রাহুল শর্মা, ঢাকা
নেই একাডেমিক বিভাগ। সুযোগ নেই পাঠদানের। তাই নিজস্ব শিক্ষক থাকার কথা নয় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিষয়টির স্পষ্ট উল্লেখ আছে আইনে। কিন্তু আইনের কোনো তোয়াক্কাই করেননি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ। সব নিয়মকানুন ও আইনকে পাশ কাটিয়ে তিনি ইচ্ছেমতো নিয়োগ দিয়েছেন ছয়জন শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীও নিয়োগ হয়েছে তাঁরই খেয়ালখুশিতে।
২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টির অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির এমন চিত্র পেয়েছে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দেখভালের দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। তাদের তদন্ত দল নিয়ম না মেনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ এবং পদোন্নতিতে অনিয়ম, প্রমাণ পেয়েছে। সত্যতা মিলেছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় আইনের তোয়াক্কা না করা উপাচার্যের বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের, যা নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধের পর্যায়ে পড়ে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে তদন্ত কমিটি।
এসব অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যকে অপসারণের সুপারিশ করেছে ইউজিসি। সম্প্রতি তদন্ত প্রতিবেদনটি পাঠানো হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখায়। ইউজিসির তদন্ত ও সুপারিশের আলোকে মন্ত্রণালয় কী ব্যবস্থা নেবে, জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে এ বিষয়ে দ্রুতই আমরা ব্যবস্থা নেব।’
ইউজিসির তদন্তে তোলা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ বলেন, ‘প্রতিবেদনে কী আছে আমি জানি না। তাই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’ এর আগে ইউজিসির তদন্তের আলোকে সরকার গোপালগঞ্জে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য খোন্দকার নাসির উদ্দিন ২০১৯ সালে এবং কুষ্টিয়ায় অবস্থিত ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবদুল হাকিমকে ২০১৫ সালে অপসারণ করেছে।
ঢাকার মোহাম্মদপুরের বছিলায় অস্থায়ী ক্যাম্পাসে পরিচালিত হচ্ছে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা প্রদানকারী মাদ্রাসাগুলোকে অধিভুক্ত করার এখতিয়ারসম্পন্ন প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক আহসান উল্লাহকে ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় দফায় নিয়োগ পান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় কিছু অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে গত বছর প্রথম দফায় তদন্তে নামে ইউজিসি। ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত হয় প্রথম তদন্ত কমিটি। তবে অধিকতর তদন্তের প্রয়োজনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম নিয়ে দ্বিতীয় দফা তদন্ত হয়েছে বলে জানান ইউজিসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম। দ্বিতীয় দফা তদন্তে নেতৃত্ব দেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ।
গত জুনে করা দ্বিতীয় দফার তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই নিয়োগ ও পদোন্নতিতে কোনো নিয়মকানুনই মানেননি আহসান উল্লাহ। নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি ও আঞ্চলিকতাকে প্রাধান্য দিয়েছেন। সর্বোচ্চসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন তাঁর নিজের এলাকা চট্টগ্রাম থেকে। পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে বয়স ও শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা তো আছে, পরীক্ষার ফলাফলেও করেছেন কাটাকাটি। বিধিবহির্ভূতভাবে নিয়োগ কমিটিকে পাশ কাটিয়ে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করেছেন। এমনকি তদন্ত চলাকালে তিনি দেখাতে পারেননি নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশের মূল কপি। পাঠদানের কোনো সুযোগ না থাকলেও উপাচার্যের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে শিক্ষক হিসেবে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ১৩ জন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীকে বানিয়েছেন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা। এ ছাড়া অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়োগের মূল কাগজপত্র পায়নি ইউজিসির তদন্ত দল। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই নিয়োগ দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। ৫২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ১১২ জন। শুধু নিয়োগ নয়, নিয়মবহির্ভূতভাবে দিয়েছেন কর্মকর্তাদের পদোন্নতি। বিষয়টিকে উপাচার্যের নৈতিক স্খলন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সরকার মনোনীত সিন্ডিকেট সদস্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) হেলাল উদ্দীন বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব অনৈতিক ও অবৈধ নিয়োগের বিরোধিতা করায় তাঁকে সিন্ডিকেট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নিয়মে না থাকলেও অধীনস্থ কয়েকটি মাদ্রাসায় বিভাগ খোলার অনুমোদন দেওয়া হয় বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এসব অভিযোগে উপাচার্যের সরাসরি সংশ্লিষ্টতা থাকায় এবং এসব ঘটনায় নৈতিক স্খলন হওয়ায় উপাচার্যের অপসারণের সুপারিশ করেছে ইউজিসির তদন্ত কমিটি। ‘অবৈধভাবে’ নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। একই সঙ্গে তাঁর সময়কালে যেসব নিয়োগ হয়েছে তা পুনরায় যথাযথ বিধি অনুসারে নিয়োগ দেওয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনাসহ নিয়মের ব্যত্যয় না ঘটাতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
নেই একাডেমিক বিভাগ। সুযোগ নেই পাঠদানের। তাই নিজস্ব শিক্ষক থাকার কথা নয় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিষয়টির স্পষ্ট উল্লেখ আছে আইনে। কিন্তু আইনের কোনো তোয়াক্কাই করেননি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ। সব নিয়মকানুন ও আইনকে পাশ কাটিয়ে তিনি ইচ্ছেমতো নিয়োগ দিয়েছেন ছয়জন শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীও নিয়োগ হয়েছে তাঁরই খেয়ালখুশিতে।
২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টির অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির এমন চিত্র পেয়েছে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দেখভালের দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। তাদের তদন্ত দল নিয়ম না মেনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ এবং পদোন্নতিতে অনিয়ম, প্রমাণ পেয়েছে। সত্যতা মিলেছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় আইনের তোয়াক্কা না করা উপাচার্যের বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের, যা নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধের পর্যায়ে পড়ে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে তদন্ত কমিটি।
এসব অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্যকে অপসারণের সুপারিশ করেছে ইউজিসি। সম্প্রতি তদন্ত প্রতিবেদনটি পাঠানো হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখায়। ইউজিসির তদন্ত ও সুপারিশের আলোকে মন্ত্রণালয় কী ব্যবস্থা নেবে, জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে এ বিষয়ে দ্রুতই আমরা ব্যবস্থা নেব।’
ইউজিসির তদন্তে তোলা অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ বলেন, ‘প্রতিবেদনে কী আছে আমি জানি না। তাই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’ এর আগে ইউজিসির তদন্তের আলোকে সরকার গোপালগঞ্জে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য খোন্দকার নাসির উদ্দিন ২০১৯ সালে এবং কুষ্টিয়ায় অবস্থিত ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবদুল হাকিমকে ২০১৫ সালে অপসারণ করেছে।
ঢাকার মোহাম্মদপুরের বছিলায় অস্থায়ী ক্যাম্পাসে পরিচালিত হচ্ছে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা প্রদানকারী মাদ্রাসাগুলোকে অধিভুক্ত করার এখতিয়ারসম্পন্ন প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক আহসান উল্লাহকে ২০১৫ সালের ৪ জানুয়ারি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় দফায় নিয়োগ পান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় কিছু অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে গত বছর প্রথম দফায় তদন্তে নামে ইউজিসি। ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত হয় প্রথম তদন্ত কমিটি। তবে অধিকতর তদন্তের প্রয়োজনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম নিয়ে দ্বিতীয় দফা তদন্ত হয়েছে বলে জানান ইউজিসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম। দ্বিতীয় দফা তদন্তে নেতৃত্ব দেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ।
গত জুনে করা দ্বিতীয় দফার তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই নিয়োগ ও পদোন্নতিতে কোনো নিয়মকানুনই মানেননি আহসান উল্লাহ। নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি ও আঞ্চলিকতাকে প্রাধান্য দিয়েছেন। সর্বোচ্চসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দিয়েছেন তাঁর নিজের এলাকা চট্টগ্রাম থেকে। পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে বয়স ও শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা তো আছে, পরীক্ষার ফলাফলেও করেছেন কাটাকাটি। বিধিবহির্ভূতভাবে নিয়োগ কমিটিকে পাশ কাটিয়ে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করেছেন। এমনকি তদন্ত চলাকালে তিনি দেখাতে পারেননি নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশের মূল কপি। পাঠদানের কোনো সুযোগ না থাকলেও উপাচার্যের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে শিক্ষক হিসেবে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ১৩ জন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীকে বানিয়েছেন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা। এ ছাড়া অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়োগের মূল কাগজপত্র পায়নি ইউজিসির তদন্ত দল। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই নিয়োগ দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। ৫২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ১১২ জন। শুধু নিয়োগ নয়, নিয়মবহির্ভূতভাবে দিয়েছেন কর্মকর্তাদের পদোন্নতি। বিষয়টিকে উপাচার্যের নৈতিক স্খলন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সরকার মনোনীত সিন্ডিকেট সদস্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) হেলাল উদ্দীন বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব অনৈতিক ও অবৈধ নিয়োগের বিরোধিতা করায় তাঁকে সিন্ডিকেট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নিয়মে না থাকলেও অধীনস্থ কয়েকটি মাদ্রাসায় বিভাগ খোলার অনুমোদন দেওয়া হয় বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এসব অভিযোগে উপাচার্যের সরাসরি সংশ্লিষ্টতা থাকায় এবং এসব ঘটনায় নৈতিক স্খলন হওয়ায় উপাচার্যের অপসারণের সুপারিশ করেছে ইউজিসির তদন্ত কমিটি। ‘অবৈধভাবে’ নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। একই সঙ্গে তাঁর সময়কালে যেসব নিয়োগ হয়েছে তা পুনরায় যথাযথ বিধি অনুসারে নিয়োগ দেওয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনাসহ নিয়মের ব্যত্যয় না ঘটাতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ারও সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে