জসিম উদ্দিন, নীলফামারী
গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে নীলফামারীর হোটেল-রেস্তোরাঁসহ খাবারের দোকানে। দফায় দফায় খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে বেকায়দায় এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক। এতে দাম ঠিক রেখে খাবারের মান কমানোর অভিযোগ ক্রেতাদের।
জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সামসুল আলম জানান, সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের এসব খাবারের দাম বাড়ানো যাবে না। এ জন্য আমরা নিয়মিত তদারকি করছি। এ ছাড়া প্রতিটি হোটেল-রেস্তোরাঁয় মূল্যতালিকা থাকতে হবে। যদি কোনো খাবারের দাম বাড়ানো হয়, তা ওই তালিকায় সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। এ ছাড়া দৈনিক পণ্য ক্রয়ের পাকা রসিদ মালিকদের কাছে থাকতে হবে বলে।
জানা যায়, জেলায় ছোট-বড় দেড় শতাধিক খাবার হোটেল রয়েছে। এর মধ্যে সৈয়দপুর শহরে আছে ৫০টির বেশি খাবারের দোকান। এসব দোকানে ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় থাকে।
সৈয়দপুরে পাঁচমাথা মোড়ের একটি হোটেলে নিয়মিত সকালের নাশতা করেন নির্মাণ শ্রমিক রবিউল ইসলাম। তিনি জানান, কাজে যোগদানের আগে এই হোটেলে প্রতিদিন সকালের নাশতা খাই। আগে ১০ টাকা দামে দুটি পরোটা সকালের নাশতা হিসেবে যথেষ্ট ছিল, এখন একই দামের চারটা পরোটা খেয়ে পেট ভরছে না। কারণ হিসেবে তিনি জানান, পরোটাগুলো আকারে ছোট ও পাতলা। সঙ্গে ডাল বা সবজিতে আগের মতো স্বাদ নেই এবং পরিমাণে কম দেওয়া হয়।
শহরের বড় বাজারের হোটেলে সকালের নাশতা করতে আসা আফসানা মিমি নামে এক মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী জানায়, সকালে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় এ হোটেলে নাশতা করি। আগে ২০ টাকায় ভালো নাশতা করতে পারতাম। এখন ৪০ টাকায়ও পরিতৃপ্তির নাশতা হচ্ছে না।
সৈয়দপুর শহরের হোটেল মালিক সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, বাজারে সবজি, মাছ-মাংস ও মসলার দাম বেড়ে যাওয়ায় দৈনিক ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। এটা পোষাতে তিনি ভোক্তাদের কাছে প্রতি প্লেটে ১০ টাকা বাড়িয়েছেন। এতে যৎসামান্য ক্ষতি পূরণ হচ্ছে
হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মতিয়ার রহমান জানান, খাবার তৈরির উপকরণ, শ্রমিকের পারিশ্রমিক, দোকানভাড়া, বিদ্যুৎ বিল ও গ্যাসের দাম বাড়তি। অথচ ভোক্তাদের কাছে বাড়তি দাম নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে খাদ্যদ্রব্যের পরিমাণ ও আকৃতি কমাতে হচ্ছে। এরপরও এ ব্যবসা গুটিয়ে নিতে হবে অনেককে।
নীলফামারী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, ভোক্তাদের অভিযোগ আমলে নিয়ে এ বিষয়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে।
গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে নীলফামারীর হোটেল-রেস্তোরাঁসহ খাবারের দোকানে। দফায় দফায় খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে বেকায়দায় এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক। এতে দাম ঠিক রেখে খাবারের মান কমানোর অভিযোগ ক্রেতাদের।
জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সামসুল আলম জানান, সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের এসব খাবারের দাম বাড়ানো যাবে না। এ জন্য আমরা নিয়মিত তদারকি করছি। এ ছাড়া প্রতিটি হোটেল-রেস্তোরাঁয় মূল্যতালিকা থাকতে হবে। যদি কোনো খাবারের দাম বাড়ানো হয়, তা ওই তালিকায় সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। এ ছাড়া দৈনিক পণ্য ক্রয়ের পাকা রসিদ মালিকদের কাছে থাকতে হবে বলে।
জানা যায়, জেলায় ছোট-বড় দেড় শতাধিক খাবার হোটেল রয়েছে। এর মধ্যে সৈয়দপুর শহরে আছে ৫০টির বেশি খাবারের দোকান। এসব দোকানে ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় থাকে।
সৈয়দপুরে পাঁচমাথা মোড়ের একটি হোটেলে নিয়মিত সকালের নাশতা করেন নির্মাণ শ্রমিক রবিউল ইসলাম। তিনি জানান, কাজে যোগদানের আগে এই হোটেলে প্রতিদিন সকালের নাশতা খাই। আগে ১০ টাকা দামে দুটি পরোটা সকালের নাশতা হিসেবে যথেষ্ট ছিল, এখন একই দামের চারটা পরোটা খেয়ে পেট ভরছে না। কারণ হিসেবে তিনি জানান, পরোটাগুলো আকারে ছোট ও পাতলা। সঙ্গে ডাল বা সবজিতে আগের মতো স্বাদ নেই এবং পরিমাণে কম দেওয়া হয়।
শহরের বড় বাজারের হোটেলে সকালের নাশতা করতে আসা আফসানা মিমি নামে এক মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী জানায়, সকালে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় এ হোটেলে নাশতা করি। আগে ২০ টাকায় ভালো নাশতা করতে পারতাম। এখন ৪০ টাকায়ও পরিতৃপ্তির নাশতা হচ্ছে না।
সৈয়দপুর শহরের হোটেল মালিক সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, বাজারে সবজি, মাছ-মাংস ও মসলার দাম বেড়ে যাওয়ায় দৈনিক ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। এটা পোষাতে তিনি ভোক্তাদের কাছে প্রতি প্লেটে ১০ টাকা বাড়িয়েছেন। এতে যৎসামান্য ক্ষতি পূরণ হচ্ছে
হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মতিয়ার রহমান জানান, খাবার তৈরির উপকরণ, শ্রমিকের পারিশ্রমিক, দোকানভাড়া, বিদ্যুৎ বিল ও গ্যাসের দাম বাড়তি। অথচ ভোক্তাদের কাছে বাড়তি দাম নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে খাদ্যদ্রব্যের পরিমাণ ও আকৃতি কমাতে হচ্ছে। এরপরও এ ব্যবসা গুটিয়ে নিতে হবে অনেককে।
নীলফামারী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, ভোক্তাদের অভিযোগ আমলে নিয়ে এ বিষয়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে