রজত কান্তি রায়, ঢাকা
বছর শেষের এ সময়গুলোতে একসময় পরিবহনসংকট হতো বেশ। পরিবার ও বন্ধুবান্ধব মিলে, ঝকঝকে মিনিবাস ভাড়া করে তার ছাদে মাইক আর ডেক বেঁধে বনে, পাহাড়ে বা সাগরের তীরে ঘুরতে যেতেন লোকজন।
তার বাহারি নাম ছিল পিকনিক। এই পিকনিকের জন্যই দেখা দিত পরিবহনসংকট। অবশ্য বাঙালি নারী বছরে একবার বাপের বাড়ি নাইওর যেতেন। ছিল তীর্থভ্রমণ। আর ছিল স্বাস্থ্য সুরক্ষায় হাওয়া বদলের অভ্যাস। অবিভক্ত বাংলায় বাঙালিরা একসময় হাওয়া বদলাতে যেতেন পশ্চিমে, যেটা আজকের ভারতের ঝাড়খন্ড অঞ্চল। সেখানকার গিরিডি ছিল বাঙালি ‘ড্যাঞ্চিবাবু’দের আখড়া। এসব ভ্রমণে সঙ্গী থাকতেন পরিবারের মানুষ কিংবা বন্ধুবান্ধব।
কোন ভ্রমণে কেমন সঙ্গী
এত দিনে ভ্রমণের পরিসর বেড়েছে। বেড়েছে ভ্রমণের উদ্দেশ্য। সাইট সিয়িংয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রোমাঞ্চকর বা অ্যাডভেঞ্চার ভ্রমণ। ফলে ভ্রমণসঙ্গীর ধরনেও এসেছে পরিবর্তন। যাঁরা একা ভ্রমণে অভ্যস্ত, তাঁদের সঙ্গী দরকার নেই। কিন্তু যাঁরা দল বেঁধে ভ্রমণ করেন, তাঁদের সঙ্গী প্রয়োজন ভীষণভাবে।
তরুণেরা এখন আর পরিবারের সঙ্গে অতটা ভ্রমণে যান না। তাঁরা এখন দলবলে ঘুরতে যান। কিংবা সলো ট্র্যাভেল করেন। এখানে দুটি কথা বলে রাখা দরকার, সলো বা একা একা ঘোরা আর দল বেঁধে ঘোরা—ভ্রমণের এ দুই রকম ধরন আছে। আবার দল বেঁধে ভ্রমণের ক্ষেত্রে উদ্দেশ্যগত পার্থক্য আছে। কোনো একটি জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যে গিয়ে শুধু সেটি দেখে ফিরে আসা একটা ধরন। একদম অচেনা জায়গায় গিয়ে সেখানকার মানুষ, প্রকৃতি, সংস্কৃতি ইত্যাদি দেখা একটা ধরন। আবার রোমাঞ্চকর ভ্রমণ একেবারে আলাদা বিষয়। এই প্রতিটি ভ্রমণে প্রয়োজন আলাদা আলাদা ভ্রমণসঙ্গী।
তাত্ত্বিকভাবে ভ্রমণ নিয়ে আমরা যে যা-ই বুঝি না কেন, ভ্রমণে সঙ্গী খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভ্রমণ মানে শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্ত থাকার বিষয় এবং এতে ‘শতভাগ সঠিক’ বলে কিছু নেই। যখন কোথাও যাওয়া হয় তখন সেখানে সবকিছু হাতের কাছে পাওয়া যাবে না, সেটা বিবেচনায় রাখতে হবে। যা ভেবে যাওয়া হবে তার সঙ্গে বাস্তবতার ফারাক থাকতে পারে অনেক বেশি। সেগুলোকে খাপ খাওয়াতে হবে। এ অবস্থায় ভ্রমণসঙ্গী যদি মনের মতো না হন তাহলে পড়বেন বিপদে। পর্যটক অণু তারেকের কথায় ধ্বনিত হলো শেখ সাদীর বাণী। অণু বলেন, ‘ভ্রমণের সঙ্গী, সেটা হোক এক বা একাধিক, নির্বাচন করুন অত্যধিক সতর্কতার সঙ্গে। পছন্দ-অপছন্দ-রুচি সম্পর্কে জানুন। নাহলে সবকিছু কেঁচে যাবে।’
ফলে ভ্রমণসঙ্গী হতে হবে বিশ্বস্ত, নির্ভরযোগ্য, সহিষ্ণু এবং একই মানসিকতার। সে কথাই জানালেন পর্যটক সজল জাহিদ। বললেন, ‘ভ্রমণে যাঁরাই সঙ্গে থাক না কেন, তাঁদের হতে হবে একই মানসিকতার মানুষ। পরস্পরের সঙ্গে বোঝাপড়াটা থাকতে হবে চমৎকার। ভ্রমণসঙ্গীকে হতে হবে সহিষ্ণু। নইলে ভ্রমণ ব্যর্থ হতে বাধ্য।’ যে ধরনের ভ্রমণই হোক না কেন, সজল জাহিদের এ কথাগুলো একেবারে প্রাথমিক বিষয়। এগুলো মেনে ভ্রমণের বাকি পরিকল্পনা করতে হবে।
জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যগুলোয় বন্ধুবান্ধবেরা মিলেই যাওয়া হয় সাধারণত। তাই খুব একটা সমস্যা হয় না। এগুলোর উদ্দেশ্য থাকে নিছক মজা করা। তারপরও সেসব বন্ধুর এসব ভ্রমণে সঙ্গে নেওয়া হয় না, যাঁরা কাছের হওয়া সত্ত্বেও ভ্রমণ নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না কিংবা অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে অভ্যস্ত নন।
ভ্রমণসঙ্গী খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে সেই সব ভ্রমণের ক্ষেত্রে, যেগুলো গতানুগতিক ভ্রমণ নয়। সোজা কথায়, যেগুলোকে আমরা অ্যাডভেঞ্চার বলি। সেটা হোক পাহাড়ে ওঠা কিংবা খরস্রোতা নদীতে র্যাফটিং অথবা ট্রেকিং; হোক দূরদেশে ভ্রমণ কিংবা পরিচিত গণ্ডিতে ভ্রমণ। সেসব ভ্রমণে সঙ্গী হিসেবে দরকার বিশ্বস্ত, সহানুভূতিশীল, সহিষ্ণু ও দক্ষ মানুষ, যাঁরা একে অপরকে বিশ্বাস করতে পারবেন, সহায়তা করতে পারবেন, সুযোগ দেবেন। এ মানসিকতার মানুষ হলে ভ্রমণে লৈঙ্গিক পরিচয় কোনো সমস্যা তৈরি করে না।
ভ্রমণ আনন্দ তৈরি করে, জীবনের নতুন অর্থ তৈরি করে। ফলে ভ্রমণে সঙ্গী নির্বাচন সঠিক না হলে আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবেন। সামনে শীতকাল। ভ্রমণের সাজ সাজ রব পড়ে যাবে। আপনার আনন্দময় আসন্ন ভ্রমণের সঙ্গী নিয়ে এখনই ভেবে ফেলুন।
বছর শেষের এ সময়গুলোতে একসময় পরিবহনসংকট হতো বেশ। পরিবার ও বন্ধুবান্ধব মিলে, ঝকঝকে মিনিবাস ভাড়া করে তার ছাদে মাইক আর ডেক বেঁধে বনে, পাহাড়ে বা সাগরের তীরে ঘুরতে যেতেন লোকজন।
তার বাহারি নাম ছিল পিকনিক। এই পিকনিকের জন্যই দেখা দিত পরিবহনসংকট। অবশ্য বাঙালি নারী বছরে একবার বাপের বাড়ি নাইওর যেতেন। ছিল তীর্থভ্রমণ। আর ছিল স্বাস্থ্য সুরক্ষায় হাওয়া বদলের অভ্যাস। অবিভক্ত বাংলায় বাঙালিরা একসময় হাওয়া বদলাতে যেতেন পশ্চিমে, যেটা আজকের ভারতের ঝাড়খন্ড অঞ্চল। সেখানকার গিরিডি ছিল বাঙালি ‘ড্যাঞ্চিবাবু’দের আখড়া। এসব ভ্রমণে সঙ্গী থাকতেন পরিবারের মানুষ কিংবা বন্ধুবান্ধব।
কোন ভ্রমণে কেমন সঙ্গী
এত দিনে ভ্রমণের পরিসর বেড়েছে। বেড়েছে ভ্রমণের উদ্দেশ্য। সাইট সিয়িংয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রোমাঞ্চকর বা অ্যাডভেঞ্চার ভ্রমণ। ফলে ভ্রমণসঙ্গীর ধরনেও এসেছে পরিবর্তন। যাঁরা একা ভ্রমণে অভ্যস্ত, তাঁদের সঙ্গী দরকার নেই। কিন্তু যাঁরা দল বেঁধে ভ্রমণ করেন, তাঁদের সঙ্গী প্রয়োজন ভীষণভাবে।
তরুণেরা এখন আর পরিবারের সঙ্গে অতটা ভ্রমণে যান না। তাঁরা এখন দলবলে ঘুরতে যান। কিংবা সলো ট্র্যাভেল করেন। এখানে দুটি কথা বলে রাখা দরকার, সলো বা একা একা ঘোরা আর দল বেঁধে ঘোরা—ভ্রমণের এ দুই রকম ধরন আছে। আবার দল বেঁধে ভ্রমণের ক্ষেত্রে উদ্দেশ্যগত পার্থক্য আছে। কোনো একটি জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যে গিয়ে শুধু সেটি দেখে ফিরে আসা একটা ধরন। একদম অচেনা জায়গায় গিয়ে সেখানকার মানুষ, প্রকৃতি, সংস্কৃতি ইত্যাদি দেখা একটা ধরন। আবার রোমাঞ্চকর ভ্রমণ একেবারে আলাদা বিষয়। এই প্রতিটি ভ্রমণে প্রয়োজন আলাদা আলাদা ভ্রমণসঙ্গী।
তাত্ত্বিকভাবে ভ্রমণ নিয়ে আমরা যে যা-ই বুঝি না কেন, ভ্রমণে সঙ্গী খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভ্রমণ মানে শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্ত থাকার বিষয় এবং এতে ‘শতভাগ সঠিক’ বলে কিছু নেই। যখন কোথাও যাওয়া হয় তখন সেখানে সবকিছু হাতের কাছে পাওয়া যাবে না, সেটা বিবেচনায় রাখতে হবে। যা ভেবে যাওয়া হবে তার সঙ্গে বাস্তবতার ফারাক থাকতে পারে অনেক বেশি। সেগুলোকে খাপ খাওয়াতে হবে। এ অবস্থায় ভ্রমণসঙ্গী যদি মনের মতো না হন তাহলে পড়বেন বিপদে। পর্যটক অণু তারেকের কথায় ধ্বনিত হলো শেখ সাদীর বাণী। অণু বলেন, ‘ভ্রমণের সঙ্গী, সেটা হোক এক বা একাধিক, নির্বাচন করুন অত্যধিক সতর্কতার সঙ্গে। পছন্দ-অপছন্দ-রুচি সম্পর্কে জানুন। নাহলে সবকিছু কেঁচে যাবে।’
ফলে ভ্রমণসঙ্গী হতে হবে বিশ্বস্ত, নির্ভরযোগ্য, সহিষ্ণু এবং একই মানসিকতার। সে কথাই জানালেন পর্যটক সজল জাহিদ। বললেন, ‘ভ্রমণে যাঁরাই সঙ্গে থাক না কেন, তাঁদের হতে হবে একই মানসিকতার মানুষ। পরস্পরের সঙ্গে বোঝাপড়াটা থাকতে হবে চমৎকার। ভ্রমণসঙ্গীকে হতে হবে সহিষ্ণু। নইলে ভ্রমণ ব্যর্থ হতে বাধ্য।’ যে ধরনের ভ্রমণই হোক না কেন, সজল জাহিদের এ কথাগুলো একেবারে প্রাথমিক বিষয়। এগুলো মেনে ভ্রমণের বাকি পরিকল্পনা করতে হবে।
জনপ্রিয় ভ্রমণ গন্তব্যগুলোয় বন্ধুবান্ধবেরা মিলেই যাওয়া হয় সাধারণত। তাই খুব একটা সমস্যা হয় না। এগুলোর উদ্দেশ্য থাকে নিছক মজা করা। তারপরও সেসব বন্ধুর এসব ভ্রমণে সঙ্গে নেওয়া হয় না, যাঁরা কাছের হওয়া সত্ত্বেও ভ্রমণ নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না কিংবা অন্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে অভ্যস্ত নন।
ভ্রমণসঙ্গী খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে সেই সব ভ্রমণের ক্ষেত্রে, যেগুলো গতানুগতিক ভ্রমণ নয়। সোজা কথায়, যেগুলোকে আমরা অ্যাডভেঞ্চার বলি। সেটা হোক পাহাড়ে ওঠা কিংবা খরস্রোতা নদীতে র্যাফটিং অথবা ট্রেকিং; হোক দূরদেশে ভ্রমণ কিংবা পরিচিত গণ্ডিতে ভ্রমণ। সেসব ভ্রমণে সঙ্গী হিসেবে দরকার বিশ্বস্ত, সহানুভূতিশীল, সহিষ্ণু ও দক্ষ মানুষ, যাঁরা একে অপরকে বিশ্বাস করতে পারবেন, সহায়তা করতে পারবেন, সুযোগ দেবেন। এ মানসিকতার মানুষ হলে ভ্রমণে লৈঙ্গিক পরিচয় কোনো সমস্যা তৈরি করে না।
ভ্রমণ আনন্দ তৈরি করে, জীবনের নতুন অর্থ তৈরি করে। ফলে ভ্রমণে সঙ্গী নির্বাচন সঠিক না হলে আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবেন। সামনে শীতকাল। ভ্রমণের সাজ সাজ রব পড়ে যাবে। আপনার আনন্দময় আসন্ন ভ্রমণের সঙ্গী নিয়ে এখনই ভেবে ফেলুন।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে