শাপলা খন্দকার, বগুড়া ও রঞ্জন কুমার দে (শেরপুর) বগুড়া
বাঙ্গালী নদীর নাব্যতা ফেরাতে বগুড়ার শেরপুরে চলছে খননকাজ। খননের মাধ্যমে নদী থেকে উত্তোলিত বালু ও মাটি টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু তা না হয়ে অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে প্রতিদিন শত শত ট্রাক বালু। স্থানীয় সাংসদের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) এসব মাটি ও বালু বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ‘বাঙ্গালী-করতোয়া-ফুলজোর-হুরাসাগর নদী সিস্টেম ড্রেজিং/পুনঃখনন ও তীর সংরক্ষণ’ প্রকল্পের আওতায় বাঙ্গালী নদীর শেরপুর অংশে খননকাজ চলছে। এসব এলাকায় বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আলাদাভাবে কাজ করছে। নিয়ম অনুযায়ী পাউবোর উন্মুক্ত নিলাম ছাড়া নদী থেকে উত্তোলিত বালু ও মাটি বিক্রি করা যাবে না। কিন্তু খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাঁঝর এলাকার মাটি ও বালু নিলাম ছাড়াই বিক্রি করা হচ্ছে। সরকারি দলের প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় সাংসদ হাবিবুর রহমানের পিএস মো. কোরবান আলী মিলন ও খামারকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহসীন মোমিন এসব বালু বিক্রি করছেন।
অবৈধভাবে বিক্রি হওয়া এসব বালু পরিবহনের জন্য প্রতিদিন অনেক ট্রাক চলাচল করছে ওই এলাকায়। এতে একদিকে গ্রামের রাস্তা নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে নানা অসুবিধা পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
স্থানীয় ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিন অনেক গাড়ি চলাচল করে। বিশেষ করে রাতে আমরা ঘুমাতে পারি না।’ আমান উল্লাহ নামের আরেকজন বলেন, ‘ট্রাক চলাচল করায় রাস্তাগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এলাকার শিশুরা রাস্তায় বের হতে পারে না। ট্রাক আমার বাড়ির বেড়া ভাঙলেও ভয়ে ক্ষতিপূরণ চাইতে পারিনি।’
বালু বিক্রির এ কার্যক্রমে হিসাবনিকাশের দায়িত্বে আছেন আলমগীর হোসেন নামের এক ব্যক্তি। জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই স্থানীয় চেয়ারম্যান মহসীন মোমিন ও সাংসদ হাবিবুর রহমানের পিএস মো. কোরবান আলী মিলন বালু বিক্রি করছেন। খামারকান্দি ইউপি সদস্য মো. সোহরাব হোসেনও বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উপজেলার ঝাঁঝর এলাকায় সরেজমিনে বাঙ্গালী নদীর বালু বিক্রি করতে দেখা যায়। বালু বিক্রির সময় দেওয়া হচ্ছে ‘আশা এন্টারপ্রাইজ’-এর চালান।
বাঙ্গালী নদী খননকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোয়েস্ট ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজার রাসেল বলেন, ‘আমাদের বালু বিক্রির অনুমতি আছে। আমরা যখন কাজ শুরু করেছি, তখন তেলের দাম ছিল ৬৫ টাকা লিটার। এখন প্রতি লিটার তেল ৮০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। তাই বাড়তি খরচ পুষিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া হয়েছে।’
জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান মহসীন মোমিন বলেন, ‘এটা সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে হচ্ছে। আমি জড়িত নই।’
বালু বিক্রির বিষয়ে স্থানীয় সাংসদের পিএস মিলন বলেন, ‘খননের টেন্ডার নিয়েছে সেনাবাহিনী। সেখান থেকে সাবলিজ নিয়েছেন টাঙ্গাইলের ঠিকাদার বাদল। আমি এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান মিলে বাদলের কাছ থেকে শেরপুর-ধুনট রাস্তার শোল্ডার গাঁথার জন্য অল্প দামে মাটি নিয়েছি। এ ছাড়া বালু তুলে রাখার জায়গা না পেয়ে বাদল আমার কাছে বিক্রি করেছেন।’
নদী খননের তত্ত্বাবধানে থাকা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট ফকরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
শেরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, এটা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প। এর সঙ্গে উপজেলা প্রশাসনের কোনো যোগ নেই। তাই পানি উন্নয়ন বোর্ডই বিষয়টি বলতে পারবে।
জানতে চাইলে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় কাজটা দেখভালের দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দিয়েছে। সেনাবাহিনী জেলা প্রশাসনের কাছে বালুর হিসাব বুঝিয়ে দিলে তারপর পাউবো বালুর টেন্ডার করতে পারবে। অথবা সংশ্লিষ্ট বিশেষ কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে কোনো সেবামূলক প্রতিষ্ঠানকে দান করতে পারবে।’
বাঙ্গালী নদীর নাব্যতা ফেরাতে বগুড়ার শেরপুরে চলছে খননকাজ। খননের মাধ্যমে নদী থেকে উত্তোলিত বালু ও মাটি টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু তা না হয়ে অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে প্রতিদিন শত শত ট্রাক বালু। স্থানীয় সাংসদের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) এসব মাটি ও বালু বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ‘বাঙ্গালী-করতোয়া-ফুলজোর-হুরাসাগর নদী সিস্টেম ড্রেজিং/পুনঃখনন ও তীর সংরক্ষণ’ প্রকল্পের আওতায় বাঙ্গালী নদীর শেরপুর অংশে খননকাজ চলছে। এসব এলাকায় বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আলাদাভাবে কাজ করছে। নিয়ম অনুযায়ী পাউবোর উন্মুক্ত নিলাম ছাড়া নদী থেকে উত্তোলিত বালু ও মাটি বিক্রি করা যাবে না। কিন্তু খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাঁঝর এলাকার মাটি ও বালু নিলাম ছাড়াই বিক্রি করা হচ্ছে। সরকারি দলের প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় সাংসদ হাবিবুর রহমানের পিএস মো. কোরবান আলী মিলন ও খামারকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহসীন মোমিন এসব বালু বিক্রি করছেন।
অবৈধভাবে বিক্রি হওয়া এসব বালু পরিবহনের জন্য প্রতিদিন অনেক ট্রাক চলাচল করছে ওই এলাকায়। এতে একদিকে গ্রামের রাস্তা নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে নানা অসুবিধা পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
স্থানীয় ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিন অনেক গাড়ি চলাচল করে। বিশেষ করে রাতে আমরা ঘুমাতে পারি না।’ আমান উল্লাহ নামের আরেকজন বলেন, ‘ট্রাক চলাচল করায় রাস্তাগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এলাকার শিশুরা রাস্তায় বের হতে পারে না। ট্রাক আমার বাড়ির বেড়া ভাঙলেও ভয়ে ক্ষতিপূরণ চাইতে পারিনি।’
বালু বিক্রির এ কার্যক্রমে হিসাবনিকাশের দায়িত্বে আছেন আলমগীর হোসেন নামের এক ব্যক্তি। জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই স্থানীয় চেয়ারম্যান মহসীন মোমিন ও সাংসদ হাবিবুর রহমানের পিএস মো. কোরবান আলী মিলন বালু বিক্রি করছেন। খামারকান্দি ইউপি সদস্য মো. সোহরাব হোসেনও বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
উপজেলার ঝাঁঝর এলাকায় সরেজমিনে বাঙ্গালী নদীর বালু বিক্রি করতে দেখা যায়। বালু বিক্রির সময় দেওয়া হচ্ছে ‘আশা এন্টারপ্রাইজ’-এর চালান।
বাঙ্গালী নদী খননকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোয়েস্ট ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজার রাসেল বলেন, ‘আমাদের বালু বিক্রির অনুমতি আছে। আমরা যখন কাজ শুরু করেছি, তখন তেলের দাম ছিল ৬৫ টাকা লিটার। এখন প্রতি লিটার তেল ৮০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। তাই বাড়তি খরচ পুষিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়া হয়েছে।’
জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান মহসীন মোমিন বলেন, ‘এটা সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে হচ্ছে। আমি জড়িত নই।’
বালু বিক্রির বিষয়ে স্থানীয় সাংসদের পিএস মিলন বলেন, ‘খননের টেন্ডার নিয়েছে সেনাবাহিনী। সেখান থেকে সাবলিজ নিয়েছেন টাঙ্গাইলের ঠিকাদার বাদল। আমি এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান মিলে বাদলের কাছ থেকে শেরপুর-ধুনট রাস্তার শোল্ডার গাঁথার জন্য অল্প দামে মাটি নিয়েছি। এ ছাড়া বালু তুলে রাখার জায়গা না পেয়ে বাদল আমার কাছে বিক্রি করেছেন।’
নদী খননের তত্ত্বাবধানে থাকা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট ফকরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
শেরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, এটা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প। এর সঙ্গে উপজেলা প্রশাসনের কোনো যোগ নেই। তাই পানি উন্নয়ন বোর্ডই বিষয়টি বলতে পারবে।
জানতে চাইলে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় কাজটা দেখভালের দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দিয়েছে। সেনাবাহিনী জেলা প্রশাসনের কাছে বালুর হিসাব বুঝিয়ে দিলে তারপর পাউবো বালুর টেন্ডার করতে পারবে। অথবা সংশ্লিষ্ট বিশেষ কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে কোনো সেবামূলক প্রতিষ্ঠানকে দান করতে পারবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে