ী মানিক বলেন, ‘বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় বেশি ভোগান্তিতে পড়ি আমরা। বিশেষ করে যাঁরা কম্পিউটারের দোকাদার তাঁদের। বিদ্যুৎ একবার চলে গেলে কখন আসবে, তার কোনো নিশ্চয়তা থাকে না। আমরা কম্পিউটারে কম্পোজ, ফটোকপি করি। এগুলো বিদ্যুৎ ছাড়া কাজ হয় না। অনেকের গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকলেও করা যায় না।’
গোরকপুর এলাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, ‘সরকার তো বলছে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ রয়েছে। তবে এত লোডশেডিং কেন? জরুরি ভিত্তিতে একটি ডকুমেন্ট আমার ঢাকায় পাঠানোর দরকার ছিল। কিন্তু সময়মতো বিদ্যুৎ না থাকায় পাঠাতে পারিনি।’
কলেজশিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, ‘সারা দিনে কখন বিদ্যুৎ আসে আর কখন চলে যায়, কেউ টের পায় না। সারা দিন রোজা রেখে রাতে পড়াশোনা করা যায় না, বিদ্যুৎ থাকে না। আমরা এর স্থায়ী সমাধান চাই।’
এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩-এর হালুয়াঘাট জোনাল কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ইফতার, সাহ্রি ও নামাজের সময় যেন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়, সে জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৫১ দশমিক ৮৭ ভাগ গ্যাসনির্ভর। গ্যাস-সংকটের কারণে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে অতিরিক্ত লোডশেডিং হচ্ছে। এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সাংসদ জুয়েল আরেংয়ের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, বিভিন্ন সংকট কাটিয়ে এ সপ্তাহের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সাংসদ জুয়েল আরেং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে জানিয়েছেন, হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়ার পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে। বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয় তাঁদের সঙ্গে। তারা এক সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
পল্লী বিদ্যুতের হালুয়াঘাট জোনাল ম্যানেজার মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘গ্যাস-সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি রয়েছে। আমরা আমাদের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। আশা করছি, এ সমস্যা আগামী সপ্তাহের মধ্যে সমাধান হবে।’ সমাধানের আগ পর্যন্ত সবার সহযোগিতা চান তিনি।
হালুয়াঘাট উপজেলায় রমজান মাসের শুরু থেকেই ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে ভোগান্তি বেড়েছে সাধারণ মানুষের। ইফতার, সাহ্রি এমনকি নামাজের সময় অতিরিক্ত লোডশেডিং হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, গ্যাস-সংকটের জন্য সাময়িকভাবে বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ সপ্তাহের মধ্যে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে বিদ্যুৎবিভ্রাট নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। উপজেলার ধুরাইল এলাকার বাসিন্দা আল আমিন ক্ষোভ নিয়ে বলেন, ‘এত লোডশেডিং হচ্ছে, নামাজ-ইফতার কিছুই বাদ যাচ্ছে না। সারা দিন রোজা রেখে মানুষ শান্তিতে ইফতার ও তারাবিহ নামাজ পড়বে, তাও পারছে না। অন্তত নামাজ ও ইফতারের সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ করলেও অনেক উপকার হয়।’
উপজেলার বিলডোরা এলাকার ব্যবসায়ী মানিক বলেন, ‘বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় বেশি ভোগান্তিতে পড়ি আমরা। বিশেষ করে যাঁরা কম্পিউটারের দোকাদার তাঁদের। বিদ্যুৎ একবার চলে গেলে কখন আসবে, তার কোনো নিশ্চয়তা থাকে না। আমরা কম্পিউটারে কম্পোজ, ফটোকপি করি। এগুলো বিদ্যুৎ ছাড়া কাজ হয় না। অনেকের গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকলেও করা যায় না।’
গোরকপুর এলাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, ‘সরকার তো বলছে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ রয়েছে। তবে এত লোডশেডিং কেন? জরুরি ভিত্তিতে একটি ডকুমেন্ট আমার ঢাকায় পাঠানোর দরকার ছিল। কিন্তু সময়মতো বিদ্যুৎ না থাকায় পাঠাতে পারিনি।’
কলেজশিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, ‘সারা দিনে কখন বিদ্যুৎ আসে আর কখন চলে যায়, কেউ টের পায় না। সারা দিন রোজা রেখে রাতে পড়াশোনা করা যায় না, বিদ্যুৎ থাকে না। আমরা এর স্থায়ী সমাধান চাই।’
এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩-এর হালুয়াঘাট জোনাল কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ইফতার, সাহ্রি ও নামাজের সময় যেন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়, সে জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৫১ দশমিক ৮৭ ভাগ গ্যাসনির্ভর। গ্যাস-সংকটের কারণে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে অতিরিক্ত লোডশেডিং হচ্ছে। এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সাংসদ জুয়েল আরেংয়ের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, বিভিন্ন সংকট কাটিয়ে এ সপ্তাহের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সাংসদ জুয়েল আরেং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে জানিয়েছেন, হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়ার পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে। বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয় তাঁদের সঙ্গে। তারা এক সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
পল্লী বিদ্যুতের হালুয়াঘাট জোনাল ম্যানেজার মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘গ্যাস-সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি রয়েছে। আমরা আমাদের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। আশা করছি, এ সমস্যা আগামী সপ্তাহের মধ্যে সমাধান হবে।’ সমাধানের আগ পর্যন্ত সবার সহযোগিতা চান তিনি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে