আনোয়ার হোসেন, মনিরামপুর (যশোর)
করোনার টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য কোনো উদ্যোগেই কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছে না যশোরের মনিরামপুর স্বাস্থ্য বিভাগ। উপজেলাটিতে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে ৫ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও নিয়েছেন ২ লাখ ১৫ হাজার ব্যক্তি। সে হিসাবে, মনিরামপুরে টিকা নিয়েছেন ৪৩ শতাংশ মানুষ। বাকি রয়েছেন ৫৭ শতাংশ মানুষ।
এ ছাড়া ১৮ বছরের নিচের শিশুদের মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে সম্প্রতি। এই পর্যায়ের ৩৮ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে এখন পর্যন্ত টিকার আওতায় এসেছে সাড়ে ৯ হাজার। আগামী ১০ দিনের মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার কার্যক্রম সমাপ্ত করার কথা রয়েছে।
যদিও গত সোমবার শুরু হয়ে তিন দিন চলার পর টিকার স্বল্পতার কারণে গত বৃহস্পতিবার মনিরামপুরে স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। গতকাল শনিবার উপজেলা পরিষদ ও নেহালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছে। দুই কেন্দ্রেই স্বাস্থ্যবিধি ছিল উপেক্ষিত।
এ দিকে করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে টিকা কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে তৎপর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। সে লক্ষ্যে যশোরের মনিরামপুরে গ্রাম পর্যায়ে চলছে টিকাদান কর্মসূচি। প্রতিটি টিকাদান সম্প্রসারণ কর্মসূচি (ইপিআই) কেন্দ্রে ৩০০টি করে টিকা নিয়ে হাজির হচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী মানুষ না আসায় টিকা ফেরত নিয়ে যেতে হচ্ছে। ফলে গ্রাম পর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচিতেও আশানুরূপ ফল পাচ্ছে না স্বাস্থ্য বিভাগ।
জানা গেছে, চলতি মাসে মনিরামপুরে করোনা টিকাদান শত ভাগ করতে নানামুখী উদ্যোগ নেয় উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। টিকা বহির্ভূত কাউকে দোকানপাট ও বাজারঘাটে বসতে না দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে এ অভিযান শুরু হচ্ছে।
সপ্তাহে দুই দিন টিকাদান সম্প্রসারণ কর্মসূচি (ইপিআই) কেন্দ্রে টিকা কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রেখে অতিরিক্ত কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। চলতি মাসে শত ভাগ মানুষকে এই টিকার আওতায় আনার লক্ষ নির্ধারণ করা হয়।
৪০৮টি ইপিআই কেন্দ্রে ১ লাখ ২২ হাজার ৪০০ জনকে করোনা টিকা দেওয়ার যে কার্যক্রম চলছে তাতে কাঙ্ক্ষিত সাড়া মিলছে না। সপ্তাহে শনি ও মঙ্গলবার দুই দিনে এ টিকার কার্যক্রম চালু রয়েছে। এ দুই দিনের প্রতিদিন ৫১টি কেন্দ্রে ৩০০ করে ১৫ হাজার ৩০০ টিকা নিয়ে হাজির হচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। প্রতি কেন্দ্রে ৩০০ টিকা নিয়ে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত তাঁরা গ্রাম পর্যায়ে কাজ করছেন। কিন্তু গত চার দিনে কোনো কেন্দ্রে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।
কোনো কেন্দ্রে ৬৪ জন, কোথাও ৮০ জন, কোথাও ১২০ জন বা ২০০ জন টিকা নিয়েছেন। বাকি টিকা ফেরত নিয়ে যেতে হয়েছে স্বাস্থ্য কর্মীদের।
স্বাস্থ্য কর্মী ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘তিন দিনে পাঁচাকড়ি এলাকায় চারটি ইপিআই কেন্দ্রে ১ হাজার ২০০ টিকা নিয়ে গিয়েছি। প্রথম দিনে ১৯৮ জন, দ্বিতীয় দিন ১২০ জন, তৃতীয় দিন ৭৪ জন ও চতুর্থ দিনে ৬৪ জন টিকা নিয়েছেন।’
এ স্বাস্থ্য কর্মীর দাবি, গ্রামে অধিকাংশ লোক আগ থেকে টিকা নিয়ে ফেলেছেন। আবার অনেকে ইপিআই কেন্দ্রে টিকা দেওয়ার বিষয়টি জানেন না। এ জন্য এক কেন্দ্রে টিকা দেওয়ার জন্য ৩০০ জনকে পাওয়া যাচ্ছে না।
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. অনুপ কুমার বসু বলেন, ‘উপজেলার ৫ লাখ প্রাপ্ত বয়স্কদের টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এ পর্যন্ত ৪৩ শতাংশ অর্জিত হয়েছে।’
ডা. অনুপ কুমার বসু বলেন, ‘হাসপাতালে নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদে গণটিকার কার্যক্রম চালানো হয়েছে। এখন ইপিআই কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবুও লোকজনকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না।’
ডা. অনুপ বলেন, ‘৭৫ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে পারলে শতভাগ ধরে নেওয়া হয়। এ মাসের মধ্যে আমরা তা অর্জন করতে চাই।’
করোনার টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য কোনো উদ্যোগেই কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছে না যশোরের মনিরামপুর স্বাস্থ্য বিভাগ। উপজেলাটিতে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে ৫ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও নিয়েছেন ২ লাখ ১৫ হাজার ব্যক্তি। সে হিসাবে, মনিরামপুরে টিকা নিয়েছেন ৪৩ শতাংশ মানুষ। বাকি রয়েছেন ৫৭ শতাংশ মানুষ।
এ ছাড়া ১৮ বছরের নিচের শিশুদের মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে সম্প্রতি। এই পর্যায়ের ৩৮ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে এখন পর্যন্ত টিকার আওতায় এসেছে সাড়ে ৯ হাজার। আগামী ১০ দিনের মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার কার্যক্রম সমাপ্ত করার কথা রয়েছে।
যদিও গত সোমবার শুরু হয়ে তিন দিন চলার পর টিকার স্বল্পতার কারণে গত বৃহস্পতিবার মনিরামপুরে স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। গতকাল শনিবার উপজেলা পরিষদ ও নেহালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছে। দুই কেন্দ্রেই স্বাস্থ্যবিধি ছিল উপেক্ষিত।
এ দিকে করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে টিকা কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে তৎপর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। সে লক্ষ্যে যশোরের মনিরামপুরে গ্রাম পর্যায়ে চলছে টিকাদান কর্মসূচি। প্রতিটি টিকাদান সম্প্রসারণ কর্মসূচি (ইপিআই) কেন্দ্রে ৩০০টি করে টিকা নিয়ে হাজির হচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী মানুষ না আসায় টিকা ফেরত নিয়ে যেতে হচ্ছে। ফলে গ্রাম পর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচিতেও আশানুরূপ ফল পাচ্ছে না স্বাস্থ্য বিভাগ।
জানা গেছে, চলতি মাসে মনিরামপুরে করোনা টিকাদান শত ভাগ করতে নানামুখী উদ্যোগ নেয় উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। টিকা বহির্ভূত কাউকে দোকানপাট ও বাজারঘাটে বসতে না দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে এ অভিযান শুরু হচ্ছে।
সপ্তাহে দুই দিন টিকাদান সম্প্রসারণ কর্মসূচি (ইপিআই) কেন্দ্রে টিকা কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রেখে অতিরিক্ত কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। চলতি মাসে শত ভাগ মানুষকে এই টিকার আওতায় আনার লক্ষ নির্ধারণ করা হয়।
৪০৮টি ইপিআই কেন্দ্রে ১ লাখ ২২ হাজার ৪০০ জনকে করোনা টিকা দেওয়ার যে কার্যক্রম চলছে তাতে কাঙ্ক্ষিত সাড়া মিলছে না। সপ্তাহে শনি ও মঙ্গলবার দুই দিনে এ টিকার কার্যক্রম চালু রয়েছে। এ দুই দিনের প্রতিদিন ৫১টি কেন্দ্রে ৩০০ করে ১৫ হাজার ৩০০ টিকা নিয়ে হাজির হচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। প্রতি কেন্দ্রে ৩০০ টিকা নিয়ে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত তাঁরা গ্রাম পর্যায়ে কাজ করছেন। কিন্তু গত চার দিনে কোনো কেন্দ্রে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।
কোনো কেন্দ্রে ৬৪ জন, কোথাও ৮০ জন, কোথাও ১২০ জন বা ২০০ জন টিকা নিয়েছেন। বাকি টিকা ফেরত নিয়ে যেতে হয়েছে স্বাস্থ্য কর্মীদের।
স্বাস্থ্য কর্মী ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘তিন দিনে পাঁচাকড়ি এলাকায় চারটি ইপিআই কেন্দ্রে ১ হাজার ২০০ টিকা নিয়ে গিয়েছি। প্রথম দিনে ১৯৮ জন, দ্বিতীয় দিন ১২০ জন, তৃতীয় দিন ৭৪ জন ও চতুর্থ দিনে ৬৪ জন টিকা নিয়েছেন।’
এ স্বাস্থ্য কর্মীর দাবি, গ্রামে অধিকাংশ লোক আগ থেকে টিকা নিয়ে ফেলেছেন। আবার অনেকে ইপিআই কেন্দ্রে টিকা দেওয়ার বিষয়টি জানেন না। এ জন্য এক কেন্দ্রে টিকা দেওয়ার জন্য ৩০০ জনকে পাওয়া যাচ্ছে না।
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. অনুপ কুমার বসু বলেন, ‘উপজেলার ৫ লাখ প্রাপ্ত বয়স্কদের টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এ পর্যন্ত ৪৩ শতাংশ অর্জিত হয়েছে।’
ডা. অনুপ কুমার বসু বলেন, ‘হাসপাতালে নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদে গণটিকার কার্যক্রম চালানো হয়েছে। এখন ইপিআই কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবুও লোকজনকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না।’
ডা. অনুপ বলেন, ‘৭৫ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে পারলে শতভাগ ধরে নেওয়া হয়। এ মাসের মধ্যে আমরা তা অর্জন করতে চাই।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে