ফরিদপুরের সালথায় মেহগনি গাছের পাতা ঝাড়ু দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ফরিদপুর সদর হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় হামলা চালিয়ে পাঁচটি বসতঘর ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। গতকাল রোববার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বাসুয়ারকান্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, রোববার সকালে উপজেলার কানাইড় গ্রামে মেহগনি গাছের পাতা ঝাড়ু দেওয়া নিয়ে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য কুদ্দুছ শেখের সমর্থক ওমর মাতুব্বরের সঙ্গে বর্তমান ইউপি সদস্য পারভেজ মাতুব্বরের সমর্থক আকবর শেখের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় ওমর মাতুব্বরকে মারধর করা হয়। এরই জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ কানাইড় গ্রামে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পার্শ্ববর্তী বাসুয়ারকান্দী গ্রামে কুদ্দুছ শেখের সমর্থকদের সঙ্গে পারভেজ মাতুব্বরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় পাঁচটি বসতঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে উভয় দলের অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সাবেক ইউপি সদস্য কুদ্দুছ শেখ বলেন, তাঁর সমর্থক ওমর মাতুব্বরকে গতকাল সকালে পারভেজ মাতুব্বরের লোকজন মারধর করেন। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ সময় বাসুয়ারকান্দী গ্রামের তাঁর সমর্থকেরা বাড়ি ফিরে যাওয়ার সময় দুলাল শেখকে পারভেজ মাতুব্বরের সমর্থকেরা মারধর করেন। তখন সেখানে সংঘর্ষ লেগে যায়। এতে তাঁর ৭-৮ জন সমর্থক আহত হন। তবে বাড়িঘরে হামলার বিষয়ে তাঁর জানা নাই।

বর্তমান ইউপি সদস্য পারভেজ মাতুব্বর বলেন, কানাইড় গ্রামের উত্তেজনার বিষয়টি মীমাংসা করার কথা বলে পার্শ্ববর্তী বাসুয়ারকান্দী গ্রামে গিয়ে তাঁর সমর্থকদের কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে কুদ্দুছ শেখের লোকজন। হামলা ঠেকাতে গিয়ে তাঁর ১০-১২ জন সমর্থক আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসিকুজ্জামান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। তবে, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।