এম মেহেদী হাসিন, রংপুর
উত্তরের জনপদ রংপুরে পাঁচ দিনের মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের পর তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখন বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। জেলাজুড়ে বয়ে যাওয়া হিমেল হাওয়া ও এই টানা শৈত্যপ্রবাহে দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী, খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল থেকে জেলাজুড়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, যা আগামী দুই দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। শুক্রবার ভোররাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির পরে পুনরায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
মাঘ মাসের কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন-আয়ের মানুষজন। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকেই। ঘন কুয়াশায় দৃষ্টিশক্তি কমে আসায় রাস্তায় হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করছে যানবাহন।
শীতবস্ত্রের অভাবে ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়ছেন জেলার বিভিন্ন নদীর চরাঞ্চলসহ ছিন্নমূল মানুষ। গবাদিপশু নিয়েও বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। শীত উপেক্ষা করেই জীবন-জীবিকার সন্ধানে ছুটে চলেছেন শ্রমজীবীরা।
মহানগরীর তপোধন এলাকার রিকশা-ভ্যানচালক সহিদার রহমান বলেন, ‘গরিব মাইনষের শীত-গরম নাই। শীতোত ভ্যান চলাইতে খুব কষ্ট হয়। হাত-পাও কোঁকড়া নাগে। শীতোক ভয় করি ঘরোত বসি থাকলে তো আর মাইয়া-ছাওয়ার প্যাটোত ভাত যাবার নায়।’
অভিরাম মনোহর এলাকায় কথা হয় অসুস্থ রিকশাচালক সবুজ মিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, পাঁচ দিন ধরে জ্বরে ভুগছেন। কিন্তু বাড়িতে খাবার নেই, সমিতিতে ঋণের কিস্তি বাকি পড়েছে। প্রতিবেশীর কাছ থেকে তিন কেজি চালও ধার করতে হয়েছে। এমন অবস্থায় শরীরে না সহ্য হলেও রিকশা চালাতে হচ্ছে।
কামারপাড়া এলাকার নির্মাণশ্রমিক মিলন মিয়া জানান, ঠান্ডার কারণে কয়েক দিন থেকে কাজে যাওয়া হচ্ছে না। ভবন নির্মাণের কাজ করতে হয় খোলা জায়গায়। সেখানে আরও বেশি ঠান্ডা। এখন বাড়িতে খাবার নেই। তাই ঠান্ডার ভয় দূরে রেখেই কাজে যেতে হচ্ছে।
অটোচালক আব্দুর রশিদের সঙ্গে দেখা হয় তাজহাট এলাকায়। তিনি জানান, উপার্জন না করলে পেটে ভাত যায় না। তাই হিমেল হাওয়া ও কুয়াশা উপেক্ষা করেই অটো নিয়ে বেরিয়েছেন। তবে ঠান্ডার কারণে পথে বেশি যাত্রী মিলছে না। দুই থেকে তিনজন যাত্রী নিলে তেমন রোজগার হয় না। তবুও যাত্রীর অভাবে অল্প কয়েকজন নিয়েই ছুটতে হয় গন্তব্যে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রংপুর মহানগরী, আট উপজেলা ও তিন পৌরসভায় শীতার্তদের জন্য ১ কোটি ১০ লাখ ৯৩ হাজার ৬০৭ টাকার কম্বল এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আসা ৫২ হাজার ৬০০টি কম্বল পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া আরও ১ হাজার ৩০০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
উত্তরের জনপদ রংপুরে পাঁচ দিনের মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের পর তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখন বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। জেলাজুড়ে বয়ে যাওয়া হিমেল হাওয়া ও এই টানা শৈত্যপ্রবাহে দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী, খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল থেকে জেলাজুড়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, যা আগামী দুই দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। শুক্রবার ভোররাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির পরে পুনরায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
মাঘ মাসের কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন-আয়ের মানুষজন। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকেই। ঘন কুয়াশায় দৃষ্টিশক্তি কমে আসায় রাস্তায় হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করছে যানবাহন।
শীতবস্ত্রের অভাবে ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়ছেন জেলার বিভিন্ন নদীর চরাঞ্চলসহ ছিন্নমূল মানুষ। গবাদিপশু নিয়েও বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। শীত উপেক্ষা করেই জীবন-জীবিকার সন্ধানে ছুটে চলেছেন শ্রমজীবীরা।
মহানগরীর তপোধন এলাকার রিকশা-ভ্যানচালক সহিদার রহমান বলেন, ‘গরিব মাইনষের শীত-গরম নাই। শীতোত ভ্যান চলাইতে খুব কষ্ট হয়। হাত-পাও কোঁকড়া নাগে। শীতোক ভয় করি ঘরোত বসি থাকলে তো আর মাইয়া-ছাওয়ার প্যাটোত ভাত যাবার নায়।’
অভিরাম মনোহর এলাকায় কথা হয় অসুস্থ রিকশাচালক সবুজ মিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, পাঁচ দিন ধরে জ্বরে ভুগছেন। কিন্তু বাড়িতে খাবার নেই, সমিতিতে ঋণের কিস্তি বাকি পড়েছে। প্রতিবেশীর কাছ থেকে তিন কেজি চালও ধার করতে হয়েছে। এমন অবস্থায় শরীরে না সহ্য হলেও রিকশা চালাতে হচ্ছে।
কামারপাড়া এলাকার নির্মাণশ্রমিক মিলন মিয়া জানান, ঠান্ডার কারণে কয়েক দিন থেকে কাজে যাওয়া হচ্ছে না। ভবন নির্মাণের কাজ করতে হয় খোলা জায়গায়। সেখানে আরও বেশি ঠান্ডা। এখন বাড়িতে খাবার নেই। তাই ঠান্ডার ভয় দূরে রেখেই কাজে যেতে হচ্ছে।
অটোচালক আব্দুর রশিদের সঙ্গে দেখা হয় তাজহাট এলাকায়। তিনি জানান, উপার্জন না করলে পেটে ভাত যায় না। তাই হিমেল হাওয়া ও কুয়াশা উপেক্ষা করেই অটো নিয়ে বেরিয়েছেন। তবে ঠান্ডার কারণে পথে বেশি যাত্রী মিলছে না। দুই থেকে তিনজন যাত্রী নিলে তেমন রোজগার হয় না। তবুও যাত্রীর অভাবে অল্প কয়েকজন নিয়েই ছুটতে হয় গন্তব্যে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রংপুর মহানগরী, আট উপজেলা ও তিন পৌরসভায় শীতার্তদের জন্য ১ কোটি ১০ লাখ ৯৩ হাজার ৬০৭ টাকার কম্বল এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আসা ৫২ হাজার ৬০০টি কম্বল পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া আরও ১ হাজার ৩০০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে