ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
নানা সমস্যায় জর্জরিত কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌরসভা। পৌর কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে। এসব না পেয়ে মানবেতর জীবন কাটছে তাঁদের। অন্যদিকে পানি সরবরাহের পাম্প চালানো বাবদ ও সড়ক বাতির বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ১ কোটি ৮ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭ টাকা। রয়েছে জনবল সংকটও। ৮৯ জনের পরিবর্তে কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন মাত্র ২৭ জন। ফলে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পৌরবাসী। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিনেও পৌরসভার উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নয়ন হয়নি। বাড়েনি নাগরিক সেবার ন্যূনতম মান।
তবে পৌর মেয়র জানান, এক বছর ধরে নিয়মিত কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হচ্ছে। কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের বকেয়া বেতন আস্তে আস্তে পরিশোধ করা হবে।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৩ সালে ১ জানুয়ারি ভেড়ামারা ইউনিয়ন পরিষদ বিলুপ্ত করে ৩ দশমিক ৮৯ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে ভেড়ামারা পৌরসভা গঠিত হয়। এ পৌরসভায় ৪০ হাজার মানুষের বসবাস। ২০০৬ সালে দ্বিতীয় শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হয় ভেড়ামারা। জন্মলগ্ন থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পৌর পরিষদের কাছে ভেড়ামারা ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপডিকো) পাওনা ২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। মূলত পানি সরবরাহের পাম্প চালানো বাবদ ও সড়ক বাতির বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়ে। এ ছাড়া পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ পর্যন্ত বেতন বকেয়া পড়েছে ২ কোটি ৫০ লাখ ৩০ হাজার ৯৪০ টাকা। আর ভাতা বকেয়া ২ কোটি ১৫ লাখ ৪০ হাজার ১৯০ টাকা।
সূত্রে আরও জানা যায়, বর্তমান মেয়র দায়িত্বভার নেওয়ার পর বিদ্যুৎ বিভাগের উচ্চ পর্যায়ে দেনদরবার করে বিল প্রায় অর্ধেক মওকুফ করিয়ে এখন ১ কোটি ৮ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭ টাকায় নিয়ে এসেছে। বিদ্যুৎ বিভাগকে তিন মাস অন্তর ৫ লাখ টাকা কিস্তিতে পরিশোধ করতে হচ্ছে।
পৌর জনবলের ৬২ পদ শূন্য: সূত্র জানায়, ভেড়ামারা পৌরসভায় ৮৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র ২৭ জন। এর মধ্যে প্রকৌশল বিভাগে জনবল দরকার ৩২ জন, আছেন ১০ জন। প্রশাসন বিভাগে ৩৫ জনবলের আছেন ১৩ জন। স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা এবং পরিচ্ছন্নতা বিভাগে ২২ জনের বদলে আছেন ৪ জন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মচারীরা বলেন, আমাদের মধ্যে কারও ২৪ মাসের কারও আবার ২৭ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। এ বেতন কবে পাব জানি না। পৌরসভা জন্ম থেকে চলছে এমনভাবে। তবে বর্তমান পরিষদের দায়িত্বকালে নিয়মিত বেতন-ভাতা পাচ্ছি। বর্তমান মেয়র এ টাকা পরিশোধে উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
পৌরসভার সচিব কাজি শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘পৌরসভায় আয়ের খাত কম। নিয়োগপ্রাপ্ত ও হাজিরাভিত্তিক কর্মচারীর মাসিক বেতন বাবদ প্রয়োজন ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ২২১ টাকা। অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের আনুতোষিক ও লামগ্রান্ট বাবদ মাসিক ব্যয় দুই লাখ ২০ হাজার টাকা। এ ছাড়া মাসিক বিদ্যুৎ বিল ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার সঙ্গে বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের বাৎসরিক পরিশোধের পরিমাণ ২০ লাখ টাকা। জ্বালানি তেল বাবদ মাসিক খরচ ৩৫ হাজার টাকা। বিবিধ ও আনুষঙ্গিক আরও ব্যয় ৮০ হাজার টাকা। মেয়র ও কাউন্সিলরের সম্মানী মাসিক ব্যয় ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা।’ সেবা দিতে জনবল নিয়োগ ও বেতন-ভাতা পরিশোধে আয়ের উৎসের কোনো বিকল্প নেই বলে তিনি জানান।
পৌর প্যানেল মেয়র নাইমুল হক বলেন, ‘জলাবদ্ধতা থেকে বাঁচতে নালাগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। রাস্তা ও আরসিসি নালা নির্মাণের ৮ কোটি ৬১ লাখ টাকার দরপত্র হয়েছে। এ ছাড়া শহরের ওপর দিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে ২.২ কিলোমিটার চার লেনের সড়ক, দুই পাশে নালা ও ফুটপাতের কাজের দরপত্র হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে শহরের চিত্র পাল্টে যাবে।
এ সব বিষয়ে পৌরসভার মেয়র আনোয়ারুল কবির টুটুল বলেন, ‘নতুন পরিষদ দায়িত্ব পালনের এক বছরের বেতন-ভাতা নিয়মিত দেওয়া হয়েছে। আয়ের উৎস বাড়ানোর বিকল্প নেই। এ জন্য বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে পৌরবাসীর সহযোগিতা দরকার। আয়ের খাত কম থাকায় বর্তমান পরিষদ চালাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের ব্যবস্থা করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যে ৯টি ময়লা টানার ভ্যান দিয়েছি। আবর্জনা ফেলার জন্য অস্থায়ী ভাগাড় করেছি। বিনোদনের জন্য শেখ রাসেল শিশু পার্ক নির্মাণের জমি অধিগ্রহণ শেষের দিকে। এ ছাড়া জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
নানা সমস্যায় জর্জরিত কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা পৌরসভা। পৌর কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের বেতন-ভাতা বকেয়া রয়েছে। এসব না পেয়ে মানবেতর জীবন কাটছে তাঁদের। অন্যদিকে পানি সরবরাহের পাম্প চালানো বাবদ ও সড়ক বাতির বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ১ কোটি ৮ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭ টাকা। রয়েছে জনবল সংকটও। ৮৯ জনের পরিবর্তে কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন মাত্র ২৭ জন। ফলে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পৌরবাসী। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিনেও পৌরসভার উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নয়ন হয়নি। বাড়েনি নাগরিক সেবার ন্যূনতম মান।
তবে পৌর মেয়র জানান, এক বছর ধরে নিয়মিত কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হচ্ছে। কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের বকেয়া বেতন আস্তে আস্তে পরিশোধ করা হবে।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৩ সালে ১ জানুয়ারি ভেড়ামারা ইউনিয়ন পরিষদ বিলুপ্ত করে ৩ দশমিক ৮৯ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে ভেড়ামারা পৌরসভা গঠিত হয়। এ পৌরসভায় ৪০ হাজার মানুষের বসবাস। ২০০৬ সালে দ্বিতীয় শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হয় ভেড়ামারা। জন্মলগ্ন থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পৌর পরিষদের কাছে ভেড়ামারা ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপডিকো) পাওনা ২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। মূলত পানি সরবরাহের পাম্প চালানো বাবদ ও সড়ক বাতির বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়ে। এ ছাড়া পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ পর্যন্ত বেতন বকেয়া পড়েছে ২ কোটি ৫০ লাখ ৩০ হাজার ৯৪০ টাকা। আর ভাতা বকেয়া ২ কোটি ১৫ লাখ ৪০ হাজার ১৯০ টাকা।
সূত্রে আরও জানা যায়, বর্তমান মেয়র দায়িত্বভার নেওয়ার পর বিদ্যুৎ বিভাগের উচ্চ পর্যায়ে দেনদরবার করে বিল প্রায় অর্ধেক মওকুফ করিয়ে এখন ১ কোটি ৮ লাখ ৯৩ হাজার ৮৭ টাকায় নিয়ে এসেছে। বিদ্যুৎ বিভাগকে তিন মাস অন্তর ৫ লাখ টাকা কিস্তিতে পরিশোধ করতে হচ্ছে।
পৌর জনবলের ৬২ পদ শূন্য: সূত্র জানায়, ভেড়ামারা পৌরসভায় ৮৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র ২৭ জন। এর মধ্যে প্রকৌশল বিভাগে জনবল দরকার ৩২ জন, আছেন ১০ জন। প্রশাসন বিভাগে ৩৫ জনবলের আছেন ১৩ জন। স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা এবং পরিচ্ছন্নতা বিভাগে ২২ জনের বদলে আছেন ৪ জন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মচারীরা বলেন, আমাদের মধ্যে কারও ২৪ মাসের কারও আবার ২৭ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। এ বেতন কবে পাব জানি না। পৌরসভা জন্ম থেকে চলছে এমনভাবে। তবে বর্তমান পরিষদের দায়িত্বকালে নিয়মিত বেতন-ভাতা পাচ্ছি। বর্তমান মেয়র এ টাকা পরিশোধে উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
পৌরসভার সচিব কাজি শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘পৌরসভায় আয়ের খাত কম। নিয়োগপ্রাপ্ত ও হাজিরাভিত্তিক কর্মচারীর মাসিক বেতন বাবদ প্রয়োজন ১৫ লাখ ৭৫ হাজার ২২১ টাকা। অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের আনুতোষিক ও লামগ্রান্ট বাবদ মাসিক ব্যয় দুই লাখ ২০ হাজার টাকা। এ ছাড়া মাসিক বিদ্যুৎ বিল ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার সঙ্গে বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের বাৎসরিক পরিশোধের পরিমাণ ২০ লাখ টাকা। জ্বালানি তেল বাবদ মাসিক খরচ ৩৫ হাজার টাকা। বিবিধ ও আনুষঙ্গিক আরও ব্যয় ৮০ হাজার টাকা। মেয়র ও কাউন্সিলরের সম্মানী মাসিক ব্যয় ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা।’ সেবা দিতে জনবল নিয়োগ ও বেতন-ভাতা পরিশোধে আয়ের উৎসের কোনো বিকল্প নেই বলে তিনি জানান।
পৌর প্যানেল মেয়র নাইমুল হক বলেন, ‘জলাবদ্ধতা থেকে বাঁচতে নালাগুলো পরিষ্কার করা হয়েছে। রাস্তা ও আরসিসি নালা নির্মাণের ৮ কোটি ৬১ লাখ টাকার দরপত্র হয়েছে। এ ছাড়া শহরের ওপর দিয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে ২.২ কিলোমিটার চার লেনের সড়ক, দুই পাশে নালা ও ফুটপাতের কাজের দরপত্র হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে শহরের চিত্র পাল্টে যাবে।
এ সব বিষয়ে পৌরসভার মেয়র আনোয়ারুল কবির টুটুল বলেন, ‘নতুন পরিষদ দায়িত্ব পালনের এক বছরের বেতন-ভাতা নিয়মিত দেওয়া হয়েছে। আয়ের উৎস বাড়ানোর বিকল্প নেই। এ জন্য বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে পৌরবাসীর সহযোগিতা দরকার। আয়ের খাত কম থাকায় বর্তমান পরিষদ চালাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের ব্যবস্থা করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যে ৯টি ময়লা টানার ভ্যান দিয়েছি। আবর্জনা ফেলার জন্য অস্থায়ী ভাগাড় করেছি। বিনোদনের জন্য শেখ রাসেল শিশু পার্ক নির্মাণের জমি অধিগ্রহণ শেষের দিকে। এ ছাড়া জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে