আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর (মানিকগঞ্জ)
মানিকগঞ্জের ঘিওরে চায়না ম্যাজিক জাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করছেন জেলেরা। এতে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, ডিমওয়ালা মাছসহ জলজ প্রাণী ধরা পড়ছে এ জালে। ফলে ক্রমেই মাছশূন্য হয়ে পড়ছে নদী, খাল-বিল ও জলাশয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চায়না জাল সাধারণত এক থেকে দেড় ফুট উচ্চতা ও ৬০ থেকে ৯০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ক্ষুদ্র ফাঁস বিশিষ্ট ঢলুক আকৃতির হয়। লোহার রড ও রডের রিং দিয়ে খোপ আকারে বাক্স তৈরি করে চারপাশ সূক্ষ্ম জাল দিয়ে ঘেরাও করে তৈরি করা হয়। ফলে দুদিক থেকেই মাছ ঢুকতে পারে। একটি চায়না জালের দাম আকার ও মান ভেদে ৩ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। ঘিওর হাট, তরা হাট, বরংগাইল হাটসহ বিভিন্ন বাজারে ধুমছে বিক্রি হচ্ছে এই চায়না ম্যাজিক জাল।
শোল, টাকি, কই, পুঁটি, শিং, ট্যাংরা, খইলশা, বাইন, কুঁচে, কাঁকড়া, চেলা, রয়না, তেলাপিয়া, মাগুর, ছোট চিংড়ি, পাঙাশ, রুই, কাতল ও আইড় মাছের পোনা, কই, পাবদা, ঢেলা ও বাইলা, বাতাসাসহ দেশীয় মাছ এ জাল দিয়ে ধরা হচ্ছে। এমনকি ব্যাঙ, সাপ, কচ্ছপ, শামুক, ছোট শামুকসহ বিভিন্ন প্রজাতির জলজ প্রাণীরাও মারা পড়ছে। ফলে হুমকিতে পড়েছে এসব জলজ প্রাণীর জীবনচক্র।
উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের তরা এলাকার জেলে শম্ভু রাজবংশী বলেন, চায়না জালে সব ধরনের মাছ ছেঁকে উঠে। দাম কম হওয়ায় স্থানীয় মৌসুমি মৎস্য
শিকারিরা এ জাল মাছ ধরে। ফলে আমরা যারা চিরাচরিত কৌশল (ভেসাল, ঝাঁকি জাল) দিয়ে মাছ ধরতাম, এখন আমাদের জীবিকা নির্বাহ কঠিন হয়ে পড়েছে।
উপজেলার পুরোনো ধলেশ্বরী নদীতে দেখা গেছে, ছোট ছোট ডিঙি নৌকায় করে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ জেলে জাল পাতছে। এ সময় জালে ধরা পড়ে দেশীয় প্রজাতির বিলুপ্ত প্রায় সব মাছ। এমনকি বিলে থাকা জলজ প্রাণী এ জালে উঠে আসে।
চায়না জাল দিয়ে মাছ শিকারি জেলে বরটিয়া গ্রামের মাজেদ মিয়া, ঘিওরের সেন্টু মিয়া, নয়াচর গ্রামের শাহিন, গর্জনা গ্রামের আরিফ, সিংজুরী গ্রামের অখিল সরকার, নজু বেপারির সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা জানান, চায়না জাল দিয়ে মাছ ধরা ঠিক না জানার পরও জীবিকার তাগিদে এ কাজ করেন।
ঘিওর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, চায়না জাল দিয়ে মাছ শিকার করা নিষিদ্ধ। প্রাথমিকভাবে নিষিদ্ধ জালের ব্যবহার বন্ধে প্রচার চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হামিদুর রহমান বলেন, অবৈধ চায়না জালসহ মাছের বংশবিস্তারে ক্ষতিকর সব রকম জাল ব্যবহার বন্ধে বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
জেলে সম্প্রদায় ও জনগণের স্বার্থে এ অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে।
মানিকগঞ্জের ঘিওরে চায়না ম্যাজিক জাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করছেন জেলেরা। এতে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, ডিমওয়ালা মাছসহ জলজ প্রাণী ধরা পড়ছে এ জালে। ফলে ক্রমেই মাছশূন্য হয়ে পড়ছে নদী, খাল-বিল ও জলাশয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চায়না জাল সাধারণত এক থেকে দেড় ফুট উচ্চতা ও ৬০ থেকে ৯০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ক্ষুদ্র ফাঁস বিশিষ্ট ঢলুক আকৃতির হয়। লোহার রড ও রডের রিং দিয়ে খোপ আকারে বাক্স তৈরি করে চারপাশ সূক্ষ্ম জাল দিয়ে ঘেরাও করে তৈরি করা হয়। ফলে দুদিক থেকেই মাছ ঢুকতে পারে। একটি চায়না জালের দাম আকার ও মান ভেদে ৩ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। ঘিওর হাট, তরা হাট, বরংগাইল হাটসহ বিভিন্ন বাজারে ধুমছে বিক্রি হচ্ছে এই চায়না ম্যাজিক জাল।
শোল, টাকি, কই, পুঁটি, শিং, ট্যাংরা, খইলশা, বাইন, কুঁচে, কাঁকড়া, চেলা, রয়না, তেলাপিয়া, মাগুর, ছোট চিংড়ি, পাঙাশ, রুই, কাতল ও আইড় মাছের পোনা, কই, পাবদা, ঢেলা ও বাইলা, বাতাসাসহ দেশীয় মাছ এ জাল দিয়ে ধরা হচ্ছে। এমনকি ব্যাঙ, সাপ, কচ্ছপ, শামুক, ছোট শামুকসহ বিভিন্ন প্রজাতির জলজ প্রাণীরাও মারা পড়ছে। ফলে হুমকিতে পড়েছে এসব জলজ প্রাণীর জীবনচক্র।
উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের তরা এলাকার জেলে শম্ভু রাজবংশী বলেন, চায়না জালে সব ধরনের মাছ ছেঁকে উঠে। দাম কম হওয়ায় স্থানীয় মৌসুমি মৎস্য
শিকারিরা এ জাল মাছ ধরে। ফলে আমরা যারা চিরাচরিত কৌশল (ভেসাল, ঝাঁকি জাল) দিয়ে মাছ ধরতাম, এখন আমাদের জীবিকা নির্বাহ কঠিন হয়ে পড়েছে।
উপজেলার পুরোনো ধলেশ্বরী নদীতে দেখা গেছে, ছোট ছোট ডিঙি নৌকায় করে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ জেলে জাল পাতছে। এ সময় জালে ধরা পড়ে দেশীয় প্রজাতির বিলুপ্ত প্রায় সব মাছ। এমনকি বিলে থাকা জলজ প্রাণী এ জালে উঠে আসে।
চায়না জাল দিয়ে মাছ শিকারি জেলে বরটিয়া গ্রামের মাজেদ মিয়া, ঘিওরের সেন্টু মিয়া, নয়াচর গ্রামের শাহিন, গর্জনা গ্রামের আরিফ, সিংজুরী গ্রামের অখিল সরকার, নজু বেপারির সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা জানান, চায়না জাল দিয়ে মাছ ধরা ঠিক না জানার পরও জীবিকার তাগিদে এ কাজ করেন।
ঘিওর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, চায়না জাল দিয়ে মাছ শিকার করা নিষিদ্ধ। প্রাথমিকভাবে নিষিদ্ধ জালের ব্যবহার বন্ধে প্রচার চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হামিদুর রহমান বলেন, অবৈধ চায়না জালসহ মাছের বংশবিস্তারে ক্ষতিকর সব রকম জাল ব্যবহার বন্ধে বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
জেলে সম্প্রদায় ও জনগণের স্বার্থে এ অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে