চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে পুলিশের ওপর হামলায় করা মামলায় গ্রেপ্তার-আতঙ্কে রয়েছেন হোসেনডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দারা। বৃদ্ধ, নারী ও শিশু বাদে ঘর ছেড়েছেন পুরুষেরা। এমনকি এ ঘটনার পরদিন সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের হোসেনডাঙ্গা গ্রামের মোড়ের সব দোকানপাট বন্ধ ছিল। মোড়সংলগ্ন এলাকার বাড়িগুলোতে গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে নেই পুরুষ সদস্যরা।

গ্রেপ্তার এড়াতে গ্রাম থেকে দূরে আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন পুরুষ সদস্যরা। জরুরি দরকার না হলে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না নারী সদস্যরাও।

গতকাল শনিবার সকালে হোসেনডাঙ্গা গ্রামের মোড়ে গিয়ে দেখা গেছে, সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। লোকজনেরও উপস্থিতি তেমন নেই। বাইরে থেকে মানুষ আসা দেখে রাস্তায় বেরিয়ে আসে কয়েকজন বৃদ্ধ ও নারী।

স্থানীয় বাসিন্দা বলছেন, পুলিশের ওপর হামলার পর থেকেই পুলিশ গ্রেপ্তার অভিযান চালাচ্ছে। এ সময় তারা কয়েকজনকে আটক করেছে। এ থেকেই আতঙ্ক বেড়েছে সবার মনে। তাই গ্রেপ্তার এড়াতে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন এ গ্রামের পুরুষেরা।

নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের হামলার সময় প্রাণ বাঁচাতে পুলিশ সদস্যরা আশ্রয় নিয়েছিল এমরান আলীর বাড়িতে। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী তিনি। তিনি বলেন, হামলাকারীরা পুলিশের ওপর নির্যাতন করেছেন। জীবন বাঁচাতে পুলিশ সদস্যরা তাঁদের বাড়িতে আসেন। বর্তমানে গ্রেপ্তার-আতঙ্কে এ এলাকায় কেউ থাকছেন না।

গত শুক্রবার দুপুরে সদর মডেল থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে ৩৮৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে।

সদর মডেল থানার ওসি মোজাফফর হোসেন বলেন, সদর থানার উপপরিদর্শক ওসমান আলী বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলায় ১৩৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাত পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।