আশিস রহমান, দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ)
মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯ বছরের টগবগে যুবক আব্দুল মজিদ। বাবার সঙ্গে কৃষি কাজ করতেন। যুদ্ধের শুরুর দিকে পাকিস্তানি সেনারা গ্রামে ঢুকে সাধারণ মানুষের ওপর জুলুম-নির্যাতন শুরু করে। একদিন মজিদের বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় হতদরিদ্র এক কৃষকের মহিষকে গুলি করে মেরে চলে যায় পাকিস্তানিরা। এ ঘটনা দাগ কাটে অজপাড়াগাঁর যুবক মজিদের মনে। পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরতে মনস্থির করেন। বাড়ি থেকে পালিয়ে যোগ দেন মুক্তিযুদ্ধে। প্রশিক্ষণ শেষে মহব্বতপুর, রসরাই, বেটিরগাঁও, মহব্বতপুর মোকাম, দোয়ারাবাজার, বালিউরা, ছাতক, গোবিন্দগঞ্জসহ একাধিক অভিযানে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেন তিনি।
একাত্তরের অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদদের বাড়ি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নেপালকুটি গ্রামে। উপজেলার বোগলাবাজারে বসে যুদ্ধদিনের গল্প শোনান তিনি আজকের পত্রিকাকে।
৫০ বছর আগের স্মৃতিচারণ করে আব্দুল মজিদ বলেন, ‘একটি গামছা, লুঙ্গি আর মাত্র ২০ টাকা নিয়ে বাড়ি ছাড়লাম। বাবা-মা ও বাড়ির কাউকেই জানাইনি। পথে বোগলাবাজারে গ্রামের আরও ৪-৫ জনকে পেয়ে যাই। তৎকালীন স্বাধীন বাংলা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মদন নন্দী মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় আমাদের নাম লেখান। তিনি আমাদের পাঠিয়ে দিলেন বাঁশতলা সাবসেক্টরে। সেখানে এক দিন এক রাত থাকার পর ভারতীয় আর্মির লোকজন আমাদের শিলংয়ে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ইকোয়ানে নিয়ে ২৮ দিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হলো। প্রশিক্ষণ শেষে প্রথমে পাথরঘাটা, পরে রেঙ্গুয়া হয়ে আসি বোগলাবাজারে। প্রথম দিনের অপারেশনেই চারজন আনসার সদস্যকে হাতেনাতে ধরি। তারা গ্রামের সাধারণ মানুষকে বিরক্ত করত, চাঁদাবাজি ও লুটতরাজ করত। তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়।’
যুদ্ধের স্মরণীয় ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে আব্দুল মজিদ বলেন, ‘টেংরাটিলা গ্যাসফিল্ড এলাকা ছিল পাকিস্তানি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। এখানে তাদের শক্ত ঘাঁটি ছিল। এই ঘাঁটি দখল করতে ক্যাপ্টেন হেলালের নেতৃত্বে আমরা একদল মুক্তিযোদ্ধা টেংরাটিলার দিকে অগ্রসর হই। পথে মহব্বতপুর মোকাম এলাকায় অবস্থান করার সময় আমাদের উপস্থিতির খবর স্থানীয় রাজাকারেরা পাকিস্তানি বাহিনীকে জানিয়ে দেয়। তারা আমাদের ওপর ওইদিন ভোররাতে হামলা শুরু করে। ভোররাত থেকে সকাল নয়টা পর্যন্ত বৃষ্টির মতো টানা গুলিবর্ষণ হয়। তাদের মর্টার হামলায় আমার পাশের এক সহযোদ্ধার মাথার খুলি উড়ে যায়। হাবিলদার মইনুদ্দীন, মমতাজসহ ৯ জন শহীদ হন। আমাদের গুলি ফুরিয়ে যায়। আমি ও সহযোদ্ধা মফিজ উদ্দিন পেটের সাথে রাইফেল বেঁধে ধানখেতের ভেতর দিয়ে ক্রলিং করে অল্পের জন্য বেঁচে যাই। সহযোদ্ধাদের লাশও নিয়ে আসতে পারিনি। চোখের সামনে সহযোদ্ধাদের প্রাণ হারানোর সেই স্মৃতি এখনো আমাকে তাড়া করে বেড়ায়।’
দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে আব্দুল মজিদ যোগ দেন সেনাবাহিনীতে। ১৯৭৮ সালে অবসরে যান। এক ছেলে ও দুই মেয়ের বাবা এই মুক্তিযোদ্ধা এখন পরিবার-পরিজন নিয়ে গ্রামে বসবাস করছেন। অবসর সময় পার করছেন কৃষিকাজ করে। তাঁর আশা, ‘এই দেশ একদিন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। এই স্বপ্ন নিয়ে এখনো বেঁচে আছি।’
মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯ বছরের টগবগে যুবক আব্দুল মজিদ। বাবার সঙ্গে কৃষি কাজ করতেন। যুদ্ধের শুরুর দিকে পাকিস্তানি সেনারা গ্রামে ঢুকে সাধারণ মানুষের ওপর জুলুম-নির্যাতন শুরু করে। একদিন মজিদের বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় হতদরিদ্র এক কৃষকের মহিষকে গুলি করে মেরে চলে যায় পাকিস্তানিরা। এ ঘটনা দাগ কাটে অজপাড়াগাঁর যুবক মজিদের মনে। পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরতে মনস্থির করেন। বাড়ি থেকে পালিয়ে যোগ দেন মুক্তিযুদ্ধে। প্রশিক্ষণ শেষে মহব্বতপুর, রসরাই, বেটিরগাঁও, মহব্বতপুর মোকাম, দোয়ারাবাজার, বালিউরা, ছাতক, গোবিন্দগঞ্জসহ একাধিক অভিযানে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেন তিনি।
একাত্তরের অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদদের বাড়ি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নেপালকুটি গ্রামে। উপজেলার বোগলাবাজারে বসে যুদ্ধদিনের গল্প শোনান তিনি আজকের পত্রিকাকে।
৫০ বছর আগের স্মৃতিচারণ করে আব্দুল মজিদ বলেন, ‘একটি গামছা, লুঙ্গি আর মাত্র ২০ টাকা নিয়ে বাড়ি ছাড়লাম। বাবা-মা ও বাড়ির কাউকেই জানাইনি। পথে বোগলাবাজারে গ্রামের আরও ৪-৫ জনকে পেয়ে যাই। তৎকালীন স্বাধীন বাংলা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মদন নন্দী মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় আমাদের নাম লেখান। তিনি আমাদের পাঠিয়ে দিলেন বাঁশতলা সাবসেক্টরে। সেখানে এক দিন এক রাত থাকার পর ভারতীয় আর্মির লোকজন আমাদের শিলংয়ে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ইকোয়ানে নিয়ে ২৮ দিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হলো। প্রশিক্ষণ শেষে প্রথমে পাথরঘাটা, পরে রেঙ্গুয়া হয়ে আসি বোগলাবাজারে। প্রথম দিনের অপারেশনেই চারজন আনসার সদস্যকে হাতেনাতে ধরি। তারা গ্রামের সাধারণ মানুষকে বিরক্ত করত, চাঁদাবাজি ও লুটতরাজ করত। তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়।’
যুদ্ধের স্মরণীয় ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে আব্দুল মজিদ বলেন, ‘টেংরাটিলা গ্যাসফিল্ড এলাকা ছিল পাকিস্তানি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। এখানে তাদের শক্ত ঘাঁটি ছিল। এই ঘাঁটি দখল করতে ক্যাপ্টেন হেলালের নেতৃত্বে আমরা একদল মুক্তিযোদ্ধা টেংরাটিলার দিকে অগ্রসর হই। পথে মহব্বতপুর মোকাম এলাকায় অবস্থান করার সময় আমাদের উপস্থিতির খবর স্থানীয় রাজাকারেরা পাকিস্তানি বাহিনীকে জানিয়ে দেয়। তারা আমাদের ওপর ওইদিন ভোররাতে হামলা শুরু করে। ভোররাত থেকে সকাল নয়টা পর্যন্ত বৃষ্টির মতো টানা গুলিবর্ষণ হয়। তাদের মর্টার হামলায় আমার পাশের এক সহযোদ্ধার মাথার খুলি উড়ে যায়। হাবিলদার মইনুদ্দীন, মমতাজসহ ৯ জন শহীদ হন। আমাদের গুলি ফুরিয়ে যায়। আমি ও সহযোদ্ধা মফিজ উদ্দিন পেটের সাথে রাইফেল বেঁধে ধানখেতের ভেতর দিয়ে ক্রলিং করে অল্পের জন্য বেঁচে যাই। সহযোদ্ধাদের লাশও নিয়ে আসতে পারিনি। চোখের সামনে সহযোদ্ধাদের প্রাণ হারানোর সেই স্মৃতি এখনো আমাকে তাড়া করে বেড়ায়।’
দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে আব্দুল মজিদ যোগ দেন সেনাবাহিনীতে। ১৯৭৮ সালে অবসরে যান। এক ছেলে ও দুই মেয়ের বাবা এই মুক্তিযোদ্ধা এখন পরিবার-পরিজন নিয়ে গ্রামে বসবাস করছেন। অবসর সময় পার করছেন কৃষিকাজ করে। তাঁর আশা, ‘এই দেশ একদিন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। এই স্বপ্ন নিয়ে এখনো বেঁচে আছি।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে