নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের দুর্বল টেস্ট সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা নতুন কিছু নয়। পুরোনো ইস্যুটি আবার সামনে নিয়ে এলেন বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। ঢাকা টেস্ট হারের ব্যাখ্যায় পরশু ডমিঙ্গো বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার টেস্ট সংস্কৃতিতে পার্থক্যটা তুলে ধরেন তিনি। এই বিষয়ে গতকাল একই কথা প্রতিধ্বনিত হলো টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের কণ্ঠেও।
দেশের টেস্ট সংস্কৃতির উন্নতিতে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট উন্নয়নের বিকল্প নেই। অথচ এখানেই যে বিস্তর পার্থক্য থেকে গেছে, সেটি যেমন আগেও বলা হয়েছে, এখনো হচ্ছে। টেস্ট ক্রিকেটে দুই দশকের বেশি সময় কাটিয়ে দেওয়া বাংলাদেশ দল যখনই ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে হোঁচট খায়, তখন বিষয়টা সামনে আসে। কিন্তু এই সংকট উত্তরণে বিসিবি এখনো সঠিক পথে হাঁটতে পারেনি।
ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সঙ্গে টেস্টের পার্থক্য নিয়ে বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা নাজমুল আবেদীন ফাহিম বললেন, ‘আমাদের এখানে ঠিক প্রতিযোগিতাপূর্ণ ক্রিকেট হয় না। চার দিনের যে টুর্নামেন্ট হয়, সেটা প্রতিযোগিতাপূর্ণ নয়। প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ চ্যালেঞ্জিং মনোভাব তৈরি করে। খেলোয়াড়েরা যত বেশি এসবের মধ্য দিয়ে যাবে, তত শিখবে, জানবে। এতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সহজ হয়।’
দেশের স্বনামধন্য ক্রিকেট বিশ্লেষক ফাহিমের চোখে, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের দল নির্বাচন প্রক্রিয়াটা যথেষ্ট প্রশ্নবিদ্ধ। তিনি বললেন, ‘প্রতিবছর কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে একটা দল করে দেওয়া হয়, তারা খেলতে যায়, খেলে। দুর্বল ম্যানেজমেন্ট দিয়ে দল চালানো হয়। ভালো প্রতিযোগিতা, ভালো কোচিং স্টাফ, ভালো জ্ঞান—সব যদি একসঙ্গে হয়, তাহলে প্রতিযোগিতা গড়ে ওঠে, এটাতে খেলোয়াড়দের স্পৃহা গড়ে ওঠে।’
ঘরোয়া আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মধ্যে পার্থক্য থাকবেই। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেটি এতটাই বেশি, ক্রিকেটারদের কল্যাণ সংগঠন কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল তুলনা করতে লজ্জাই পাচ্ছেন, ‘গত দুই-তিন বছর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের সুযোগ-সুবিধা বাড়েনি। টেস্ট ক্রিকেটার আর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের মধ্যে পার্থক্য এতটাই, তুলনা করা বাতুলতা মাত্র। এটা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়।’ এ বিষয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটের সিনিয়র ক্রিকেটারদের নিয়ে শিগগির বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে বসবেন বলে জানালেন দেবব্রত। সেখানে অনুশীলন সুযোগ-সুবিধা, ম্যাচ ফি, বেতন, সারা বছরের কার্যক্রম ও ভেন্যুগুলোর উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করবেন তাঁরা।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সংস্কৃতিতে উন্নতি আনতে সেই পুরোনো দাবি—ক্রিকেটের বিকেন্দ্রীকরণের বিকল্প নেই। সারা দেশে ক্রিকেটে যে সুষম উন্নয়নের কথা বলা হয়, সেটা থেকে অনেক দূরে বিসিবি। ঢাকার বাইরের খেলাটার উন্নয়নে দেশের ধনী ক্রীড়া সংস্থাটির ব্যয় খুব একটা উল্লেখ করার মতো নয়। গত ১০ বছরে বিসিবি জেলা কিংবা বিভাগীয় পর্যায়ের ক্রিকেট উন্নয়নে অনুদান কিংবা অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে মোট ২ কোটি ২২ লাখ টাকা। সেটিও নিয়মিত নয়।
গত বছর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট উন্নয়নে বিসিবিকে কিছু প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। এর মধ্যে ছিল অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিভাগীয় পর্যায়ে অনূর্ধ্ব-২৩ দল গঠন, হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে ম্যাচ খেলা, দৈনিক ভিত্তিতে ক্রিকেটারদের সম্মানী ও দুই বছরের জন্য কোচিং স্টাফ নিয়োগের সুপারিশ। এই প্রস্তাব বাস্তবে রূপ দিতেও ক্রিকেটের বিকেন্দ্রীকরণ জরুরি।
এ ক্ষেত্রে বাজেটের সংকটকে সামনে আনছে বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের উন্নতিতে অঞ্চলভিত্তিক ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থাকতে হবে বছরজুড়ে। আর সেটি করতে হলে লাগবে পর্যাপ্ত বাজেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের উন্নতি নিয়ে বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি বলছেন, ‘আমরা যেকোনো পর্যায়ে টি-টেন, টি-টোয়েন্টি সবই খেলাচ্ছি। সংস্কৃতি বলতে আমরা এটাই বুঝি, খেলোয়াড়দের তো দোষ দিয়ে লাভ নেই। খেলোয়াড়দের যা দেব, সে অনুয়ায়ী তো খেলবে। লংগার ভার্সনের ম্যাচ বাড়ানোর চেষ্টা করছি। এখানে বাজেটেরও ব্যাপার আছে। খেলা বাড়লে খরচও বাড়ে। আশা করি, বোর্ডের সবাই এটা বোঝেন।’
দেশের দুর্বল টেস্ট সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা নতুন কিছু নয়। পুরোনো ইস্যুটি আবার সামনে নিয়ে এলেন বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। ঢাকা টেস্ট হারের ব্যাখ্যায় পরশু ডমিঙ্গো বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার টেস্ট সংস্কৃতিতে পার্থক্যটা তুলে ধরেন তিনি। এই বিষয়ে গতকাল একই কথা প্রতিধ্বনিত হলো টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের কণ্ঠেও।
দেশের টেস্ট সংস্কৃতির উন্নতিতে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট উন্নয়নের বিকল্প নেই। অথচ এখানেই যে বিস্তর পার্থক্য থেকে গেছে, সেটি যেমন আগেও বলা হয়েছে, এখনো হচ্ছে। টেস্ট ক্রিকেটে দুই দশকের বেশি সময় কাটিয়ে দেওয়া বাংলাদেশ দল যখনই ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে হোঁচট খায়, তখন বিষয়টা সামনে আসে। কিন্তু এই সংকট উত্তরণে বিসিবি এখনো সঠিক পথে হাঁটতে পারেনি।
ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সঙ্গে টেস্টের পার্থক্য নিয়ে বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা নাজমুল আবেদীন ফাহিম বললেন, ‘আমাদের এখানে ঠিক প্রতিযোগিতাপূর্ণ ক্রিকেট হয় না। চার দিনের যে টুর্নামেন্ট হয়, সেটা প্রতিযোগিতাপূর্ণ নয়। প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ চ্যালেঞ্জিং মনোভাব তৈরি করে। খেলোয়াড়েরা যত বেশি এসবের মধ্য দিয়ে যাবে, তত শিখবে, জানবে। এতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সহজ হয়।’
দেশের স্বনামধন্য ক্রিকেট বিশ্লেষক ফাহিমের চোখে, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের দল নির্বাচন প্রক্রিয়াটা যথেষ্ট প্রশ্নবিদ্ধ। তিনি বললেন, ‘প্রতিবছর কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে একটা দল করে দেওয়া হয়, তারা খেলতে যায়, খেলে। দুর্বল ম্যানেজমেন্ট দিয়ে দল চালানো হয়। ভালো প্রতিযোগিতা, ভালো কোচিং স্টাফ, ভালো জ্ঞান—সব যদি একসঙ্গে হয়, তাহলে প্রতিযোগিতা গড়ে ওঠে, এটাতে খেলোয়াড়দের স্পৃহা গড়ে ওঠে।’
ঘরোয়া আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মধ্যে পার্থক্য থাকবেই। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেটি এতটাই বেশি, ক্রিকেটারদের কল্যাণ সংগঠন কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল তুলনা করতে লজ্জাই পাচ্ছেন, ‘গত দুই-তিন বছর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের সুযোগ-সুবিধা বাড়েনি। টেস্ট ক্রিকেটার আর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের মধ্যে পার্থক্য এতটাই, তুলনা করা বাতুলতা মাত্র। এটা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়।’ এ বিষয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটের সিনিয়র ক্রিকেটারদের নিয়ে শিগগির বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে বসবেন বলে জানালেন দেবব্রত। সেখানে অনুশীলন সুযোগ-সুবিধা, ম্যাচ ফি, বেতন, সারা বছরের কার্যক্রম ও ভেন্যুগুলোর উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করবেন তাঁরা।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সংস্কৃতিতে উন্নতি আনতে সেই পুরোনো দাবি—ক্রিকেটের বিকেন্দ্রীকরণের বিকল্প নেই। সারা দেশে ক্রিকেটে যে সুষম উন্নয়নের কথা বলা হয়, সেটা থেকে অনেক দূরে বিসিবি। ঢাকার বাইরের খেলাটার উন্নয়নে দেশের ধনী ক্রীড়া সংস্থাটির ব্যয় খুব একটা উল্লেখ করার মতো নয়। গত ১০ বছরে বিসিবি জেলা কিংবা বিভাগীয় পর্যায়ের ক্রিকেট উন্নয়নে অনুদান কিংবা অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে মোট ২ কোটি ২২ লাখ টাকা। সেটিও নিয়মিত নয়।
গত বছর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট উন্নয়নে বিসিবিকে কিছু প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। এর মধ্যে ছিল অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিভাগীয় পর্যায়ে অনূর্ধ্ব-২৩ দল গঠন, হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে ম্যাচ খেলা, দৈনিক ভিত্তিতে ক্রিকেটারদের সম্মানী ও দুই বছরের জন্য কোচিং স্টাফ নিয়োগের সুপারিশ। এই প্রস্তাব বাস্তবে রূপ দিতেও ক্রিকেটের বিকেন্দ্রীকরণ জরুরি।
এ ক্ষেত্রে বাজেটের সংকটকে সামনে আনছে বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের উন্নতিতে অঞ্চলভিত্তিক ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থাকতে হবে বছরজুড়ে। আর সেটি করতে হলে লাগবে পর্যাপ্ত বাজেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের উন্নতি নিয়ে বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি বলছেন, ‘আমরা যেকোনো পর্যায়ে টি-টেন, টি-টোয়েন্টি সবই খেলাচ্ছি। সংস্কৃতি বলতে আমরা এটাই বুঝি, খেলোয়াড়দের তো দোষ দিয়ে লাভ নেই। খেলোয়াড়দের যা দেব, সে অনুয়ায়ী তো খেলবে। লংগার ভার্সনের ম্যাচ বাড়ানোর চেষ্টা করছি। এখানে বাজেটেরও ব্যাপার আছে। খেলা বাড়লে খরচও বাড়ে। আশা করি, বোর্ডের সবাই এটা বোঝেন।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে