গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের গুরুদাসপুরে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চলনবিলের অনেক চাষিরা। চৈত্রের তাপদাহ ও বৃষ্টি না থাকার কারণে পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। এ কারণে ধানখেতে পানি দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কৃষকদের।
গতকাল শুক্রবার চলনবিলের বিলশা, রুহাই, পিপলা সাবগাড়ি মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, মোটর ও শ্যালোইঞ্জিন চালিত মেশিনে পানি উঠছে না। আবার কোথাও পানি উঠছে অল্প অল্প করে। এতে করে সেচকাজে কৃষকের খরচ বেশি হচ্ছে। কোথাও আবার শ্যালোইঞ্জিন চালিত মেশিন বিভিন্ন নালায় বসিয়ে জমিতে পানি দিচ্ছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, এ বছর চলনবিল এলাকায় ৫ হাজার ৪০০ হেক্টরে বোরো ধান, উফশী ৪ হাজার ৯০০ হেক্টরে, হাইব্রিড ৫০০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। উফশী জাতের ধানের মধ্য অন্যতম ব্রি-২৯, ব্রি-৮১, ব্রি-৮৪, ব্রি-৮৯। হাইব্রিড ধানের মধ্য এস এল-৮, পারটেক্স-৬ ও হিরাসহ নানা প্রজাতির ধান চলনবিলে চাষ হচ্ছে। কিন্তু ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে কৃষকদের সেচ বাবদ বেশি খরচ গুনতে হচ্ছে। তার ওপর তেলের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকেরা উৎপাদন খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
বিলসা গ্রামের কৃষক মুন্নাফ হোসেন বলেন, এ বছর তিনি ব্রি-২৯ জাতের ধান ২৫ বিঘায় চাষ করেছেন। গত বছরের চেয়ে এবার খরচ বেশি হচ্ছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় সেচযন্ত্রে পানি কম উঠছে। পর্যাপ্ত পানি পেতে সেচযন্ত্র বেশি চালাতে হচ্ছে। এতে বিদ্যুৎ বিল বেশি উঠছে। আবার অনেক সময় মোটরে পানি উঠছে না। ফলে জমিতে সার বেশি ব্যবহার করতে হচ্ছে।
রুহাই গ্রামের কৃষক সুমন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি আট বিঘা জমিতে ধান আবাদ করেছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর খরচ বেশি হচ্ছে। তিনি শ্যালোমেশিন দিয়ে জমিতে পানি দিয়ে থাকেন। চৈত্রের তাপদাহ যেমন বেড়েছে তেমনি বৃষ্টি না হওয়ার কারণে ভূগর্ভস্থ পানি নিচে নেমে যাচ্ছে। ফলে শ্যালোমেশিন দিয়ে পানি উঠছে না। বাধ্য হয়ে নালাতে সেচযন্ত্র বসিয়ে জমিতে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এতে সেচের খরচ ও সময় বেশি লাগছে।
সুমন সরকার আরও বলেন, বৈশাখ মাস চলছে, তবু বৃষ্টির দেখা মিলছে না। এতে ধানের ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্য আছেন কৃষকেরা। এক থেকে দেড় সপ্তাহ পর ধান কাটা শুরু হবে। তাতেও আশার কোনো খবর মিলছে না। ধানের ফলন ভালো না হলে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সার, বীজ, সেচসহ বিঘাপ্রতি যে খরচ হয়েছে, তাতে ক্ষতি পোষানো দায় হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গুরুদাসপুরের কৃষি কর্মকর্তা হারুনর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলায় গত বছরের তুলনায় বেশি জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ বছর সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। যার কারণে কৃষকদের উৎপাদন খরচ একটু বেশি হচ্ছে। তিনি আশা করছেন আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টি হবে।
নাটোরের গুরুদাসপুরে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন চলনবিলের অনেক চাষিরা। চৈত্রের তাপদাহ ও বৃষ্টি না থাকার কারণে পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। এ কারণে ধানখেতে পানি দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কৃষকদের।
গতকাল শুক্রবার চলনবিলের বিলশা, রুহাই, পিপলা সাবগাড়ি মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, মোটর ও শ্যালোইঞ্জিন চালিত মেশিনে পানি উঠছে না। আবার কোথাও পানি উঠছে অল্প অল্প করে। এতে করে সেচকাজে কৃষকের খরচ বেশি হচ্ছে। কোথাও আবার শ্যালোইঞ্জিন চালিত মেশিন বিভিন্ন নালায় বসিয়ে জমিতে পানি দিচ্ছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, এ বছর চলনবিল এলাকায় ৫ হাজার ৪০০ হেক্টরে বোরো ধান, উফশী ৪ হাজার ৯০০ হেক্টরে, হাইব্রিড ৫০০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। উফশী জাতের ধানের মধ্য অন্যতম ব্রি-২৯, ব্রি-৮১, ব্রি-৮৪, ব্রি-৮৯। হাইব্রিড ধানের মধ্য এস এল-৮, পারটেক্স-৬ ও হিরাসহ নানা প্রজাতির ধান চলনবিলে চাষ হচ্ছে। কিন্তু ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে কৃষকদের সেচ বাবদ বেশি খরচ গুনতে হচ্ছে। তার ওপর তেলের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকেরা উৎপাদন খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
বিলসা গ্রামের কৃষক মুন্নাফ হোসেন বলেন, এ বছর তিনি ব্রি-২৯ জাতের ধান ২৫ বিঘায় চাষ করেছেন। গত বছরের চেয়ে এবার খরচ বেশি হচ্ছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় সেচযন্ত্রে পানি কম উঠছে। পর্যাপ্ত পানি পেতে সেচযন্ত্র বেশি চালাতে হচ্ছে। এতে বিদ্যুৎ বিল বেশি উঠছে। আবার অনেক সময় মোটরে পানি উঠছে না। ফলে জমিতে সার বেশি ব্যবহার করতে হচ্ছে।
রুহাই গ্রামের কৃষক সুমন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি আট বিঘা জমিতে ধান আবাদ করেছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর খরচ বেশি হচ্ছে। তিনি শ্যালোমেশিন দিয়ে জমিতে পানি দিয়ে থাকেন। চৈত্রের তাপদাহ যেমন বেড়েছে তেমনি বৃষ্টি না হওয়ার কারণে ভূগর্ভস্থ পানি নিচে নেমে যাচ্ছে। ফলে শ্যালোমেশিন দিয়ে পানি উঠছে না। বাধ্য হয়ে নালাতে সেচযন্ত্র বসিয়ে জমিতে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এতে সেচের খরচ ও সময় বেশি লাগছে।
সুমন সরকার আরও বলেন, বৈশাখ মাস চলছে, তবু বৃষ্টির দেখা মিলছে না। এতে ধানের ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্য আছেন কৃষকেরা। এক থেকে দেড় সপ্তাহ পর ধান কাটা শুরু হবে। তাতেও আশার কোনো খবর মিলছে না। ধানের ফলন ভালো না হলে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সার, বীজ, সেচসহ বিঘাপ্রতি যে খরচ হয়েছে, তাতে ক্ষতি পোষানো দায় হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গুরুদাসপুরের কৃষি কর্মকর্তা হারুনর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলায় গত বছরের তুলনায় বেশি জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ বছর সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। যার কারণে কৃষকদের উৎপাদন খরচ একটু বেশি হচ্ছে। তিনি আশা করছেন আগামী কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টি হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে