সুব্রত কুমার, কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ)
অধিক ফলনের নতুন ধানের বীজ উদ্ভাবন করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন মিজানুর রহমান (মিজু) নামে এক কৃষক। তিনি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার তালসার গ্রামের বাসিন্দা। নিজের উদ্ভাবিত ধান চাষ করে ভালো ফলন পেয়ে খুশি মিজু। ধানের বীজটি ‘মিজু-১’ ধান নামে দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছে তাঁর।
‘মিজু-১’ ধান চাষ করা তালসার গ্রামের চাষি নজরুল ইসলাম (নজু), কাশেম আলী, নাছির উদ্দিন, খলিলুর রহমান বলেন, আমরা দুই বছর ধরে এ ধানের চাষ করে আসছি। এ ধান অন্যান্য ধানের থেকে একটু মোটা। তবে উৎপাদনে সবার থেকে বেশি। বাঁশমতি, কাজললতা বিঘায় উৎপাদন হয় ২৫ থেকে ৩০ মণ। আর এ ধান উৎপাদন হয় ৩৫ থেকে ৩৬ মণ। এ ছাড়া এই ধানের বিচালি তুলনামূলক অনেক বেশি লম্বা হয়।
তাঁরা আরও বলেন, এ ধানের বীজ সারা দেশে ছড়িয়ে গেলে এবং চাষ হলে দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। মানুষও চাষ করে অনেক বেশি লাভবান হবেন।
ধানের উদ্ভাবক মিজানুর রহমান মিজু বলেন, ‘আমার নিজের কোনো চাষযোগ্য জমি নাই। পরের জমি ভাগে বর্গা চাষ করি। ২০২০ সালের দিকে আমার চাষ করা ধানের জমিতে কিছু বিশেষ ধান দেখতে পাই। ওই সময় ভাবি, ধানগুলো আলাদা করে চাষ করব। আর বীজ উৎপাদন করব। এরপর ওই জমি থেকে ধান সংগ্রহ করে দেড় কেজি ধান পাই। পরে তা বীজ খোলায় ফেলে চারা তৈরি করে ৫ কাঠা জমিতে চাষ করি। যা থেকে ২০২১ সালে ধান হয় ৯ মণ।’
মিজানুর রহমান বলেন, ‘এক মণ চাল বানিয়ে দেখি ভাতের স্বাদ কেমন? খারাপ হলে তো চাষিদের দেওয়া যাবে না। ওই বছর বাকি ধান স্থানীয় ৫০ থেকে ৬০ জন চাষির কাছে বিক্রি করি। যারা এ বছর চাষ করেছেন এবং ভালো ফলন পেয়ে লাভবানও হয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর ৪ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। বিঘায় ৩৬ মণ করে ধান হয়েছে।’ তিনি জানান, গত বছর ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলেও এ বছর ৫০ টাকা কেজি দরে করছেন।
মিজু বলেন, ‘আমি চাই, এ ধানের বীজ সারা দেশে মিজু-১ ধান নামে ছড়িয়ে পড়ুক। মানুষ ভালো ফলন পেয়ে লাভবান হোক এবং দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করুক।’ তিনি সহায়তা পেতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ চান।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাসিন আলী বলেন, ‘এটাকে ধানের বীজ সিলেকশন বলা হয়। বীজের উদ্ভাবক হতে গেলে, সেটা ন্যাশনাল ফিড বোর্ডের অনুমোদন থাকতে হবে। বীজের ব্যাপারটা আমি জানি। তবে আমি যাইনি। অফিসার আব্দুল্লা আল মামুন গিয়েছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওই চাষি দাবি করছেন বিঘায় ৩৫ মণ ফলন হচ্ছে। তবে আমরা ওনার কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করে চাষ করলে বুঝতে পারব, আসলে কতটা ফলন হচ্ছে। এটা চাষি পর্যায় দিতে হলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বোর্ডের অনুমতি লাগবে। এ ছাড়া স্থানীয়রা যদি কেউ ওই চাষির কাছ থেকে বীজ নিয়ে চাষ করতে চান, তাহলে করতে পারেন।’ উপজেলায় কত বিঘায় এ ধান চাষ হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে তিনি একা চাষ করেছেন। আর কেউ করেছেন কি না, আমার জানা নেই।’
অধিক ফলনের নতুন ধানের বীজ উদ্ভাবন করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন মিজানুর রহমান (মিজু) নামে এক কৃষক। তিনি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার তালসার গ্রামের বাসিন্দা। নিজের উদ্ভাবিত ধান চাষ করে ভালো ফলন পেয়ে খুশি মিজু। ধানের বীজটি ‘মিজু-১’ ধান নামে দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছে তাঁর।
‘মিজু-১’ ধান চাষ করা তালসার গ্রামের চাষি নজরুল ইসলাম (নজু), কাশেম আলী, নাছির উদ্দিন, খলিলুর রহমান বলেন, আমরা দুই বছর ধরে এ ধানের চাষ করে আসছি। এ ধান অন্যান্য ধানের থেকে একটু মোটা। তবে উৎপাদনে সবার থেকে বেশি। বাঁশমতি, কাজললতা বিঘায় উৎপাদন হয় ২৫ থেকে ৩০ মণ। আর এ ধান উৎপাদন হয় ৩৫ থেকে ৩৬ মণ। এ ছাড়া এই ধানের বিচালি তুলনামূলক অনেক বেশি লম্বা হয়।
তাঁরা আরও বলেন, এ ধানের বীজ সারা দেশে ছড়িয়ে গেলে এবং চাষ হলে দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। মানুষও চাষ করে অনেক বেশি লাভবান হবেন।
ধানের উদ্ভাবক মিজানুর রহমান মিজু বলেন, ‘আমার নিজের কোনো চাষযোগ্য জমি নাই। পরের জমি ভাগে বর্গা চাষ করি। ২০২০ সালের দিকে আমার চাষ করা ধানের জমিতে কিছু বিশেষ ধান দেখতে পাই। ওই সময় ভাবি, ধানগুলো আলাদা করে চাষ করব। আর বীজ উৎপাদন করব। এরপর ওই জমি থেকে ধান সংগ্রহ করে দেড় কেজি ধান পাই। পরে তা বীজ খোলায় ফেলে চারা তৈরি করে ৫ কাঠা জমিতে চাষ করি। যা থেকে ২০২১ সালে ধান হয় ৯ মণ।’
মিজানুর রহমান বলেন, ‘এক মণ চাল বানিয়ে দেখি ভাতের স্বাদ কেমন? খারাপ হলে তো চাষিদের দেওয়া যাবে না। ওই বছর বাকি ধান স্থানীয় ৫০ থেকে ৬০ জন চাষির কাছে বিক্রি করি। যারা এ বছর চাষ করেছেন এবং ভালো ফলন পেয়ে লাভবানও হয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর ৪ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। বিঘায় ৩৬ মণ করে ধান হয়েছে।’ তিনি জানান, গত বছর ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলেও এ বছর ৫০ টাকা কেজি দরে করছেন।
মিজু বলেন, ‘আমি চাই, এ ধানের বীজ সারা দেশে মিজু-১ ধান নামে ছড়িয়ে পড়ুক। মানুষ ভালো ফলন পেয়ে লাভবান হোক এবং দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করুক।’ তিনি সহায়তা পেতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ চান।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাসিন আলী বলেন, ‘এটাকে ধানের বীজ সিলেকশন বলা হয়। বীজের উদ্ভাবক হতে গেলে, সেটা ন্যাশনাল ফিড বোর্ডের অনুমোদন থাকতে হবে। বীজের ব্যাপারটা আমি জানি। তবে আমি যাইনি। অফিসার আব্দুল্লা আল মামুন গিয়েছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওই চাষি দাবি করছেন বিঘায় ৩৫ মণ ফলন হচ্ছে। তবে আমরা ওনার কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করে চাষ করলে বুঝতে পারব, আসলে কতটা ফলন হচ্ছে। এটা চাষি পর্যায় দিতে হলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বোর্ডের অনুমতি লাগবে। এ ছাড়া স্থানীয়রা যদি কেউ ওই চাষির কাছ থেকে বীজ নিয়ে চাষ করতে চান, তাহলে করতে পারেন।’ উপজেলায় কত বিঘায় এ ধান চাষ হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে তিনি একা চাষ করেছেন। আর কেউ করেছেন কি না, আমার জানা নেই।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে