সমির মল্লিক, খাগড়াছড়ি
আজ ২ ডিসেম্বর। পার্বত্য চুক্তির ২৪ বছর পূর্তির দিন। বাংলাদেশ সরকার ও জনসংহতি সমিতির মধ্যে ১৯৯৭ সালের এই দিনে চুক্তি হয়। এ চুক্তির কারণেই তিন পার্বত্য জেলা উন্নয়নমুখী হয়েছে বলে মনে করছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) দাবি, চুক্তির দুই-তৃতীয়াংশই বাস্তবায়িত হয়নি। এতে সংগঠনটিতে অসন্তোষ রয়েছে।
উন্নয়নের পথে পাহাড়: খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, ‘চুক্তি-পরবর্তী সময়ে পাহাড়ে প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে উন্নয়ন হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিতে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। চুক্তি না হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম অগ্রসর হতে পারত না।’
খাগড়াছড়ি আবাসিক হোটেল সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, ‘চুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ে পর্যটনের দ্বার উন্মোচিত হয়। অনেক মানুষ এখন পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল। কেবল খাগড়াছড়িতেই মাসে পর্যটন খাতে লেনদেন প্রায় ১০ কোটি টাকা।’
খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. শফি উদ্দিন বলেন, ‘চুক্তির পরবর্তী সময়ে কৃষিতে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। নিরাপত্তার ঘাটতি না থাকায়, এখন যেকোনো দুর্গম এলাকায়ও কৃষি সম্প্রসারণে উদ্যোগ নেওয়া যাচ্ছে। খাগড়াছড়ির ৬৯ হাজার হেক্টরের বেশি জমি কৃষির আওতায় এসেছে। প্রায় ৭৫ হাজার পরিবার কৃষিকাজের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। কৃষি অর্থনীতিতে বছরে লেনদেন হয় হাজার কোটি টাকা।
এদিকে ২০১৭ সালে মাতৃভাষায় বই পায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা। এ প্রসঙ্গে খাগড়াছড়ির বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাবারাংয়ের নির্বাহী পরিচালক ও গবেষক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, ‘পাহাড়ের সব শিশুকে শিক্ষার আওতায় আনতে সরকার মাতৃভাষায় বই প্রণয়ন করেছে। এটি অনেক বড় অগ্রগতি।’
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘বর্তমান সরকারই ১৯৯৭ সালে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চুক্তি হয়েছে বলেই পর্যটকেরা নিরাপদে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভ্রমণ করতে পারছেন। নিরাপত্তা সংকট না থাকায় পাহাড়ে মানুষ নির্বিঘ্নে ভ্রমণ করতে পারছেন। পর্যটনের ওপর স্থানীয় জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ নির্ভরশীল। এ চুক্তি একটি আশীর্বাদ।’
জনসংহতি সমিতিতে অসন্তোষ: পাহাড়ের অন্যতম আঞ্চলিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিতে বিরাজ করছে সন্তোষ। সংগঠনের শীর্ষ নেতা ও কেন্দ্রীয় সহসভাপতি বিভূ রঞ্জন চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরাজমান সামগ্রিক পরিস্থিতি আজ অত্যন্ত নাজুক। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে এখনো শোষণ, বঞ্চনা, গ্লানি, নিপীড়ন, অবিচার ও বিশেষ মহলের তৎপরতা বহাল তবিয়তে রয়েছে। অবিলম্বে ভূমি কমিশনের বিধিমালা প্রণয়ন করে বিচারকাজ শুরু করতে হবে। এ ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির আলোকে ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি কার্যকর করতে হবে। জনসংহতি সমিতির ৭ দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।
বিভূ রঞ্জন চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে সাধারণ প্রশাসন, পুলিশ, ভূমি ও ভূমি ব্যবস্থাপনা, উপজাতীয় আইন ও সামাজিক বিচার কার্যাবলি ও ক্ষমতা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে হস্তান্তর করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলোর মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের আওতাধীন বিষয় ও কার্যাবলি কার্যকরণ এবং পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিতকরণ, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের বিধিমালা চূড়ান্তকরণ, অভ্যন্তরীণ জুম্ম উদ্বাস্তু ও ভারত প্রত্যাগত জুম্ম শরণার্থীদের জায়গা-জমি প্রত্যর্পণ ও তাঁদের নিজস্ব জায়গা-জমিতে পুনর্বাসন, অনুপ্রবেশকারী বাঙালিদের পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে সম্মানজনকভাবে পুনর্বাসন, চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধানের জন্য অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন, অস্থানীয়দের কাছে প্রদত্ত ভূমি ইজারা বাতিলকরণ, পার্বত্য চট্টগ্রামের সব চাকরিতে জুম্মদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তিন পার্বত্য জেলার স্থায়ী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষদের নিয়োগ ইত্যাদি বিষয় বাস্তবায়নে সরকার অদ্যাবধি কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়নি।
তবে ইউপিডিএফের (গণতান্ত্রিক) সভাপতি শ্যামল কান্তি চাকমা বলেন, সরকারের সদিচ্ছার কারণে পার্বত্য চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। পাহাড়ের সংঘাতময় পরিস্থিতি বন্ধে তিনি চুক্তি বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘পাহাড়ে যেসব পার্টি রয়েছে, তাদের আন্তরিকতার অভাবে লাশের মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। আমরা পার্টির পক্ষ থেকে মনে করি সংঘাত বন্ধ করতে হবে। আমরা সংঘাত চাই না।’
আজ ২ ডিসেম্বর। পার্বত্য চুক্তির ২৪ বছর পূর্তির দিন। বাংলাদেশ সরকার ও জনসংহতি সমিতির মধ্যে ১৯৯৭ সালের এই দিনে চুক্তি হয়। এ চুক্তির কারণেই তিন পার্বত্য জেলা উন্নয়নমুখী হয়েছে বলে মনে করছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) দাবি, চুক্তির দুই-তৃতীয়াংশই বাস্তবায়িত হয়নি। এতে সংগঠনটিতে অসন্তোষ রয়েছে।
উন্নয়নের পথে পাহাড়: খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, ‘চুক্তি-পরবর্তী সময়ে পাহাড়ে প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে উন্নয়ন হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিতে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। চুক্তি না হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম অগ্রসর হতে পারত না।’
খাগড়াছড়ি আবাসিক হোটেল সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, ‘চুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ে পর্যটনের দ্বার উন্মোচিত হয়। অনেক মানুষ এখন পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল। কেবল খাগড়াছড়িতেই মাসে পর্যটন খাতে লেনদেন প্রায় ১০ কোটি টাকা।’
খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. শফি উদ্দিন বলেন, ‘চুক্তির পরবর্তী সময়ে কৃষিতে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। নিরাপত্তার ঘাটতি না থাকায়, এখন যেকোনো দুর্গম এলাকায়ও কৃষি সম্প্রসারণে উদ্যোগ নেওয়া যাচ্ছে। খাগড়াছড়ির ৬৯ হাজার হেক্টরের বেশি জমি কৃষির আওতায় এসেছে। প্রায় ৭৫ হাজার পরিবার কৃষিকাজের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। কৃষি অর্থনীতিতে বছরে লেনদেন হয় হাজার কোটি টাকা।
এদিকে ২০১৭ সালে মাতৃভাষায় বই পায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা। এ প্রসঙ্গে খাগড়াছড়ির বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাবারাংয়ের নির্বাহী পরিচালক ও গবেষক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, ‘পাহাড়ের সব শিশুকে শিক্ষার আওতায় আনতে সরকার মাতৃভাষায় বই প্রণয়ন করেছে। এটি অনেক বড় অগ্রগতি।’
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘বর্তমান সরকারই ১৯৯৭ সালে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চুক্তি হয়েছে বলেই পর্যটকেরা নিরাপদে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভ্রমণ করতে পারছেন। নিরাপত্তা সংকট না থাকায় পাহাড়ে মানুষ নির্বিঘ্নে ভ্রমণ করতে পারছেন। পর্যটনের ওপর স্থানীয় জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ নির্ভরশীল। এ চুক্তি একটি আশীর্বাদ।’
জনসংহতি সমিতিতে অসন্তোষ: পাহাড়ের অন্যতম আঞ্চলিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিতে বিরাজ করছে সন্তোষ। সংগঠনের শীর্ষ নেতা ও কেন্দ্রীয় সহসভাপতি বিভূ রঞ্জন চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরাজমান সামগ্রিক পরিস্থিতি আজ অত্যন্ত নাজুক। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে এখনো শোষণ, বঞ্চনা, গ্লানি, নিপীড়ন, অবিচার ও বিশেষ মহলের তৎপরতা বহাল তবিয়তে রয়েছে। অবিলম্বে ভূমি কমিশনের বিধিমালা প্রণয়ন করে বিচারকাজ শুরু করতে হবে। এ ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির আলোকে ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি কার্যকর করতে হবে। জনসংহতি সমিতির ৭ দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।
বিভূ রঞ্জন চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে সাধারণ প্রশাসন, পুলিশ, ভূমি ও ভূমি ব্যবস্থাপনা, উপজাতীয় আইন ও সামাজিক বিচার কার্যাবলি ও ক্ষমতা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে হস্তান্তর করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলোর মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের আওতাধীন বিষয় ও কার্যাবলি কার্যকরণ এবং পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিতকরণ, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের বিধিমালা চূড়ান্তকরণ, অভ্যন্তরীণ জুম্ম উদ্বাস্তু ও ভারত প্রত্যাগত জুম্ম শরণার্থীদের জায়গা-জমি প্রত্যর্পণ ও তাঁদের নিজস্ব জায়গা-জমিতে পুনর্বাসন, অনুপ্রবেশকারী বাঙালিদের পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে সম্মানজনকভাবে পুনর্বাসন, চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধানের জন্য অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন, অস্থানীয়দের কাছে প্রদত্ত ভূমি ইজারা বাতিলকরণ, পার্বত্য চট্টগ্রামের সব চাকরিতে জুম্মদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তিন পার্বত্য জেলার স্থায়ী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষদের নিয়োগ ইত্যাদি বিষয় বাস্তবায়নে সরকার অদ্যাবধি কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়নি।
তবে ইউপিডিএফের (গণতান্ত্রিক) সভাপতি শ্যামল কান্তি চাকমা বলেন, সরকারের সদিচ্ছার কারণে পার্বত্য চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। পাহাড়ের সংঘাতময় পরিস্থিতি বন্ধে তিনি চুক্তি বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘পাহাড়ে যেসব পার্টি রয়েছে, তাদের আন্তরিকতার অভাবে লাশের মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। আমরা পার্টির পক্ষ থেকে মনে করি সংঘাত বন্ধ করতে হবে। আমরা সংঘাত চাই না।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
৭ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
৯ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে