জমজমাট ভোটের মাঠ

মিরাজ সিকদার, ডামুড্যা
প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৫: ৫৮
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ৪৭

ডামুড্যায় ইউপি নির্বাচন জমে উঠেছে। কেউ ছুটছেন ছাতা মাথায়, কেউবা আবার রেইন কোর্ট গায়ে। চলছে উঠান বৈঠকও। পোস্টার, ব্যানারে ছেয়ে গেছে ইউনিয়নের রাস্তা, বাসা-বাড়ি, চায়ের দোকান ও বিভিন্ন স্থাপনা।

আগামী ২৬ ডিসেম্বর ডামুড্যা উপজেলায় ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে বৈরী আবহাওয়া ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রচারে ব্যস্ত সময় কাটান প্রার্থীরা।

গত ৭ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে পুরো দমে চলছে প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়ার কাজ। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে গত সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৈরী আবহাওয়া ও বৃষ্টিপাতও তাদের ঘরে আটকে রাখতে পারেনি। নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই প্রার্থীরা কোমর বেঁধে নির্বাচনী মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাঁরা ভোটারদের কাছে গিয়ে তাদের আদর্শের বয়ানসহ ইউনিয়নে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন।

পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান মাসুদ পারভেজ লিটন, হেলাল উদ্দিন বিল্লাল হাওলাদার, আক্তার হোসেন সরকার ও আলমগীর হোসেন ছৈয়াল ভোটের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কম যাচ্ছেন না সিড্যা, ধানকাঠি, শিধলকুড়া ও কনেশ্বর ইউনিয়নের প্রার্থীরাও।

ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের মতো নির্বাচন তাঁরা আর কখনো দেখেননি। ঝড়বৃষ্টির কারণে তাঁরা দোকানপাট বন্ধ করে বাড়িতে চলে গিয়েও প্রার্থীদের হাত থেকে রেহাই পাননি। তাঁরা বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে বাড়িতে এসে হাজির।

এবার ডামুড্যায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী বেশি হওয়ায় দলীয় প্রতীক ছাড়াই নির্বাচন হচ্ছে। এ কারণে মানুষ এখন তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিতে পারবেন। তাই এখন সকলেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। প্রার্থীদের দাবি, জনগণের ইচ্ছাতেই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তাঁরা। তাই জনগণ নির্বাচনে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন বলে প্রত্যাশা তাঁদের।

এদিকে, নারী প্রার্থীদের সঙ্গে ভোটের মাঠে নেমেছেন স্বামী-সন্তানরাও। তেমনি পুরুষ প্রার্থীদের স্ত্রী-সন্তানেরাও বসে নেই। সবার আশা, ভোট যুদ্ধে জিততে হবে। তবে সাধারণ ভোটারেরা ভোট দেওয়ার ব্যাপারে কোনো প্রার্থীকেই নিরাশ করছেন না। প্রার্থীরা ব্যবসায়ী ভোটারদের দোকানে গিয়েও ভোট প্রার্থনা করছেন। শুধু তাই নয়, মাঠে কর্মরত শ্রমিকদের কাছেও যাচ্ছেন ভোটের আশায়। দিচ্ছেন নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি।

আমির আলী নামে এক ভোটার বলেন, ‘ভোট আসলে প্রার্থীদের আনা-গোনার কমতি থাকে না। ভোট শেষ হলেই তাদের দেখা পাওয়া যায় না। প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হয়ে, সেই মোতাবেক কাজ করেন না। তাঁরা নির্বাচনের পর সবই ভুলে যান।’

ভোটার জামাল হোসেন জানান, অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রার্থীরা নির্বাচিত হন। কিন্তু ইউনিয়নের তেমন কোনো উন্নয়ন হয় না।

দারুলআমান ইউনিয়ন পরিষদে স্বতন্ত্র প্রার্থী (চশমা প্রতীক) মমিনুল হক মিন্টু সিকদার বলেন, ‘আমি আমার শ্রদ্ধাভাজন প্রয়াত নেতা আব্দুর রাজ্জাকের হাত ধরে এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলাম। তবে এ বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতীক উন্মুক্ত করে দেওয়ার কারণে আমি আবার নির্বাচন করার ইচ্ছা পোষণ করি। সাধারণ ভোটারেরাও আমাকে ভোট দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করায় আমি আবার নির্বাচনের মাঠে নেমেছি।’

দারুলআমান ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোক্তার হোসেন খান বলেন, ‘জনগণের ইচ্ছাতেই নির্বাচন করে চেয়ারম্যান হয়েছি। এবারও জনগণের ইচ্ছাতেই প্রার্থী হয়েছি। আশা করি, জনগণ নির্বাচনে ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করবে। আমি এবার জয়ী হতে পারলে এই ইউনিয়নের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারব। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারব।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নির্বাচনে আ.লীগের অংশগ্রহণ প্রশ্নে ভারতীয় সংবাদপত্রকে যা বললেন ড. ইউনূস

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে বাধা দিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো: উপদেষ্টা আসিফ

‘এই দিন দিন না, আরও দিন আছে’, আদালতে বললেন কামরুল

ট্রেনে ঢিল ছোড়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করল তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা

প্রথমবার ব্যর্থ, পরদিন ভোরে হাসপাতালের ১৬ তলা থেকে লাফিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত