মইনুল হাসান
১০ এপ্রিল ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত হলো প্রথম ধাপের ফ্রান্সের পঞ্চম প্রজাতন্ত্রের দ্বাদশ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। প্রথম ধাপে দেশটির প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রার্থী ছিলেন মোট ১২ জন। সব প্রার্থীকে পেছনে ফেলে ২৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রথম ধাপে এগিয়ে আছেন ‘এগিয়ে চলো’ আন্দোলনের নেতা মধ্যপন্থী প্রার্থী ইমানুয়েল মাখোঁ। তিনি ভোট পেয়েছেন প্রায় ৯৮ লাখ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কট্টর ডানপন্থী দল ‘জাতীয় জমায়েত’-এর নেত্রী মারিন লো পেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ২৩ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, অর্থাৎ ৮১ লাখ ভোটের কিছু বেশি। এদিকে প্রথম ধাপের নির্বাচনী দৌড়ে তৃতীয় প্রার্থী হলেন কট্টর বামপন্থী দল ‘জাগ্রত বা বিদ্রোহী ফ্রান্স’ দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জঁ লুক মেলনশোঁ। তিনি পেয়েছেন ২২ শতাংশ ভোট। জঁ লুক মেলনশোঁ বিপুল ভোট পেলেও, যেহেতু তিনি তৃতীয় স্থানে রয়েছেন, তাই নয়জন প্রার্থীর মতো তিনি এবারকার নির্বাচন থেকে বিদায় নিচ্ছেন। তবে বিদায় নেওয়ার আগে দ্বিতীয় পর্বের নির্বাচনে তিনি তাঁর ভোটারদের সরাসরি মাখোঁকে ভোট দিতে নির্দেশ না দিয়ে বলেছেন, যেন তাদের ‘একটি ভোটও মারিন লো পেনের পক্ষে না যায়’। তিনি তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় এ কথাটি তাঁর ভোটারদের উদ্দেশে চারবার বলেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার নির্বাচনী জরিপে আগে থেকে যা বলা হয়েছিল, প্রথম ধাপের নির্বাচনের ফলাফল অনেকটাই সে রকম হয়েছে। তবে এবারকার নির্বাচনে যে প্রতিদ্বন্দ্বী ফরাসি রাজনীতিতে খানিকটা ঝাঁকুনি দিতে সক্ষম হয়েছেন, তিনি হলেন অতি ডানপন্থীদের মধ্যে অতিমাত্রায় কট্টর এরিক জেমুর। তাঁকে ৭ শতাংশ ভোট নিয়েই নির্বাচনের মাঠ থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে। তিনি অনেকটা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণাকে অনুসরণ করেছেন। সরাসরি ঘোষণা দিয়েছেন, অভিবাসীদের, বিশেষ করে মুসলিম অভিবাসীদের ফ্রান্স থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করবেন এবং ফরাসিদের হাতে তাঁদের দেশটিকে ফিরিয়ে দেবেন। তিনি একবার বলেছিলেন যে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে শ্রদ্ধা করেন এবং প্রথমদিকে পুতিনের ইউক্রেনে আগ্রাসনকে সমর্থন দিয়েছিলেন। পরে ভোটারদের মতিগতি বুঝে সে আগ্রাসনে তাঁর সমর্থন ফিরিয়ে নেন। অনেকেই তাঁকে বর্ণবাদীদের নেতা বলতে দ্বিধা করছেন না।
৪ কোটি ৮৭ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ফরাসি নাগরিক—ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন প্রায় ৩ কোটি ৬৯ লাখ, অর্থাৎ ভোট প্রদানে বিরত থেকেছেন বা বর্জন করেছেন ২৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ ভোটার। ফ্রান্সের ঐতিহ্যবাহী বাম এবং ডান রাজনৈতিক দলগুলো বিগত রাজনীতির জটিল অঙ্গনে বছরগুলোতে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। অথচ দুই দশক ধরে ভোটাররা অতি বাম এবং অতি ডানদের পাল্লা ভারী করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। সাধারণ বাম এবং ডান কট্টরদের ধাক্কা সামলাতে গিয়ে ৫ শতাংশ ভোট আদায় করতেও ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানে এরা অতিমাত্রায় অস্তিত্ব-সংকটের সম্মুখীন।
নির্বাচনের প্রথম পর্বে প্রার্থীদের কেউই ৫০ শতাংশ ভোট পাননি এবং সে রকম যে হবে, এমনটা কেউ আশাও করেননি। আর তাই ফ্রান্সের নির্বাচনের নিয়মানুযায়ী দ্বিতীয় পর্বের নির্বাচনে অংশ নেবেন শীর্ষ দুই প্রার্থী; অর্থাৎ ২৪ এপ্রিল এ দেশটির প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন ইমানুয়েল মাখোঁ এবং মারিন লো পেন। ঠিক পাঁচ বছর আগে ২০১৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই দুজন প্রার্থী মুখোমুখি হয়েছিলেন। তবে এবারে অতি ডানপন্থী প্রার্থী মারিন লো পেন আরও বেশি শক্তি সঞ্চয় করেছেন এবং দ্বিতীয় মেয়াদে ইমানুয়েল মাখোঁ খুব যে সহজে উতরে যাবেন, তা মোটেই নয়। ২০১৭ সালের চূড়ান্ত ধাপের নির্বাচনে মাখোঁ পেয়েছিলেন ৬৬ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ ভোট। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মারিন লো পেনের ভাগ্যে জুটেছিল ৩৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ ভোট। এবার তাঁদের দুজনার মধ্যে ভোটের পার্থক্য থাকবে সেবারের চেয়ে অনেক কম। ভোটারদের হাবভাব দেখে বিশ্লেষকেরা তা-ই মনে করছেন।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের কারণে এবারকার নির্বাচনী প্রচারণা অনেকখানি চুপসে গেছে। নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে ইউক্রেন যুদ্ধই প্রাধান্য বিস্তার করেছে। নির্বাচনের সময়ে ডানপন্থীরা যে বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে তা হলো, অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসন এবং নিরাপত্তাহীনতা। এবার এই ইস্যুটি দ্বিতীয়তে চলে এসেছে। পুতিনের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা এবং যুদ্ধ বন্ধে তৎপরতার কারণে ইমানুয়েল মাখোঁর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। তবে সাম্প্রতিক জনমত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, জনগণের বিশেষ উদ্বেগের বিষয়টি হচ্ছে তাঁদের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস; বিশেষ করে জীবাশ্ম জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি অতিমারি পীড়িত জনগণের জন্য অনেকটাই গোদের ওপর বিষফোড়ার মতন অসহ্য হয়ে উঠেছে। এরপরে অভিবাসন এবং নিরাপত্তাহীনতা ছাপিয়ে যে বিষয়গুলো প্রাধান্য পেয়েছে তা হলো, স্বাস্থ্য, অবসর গ্রহণের বয়স নির্ধারণ, অবসর ভাতা এবং সবশেষে জলবায়ু।
এ বছরের জানুয়ারি থেকে ছয় মাসের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট মাখোঁ সময়ের অভাবে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারেননি। মাখোঁ গত মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর তাঁকে সরকারবিরোধী ব্যাপক সামাজিক আন্দোলনের সম্মুখীন হতে হয়। তিনি তা সামাল দিতে সমর্থ হন। বর্তমানে বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৪ শতাংশে। ইউরোজোনের দেশগুলোর গড় হারের তুলনায় এই হার সামান্য ওপরে। তাঁর সময়ে কোভিড-১৯ মহামারি থেকে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। এ বছরের জানুয়ারি মাসে ফ্রান্সের বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছায়, যা দেশটির গত অর্ধশতাব্দীর ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মারিন লো পেন, জনগণের অসন্তোষকে উসকে দিয়ে নির্বাচনে এগিয়ে থাকতে চাইছেন। তাঁর থলেতে আছে অভিবাসী এবং নিরাপত্তাহীনতা। তিনি অবশ্য কিছুদিন আগেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করতেন।
উল্লেখ্য, ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট-শাসিত সরকারব্যবস্থা বিদ্যমান এবং আগামী ১২ ও ১৯ জুন হবে পার্লামেন্ট নির্বাচন।
২৪ এপ্রিল ফরাসি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন ফ্রান্সের পঞ্চম প্রজাতন্ত্রের নবম প্রেসিডেন্ট। ইমানুয়েল মাখোঁ, নাকি মারিন লো পেন? সেদিন যে প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে তা হলো, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতি ও ইইউ জোটের জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একমাত্র স্থায়ী সদস্য ফ্রান্সকে ভবিষ্যতে কে নেতৃত্ব দেবেন?
১০ এপ্রিল ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত হলো প্রথম ধাপের ফ্রান্সের পঞ্চম প্রজাতন্ত্রের দ্বাদশ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। প্রথম ধাপে দেশটির প্রেসিডেন্ট পদের জন্য প্রার্থী ছিলেন মোট ১২ জন। সব প্রার্থীকে পেছনে ফেলে ২৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রথম ধাপে এগিয়ে আছেন ‘এগিয়ে চলো’ আন্দোলনের নেতা মধ্যপন্থী প্রার্থী ইমানুয়েল মাখোঁ। তিনি ভোট পেয়েছেন প্রায় ৯৮ লাখ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কট্টর ডানপন্থী দল ‘জাতীয় জমায়েত’-এর নেত্রী মারিন লো পেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ২৩ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, অর্থাৎ ৮১ লাখ ভোটের কিছু বেশি। এদিকে প্রথম ধাপের নির্বাচনী দৌড়ে তৃতীয় প্রার্থী হলেন কট্টর বামপন্থী দল ‘জাগ্রত বা বিদ্রোহী ফ্রান্স’ দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জঁ লুক মেলনশোঁ। তিনি পেয়েছেন ২২ শতাংশ ভোট। জঁ লুক মেলনশোঁ বিপুল ভোট পেলেও, যেহেতু তিনি তৃতীয় স্থানে রয়েছেন, তাই নয়জন প্রার্থীর মতো তিনি এবারকার নির্বাচন থেকে বিদায় নিচ্ছেন। তবে বিদায় নেওয়ার আগে দ্বিতীয় পর্বের নির্বাচনে তিনি তাঁর ভোটারদের সরাসরি মাখোঁকে ভোট দিতে নির্দেশ না দিয়ে বলেছেন, যেন তাদের ‘একটি ভোটও মারিন লো পেনের পক্ষে না যায়’। তিনি তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় এ কথাটি তাঁর ভোটারদের উদ্দেশে চারবার বলেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার নির্বাচনী জরিপে আগে থেকে যা বলা হয়েছিল, প্রথম ধাপের নির্বাচনের ফলাফল অনেকটাই সে রকম হয়েছে। তবে এবারকার নির্বাচনে যে প্রতিদ্বন্দ্বী ফরাসি রাজনীতিতে খানিকটা ঝাঁকুনি দিতে সক্ষম হয়েছেন, তিনি হলেন অতি ডানপন্থীদের মধ্যে অতিমাত্রায় কট্টর এরিক জেমুর। তাঁকে ৭ শতাংশ ভোট নিয়েই নির্বাচনের মাঠ থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে। তিনি অনেকটা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণাকে অনুসরণ করেছেন। সরাসরি ঘোষণা দিয়েছেন, অভিবাসীদের, বিশেষ করে মুসলিম অভিবাসীদের ফ্রান্স থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করবেন এবং ফরাসিদের হাতে তাঁদের দেশটিকে ফিরিয়ে দেবেন। তিনি একবার বলেছিলেন যে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে শ্রদ্ধা করেন এবং প্রথমদিকে পুতিনের ইউক্রেনে আগ্রাসনকে সমর্থন দিয়েছিলেন। পরে ভোটারদের মতিগতি বুঝে সে আগ্রাসনে তাঁর সমর্থন ফিরিয়ে নেন। অনেকেই তাঁকে বর্ণবাদীদের নেতা বলতে দ্বিধা করছেন না।
৪ কোটি ৮৭ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ফরাসি নাগরিক—ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন প্রায় ৩ কোটি ৬৯ লাখ, অর্থাৎ ভোট প্রদানে বিরত থেকেছেন বা বর্জন করেছেন ২৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ ভোটার। ফ্রান্সের ঐতিহ্যবাহী বাম এবং ডান রাজনৈতিক দলগুলো বিগত রাজনীতির জটিল অঙ্গনে বছরগুলোতে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। অথচ দুই দশক ধরে ভোটাররা অতি বাম এবং অতি ডানদের পাল্লা ভারী করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। সাধারণ বাম এবং ডান কট্টরদের ধাক্কা সামলাতে গিয়ে ৫ শতাংশ ভোট আদায় করতেও ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানে এরা অতিমাত্রায় অস্তিত্ব-সংকটের সম্মুখীন।
নির্বাচনের প্রথম পর্বে প্রার্থীদের কেউই ৫০ শতাংশ ভোট পাননি এবং সে রকম যে হবে, এমনটা কেউ আশাও করেননি। আর তাই ফ্রান্সের নির্বাচনের নিয়মানুযায়ী দ্বিতীয় পর্বের নির্বাচনে অংশ নেবেন শীর্ষ দুই প্রার্থী; অর্থাৎ ২৪ এপ্রিল এ দেশটির প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন ইমানুয়েল মাখোঁ এবং মারিন লো পেন। ঠিক পাঁচ বছর আগে ২০১৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই দুজন প্রার্থী মুখোমুখি হয়েছিলেন। তবে এবারে অতি ডানপন্থী প্রার্থী মারিন লো পেন আরও বেশি শক্তি সঞ্চয় করেছেন এবং দ্বিতীয় মেয়াদে ইমানুয়েল মাখোঁ খুব যে সহজে উতরে যাবেন, তা মোটেই নয়। ২০১৭ সালের চূড়ান্ত ধাপের নির্বাচনে মাখোঁ পেয়েছিলেন ৬৬ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ ভোট। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মারিন লো পেনের ভাগ্যে জুটেছিল ৩৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ ভোট। এবার তাঁদের দুজনার মধ্যে ভোটের পার্থক্য থাকবে সেবারের চেয়ে অনেক কম। ভোটারদের হাবভাব দেখে বিশ্লেষকেরা তা-ই মনে করছেন।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের কারণে এবারকার নির্বাচনী প্রচারণা অনেকখানি চুপসে গেছে। নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে ইউক্রেন যুদ্ধই প্রাধান্য বিস্তার করেছে। নির্বাচনের সময়ে ডানপন্থীরা যে বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে তা হলো, অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসন এবং নিরাপত্তাহীনতা। এবার এই ইস্যুটি দ্বিতীয়তে চলে এসেছে। পুতিনের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা এবং যুদ্ধ বন্ধে তৎপরতার কারণে ইমানুয়েল মাখোঁর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। তবে সাম্প্রতিক জনমত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, জনগণের বিশেষ উদ্বেগের বিষয়টি হচ্ছে তাঁদের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস; বিশেষ করে জীবাশ্ম জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি অতিমারি পীড়িত জনগণের জন্য অনেকটাই গোদের ওপর বিষফোড়ার মতন অসহ্য হয়ে উঠেছে। এরপরে অভিবাসন এবং নিরাপত্তাহীনতা ছাপিয়ে যে বিষয়গুলো প্রাধান্য পেয়েছে তা হলো, স্বাস্থ্য, অবসর গ্রহণের বয়স নির্ধারণ, অবসর ভাতা এবং সবশেষে জলবায়ু।
এ বছরের জানুয়ারি থেকে ছয় মাসের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট মাখোঁ সময়ের অভাবে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারেননি। মাখোঁ গত মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর তাঁকে সরকারবিরোধী ব্যাপক সামাজিক আন্দোলনের সম্মুখীন হতে হয়। তিনি তা সামাল দিতে সমর্থ হন। বর্তমানে বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৪ শতাংশে। ইউরোজোনের দেশগুলোর গড় হারের তুলনায় এই হার সামান্য ওপরে। তাঁর সময়ে কোভিড-১৯ মহামারি থেকে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। এ বছরের জানুয়ারি মাসে ফ্রান্সের বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছায়, যা দেশটির গত অর্ধশতাব্দীর ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মারিন লো পেন, জনগণের অসন্তোষকে উসকে দিয়ে নির্বাচনে এগিয়ে থাকতে চাইছেন। তাঁর থলেতে আছে অভিবাসী এবং নিরাপত্তাহীনতা। তিনি অবশ্য কিছুদিন আগেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করতেন।
উল্লেখ্য, ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট-শাসিত সরকারব্যবস্থা বিদ্যমান এবং আগামী ১২ ও ১৯ জুন হবে পার্লামেন্ট নির্বাচন।
২৪ এপ্রিল ফরাসি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবেন ফ্রান্সের পঞ্চম প্রজাতন্ত্রের নবম প্রেসিডেন্ট। ইমানুয়েল মাখোঁ, নাকি মারিন লো পেন? সেদিন যে প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে তা হলো, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতি ও ইইউ জোটের জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একমাত্র স্থায়ী সদস্য ফ্রান্সকে ভবিষ্যতে কে নেতৃত্ব দেবেন?
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে