যশোর প্রতিনিধি
যশোর সদর হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে বিপাকে পড়েছেন রোগীরা। ব্যাহত হচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ এ হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা।
চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর হাতে এক ইন্টার্ন চিকিৎসক লাঞ্ছিত হওয়ার প্রতিবাদে গতকাল রোববার থেকে তাঁরা অনির্দিষ্টকালের জন্য এই কর্মবিরতির ডাক দেন।
রোববার সকালে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে তাঁরা এই প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। যশোর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা এখানে ইন্টার্ন চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা জানান, গত ১৫ ডিসেম্বর এক ইন্টার্ন চিকিৎসক চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর হাতে লাঞ্ছিত হন। ওই চিকিৎসক এক্স–রে করার জন্য সদর হাসপাতালের এক্স-রে রুমে যান। এ সময় তিনি দ্রুত এক্স-রে করে দিতে বললে অপারগতা প্রকাশ করেন হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারী। এ নিয়ে উভয়ে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে চতুর্থ শ্রেণির ওই কর্মচারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা আরও জানান, ঘটনার পরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে যায়। কিন্তু তখন থেকেই তাঁরা সর্বোচ্চ ধৈর্যধারণ করেন এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করে আসছেন।
যশোর মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন, ঘটনার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত অভিযুক্তের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বরং তাঁরা বিচারের নামে প্রহসন করছেন। আমরা বারবার তাঁদের সুষ্ঠু বিচারের জন্য তাগিদ দিয়েছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সে ব্যাপারে কোনো ভ্রুক্ষেপ করেননি। এ অবস্থায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য আমাদের কর্মবিরতি চলবে।
বিকেলে সরেজমিনে হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে শুধু নার্সরাই চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।
মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীর স্বজন ইয়াকুব আলী জানান, তাঁর খালার বারবার খিঁচুনি উঠছে। কিন্তু দুই ঘণ্টা পার হলেও কোনো ডাক্তার আসেননি। নার্সরা মোবাইল ফোনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন। তিনি বারবার অনুরোধ করেও কোনো ডাক্তারের দেখা পাননি।
সার্জারি ওয়ার্ডের আবুল খায়ের বলেন, ‘গতকালও (শনিবার) দেখেছি ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা জখম রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন। প্রয়োজন হলেই তাঁরা এসে রোগীকে দেখে গেছেন এবং সে অনুযায়ী নার্সদের কাছে প্রেসক্রিপশন (ব্যবস্থাপত্র) লিখে দিয়েছেন। কিন্তু আজ (রোববার) কোনো ইন্টার্ন চিকিৎসকের দেখা মেলেনি। এতে নতুন ভর্তি হওয়া রোগীদের পাশাপাশি পুরোনো রোগীরাও সঠিক ব্যবস্থাপত্র পাচ্ছেন না।’
হাসপাতালের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, মূলত দুপুরের পর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সমস্ত রোগীর দেখভাল করতেন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা।
কোনো রোগীর পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক না হলে, জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক কিংবা কনসালট্যান্টরা ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দিয়েই সব কাজ সারতেন। আর এ সময়ে তাঁরা নিজেদের ক্লিনিক বা চেম্বার নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করতেন।
গতকালও জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক ও কনসালট্যান্টরা আগের মতোই নিজস্ব ক্লিনিক ও চেম্বারে সময় কাটিয়েছেন। অন্যদিকে কর্মবিরতির কারণে অনুপস্থিত ছিলেন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে রোগীদের।
যশোর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করছি। দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’
যশোর সদর হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে বিপাকে পড়েছেন রোগীরা। ব্যাহত হচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ এ হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা।
চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর হাতে এক ইন্টার্ন চিকিৎসক লাঞ্ছিত হওয়ার প্রতিবাদে গতকাল রোববার থেকে তাঁরা অনির্দিষ্টকালের জন্য এই কর্মবিরতির ডাক দেন।
রোববার সকালে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে তাঁরা এই প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। যশোর মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা এখানে ইন্টার্ন চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা জানান, গত ১৫ ডিসেম্বর এক ইন্টার্ন চিকিৎসক চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর হাতে লাঞ্ছিত হন। ওই চিকিৎসক এক্স–রে করার জন্য সদর হাসপাতালের এক্স-রে রুমে যান। এ সময় তিনি দ্রুত এক্স-রে করে দিতে বললে অপারগতা প্রকাশ করেন হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারী। এ নিয়ে উভয়ে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে চতুর্থ শ্রেণির ওই কর্মচারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা আরও জানান, ঘটনার পরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে যায়। কিন্তু তখন থেকেই তাঁরা সর্বোচ্চ ধৈর্যধারণ করেন এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করে আসছেন।
যশোর মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন, ঘটনার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত অভিযুক্তের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বরং তাঁরা বিচারের নামে প্রহসন করছেন। আমরা বারবার তাঁদের সুষ্ঠু বিচারের জন্য তাগিদ দিয়েছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সে ব্যাপারে কোনো ভ্রুক্ষেপ করেননি। এ অবস্থায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য আমাদের কর্মবিরতি চলবে।
বিকেলে সরেজমিনে হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে শুধু নার্সরাই চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন।
মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীর স্বজন ইয়াকুব আলী জানান, তাঁর খালার বারবার খিঁচুনি উঠছে। কিন্তু দুই ঘণ্টা পার হলেও কোনো ডাক্তার আসেননি। নার্সরা মোবাইল ফোনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন। তিনি বারবার অনুরোধ করেও কোনো ডাক্তারের দেখা পাননি।
সার্জারি ওয়ার্ডের আবুল খায়ের বলেন, ‘গতকালও (শনিবার) দেখেছি ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা জখম রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন। প্রয়োজন হলেই তাঁরা এসে রোগীকে দেখে গেছেন এবং সে অনুযায়ী নার্সদের কাছে প্রেসক্রিপশন (ব্যবস্থাপত্র) লিখে দিয়েছেন। কিন্তু আজ (রোববার) কোনো ইন্টার্ন চিকিৎসকের দেখা মেলেনি। এতে নতুন ভর্তি হওয়া রোগীদের পাশাপাশি পুরোনো রোগীরাও সঠিক ব্যবস্থাপত্র পাচ্ছেন না।’
হাসপাতালের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, মূলত দুপুরের পর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সমস্ত রোগীর দেখভাল করতেন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা।
কোনো রোগীর পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক না হলে, জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক কিংবা কনসালট্যান্টরা ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দিয়েই সব কাজ সারতেন। আর এ সময়ে তাঁরা নিজেদের ক্লিনিক বা চেম্বার নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করতেন।
গতকালও জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক ও কনসালট্যান্টরা আগের মতোই নিজস্ব ক্লিনিক ও চেম্বারে সময় কাটিয়েছেন। অন্যদিকে কর্মবিরতির কারণে অনুপস্থিত ছিলেন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে রোগীদের।
যশোর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করছি। দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে