কাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী পোশাক পিনন। বিশেষ করে উৎসবে পরা হয় এই পোশাক। এই পোশাক বুনেই স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন সান্ত্বনা তঞ্চঙ্গ্যা। রাঙামাটির কাপ্তাই সদর ইউনিয়নের দুর্গম হরিণছড়া এলাকার দুছড়িপাড়ার বাসিন্দা।
কাপ্তাই লেকে ট্রলারে ১৫ কিলোমিটার যাওয়ার পর কিছুটা পথ হেঁটে গেলে দুছড়িপাড়া। হরিণছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ওই পাড়ায় গত বুধবার সকালে দেখা যায়, বাড়ির উঠানে পিনন তৈরি করছেন সান্ত্বনা তঞ্চঙ্গ্যা।
সান্ত্বনার বাবা শেল কুমার তঞ্চঙ্গ্যা একজন কৃষক, অন্যের জুমে দিনমজুরিতে কাজ করেন। কাজ না থাকলে ঘরে বসে থাকতে হয় তাঁকে। মা লক্ষ্মী দেবী তঞ্চঙ্গ্যা গৃহিণী। তিন বোনের মধ্যে সবার বড় সান্তনা। মেজো বোন দয়াবালা তঞ্চঙ্গ্যা কর্ণফুলী সরকারি কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে পড়ছে। ছোট বোন আদরবালা তঞ্চঙ্গ্যার পড়ালেখা প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে।
দীর্ঘশ্বাস ফেলেই সান্ত্বনা জানান, তিনি চন্দ্রঘোনা পাহাড়িকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০১৬ সালে এসএসসি উত্তীর্ণ হয়ে রাঙ্গুনিয়া সরকারি কলেজে ভর্তি হন। নানা কারণে এইচএসসি পাস করতে পারেননি। আর্থিক অবস্থার কারণে তাঁকে এই পিনন বুননের কাজ করতে হচ্ছে।
সান্ত্বনা জানান, তাঁরা তিন বোনই পিনন বোনেন। একটি পিনন তৈরিতে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ লাগে। স্থানীয়ভাবে একটি পিনন ৪ থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। আবার বাইরে নিয়ে গেলে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকাও বিক্রি হয়। তাঁরা মাসে চার-পাঁচটি পিনন তৈরি করেন। এগুলো বিক্রি করে যে লাভ হয়, তা দিয়ে পরিবার চলে।
সান্ত্বনা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পিনন তৈরি করা অত্যন্ত পরিশ্রমের কাজ। আবার পুঁজিও দরকার। যদি সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা পাওয়া যেত, তবে আরও বেশি এগিয়ে যেতে পারতাম।’
১১৯ নম্বর ভাইজ্যাতলী মৌজার হেডম্যান থোয়াই অং মারমা জানান, দুছড়িপাড়ায় সান্ত্বনা তঞ্চঙ্গ্যা ও তাঁর দুই বোন মিলে তাঁদের সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন। তবে এসব দুর্গম এলাকায় জেলা পরিষদ বা সরকারি সংস্থা এগিয়ে এলে, এমন অনেকে তাঁদের প্রতিভাকে আরও কাজে লাগাতে পারবেন।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য নবীন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সান্ত্বনারা খুবই গরিব। অনেক সময় তাঁরা সঠিক দাম পান না।’
গত বুধবার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শনে দুছড়িপাড়ায় যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনতাসির জাহান। এ সময় সান্ত্বনার পিনন বুনন দেখে বলেন, ‘সরকার যেমন উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দেয়, সহযোগিতা দেয়, তেমনি উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রান্তিক পর্যায়ে এই হস্তশিল্পীদের সহযোগিতা করা হবে।’
তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী পোশাক পিনন। বিশেষ করে উৎসবে পরা হয় এই পোশাক। এই পোশাক বুনেই স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন সান্ত্বনা তঞ্চঙ্গ্যা। রাঙামাটির কাপ্তাই সদর ইউনিয়নের দুর্গম হরিণছড়া এলাকার দুছড়িপাড়ার বাসিন্দা।
কাপ্তাই লেকে ট্রলারে ১৫ কিলোমিটার যাওয়ার পর কিছুটা পথ হেঁটে গেলে দুছড়িপাড়া। হরিণছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ওই পাড়ায় গত বুধবার সকালে দেখা যায়, বাড়ির উঠানে পিনন তৈরি করছেন সান্ত্বনা তঞ্চঙ্গ্যা।
সান্ত্বনার বাবা শেল কুমার তঞ্চঙ্গ্যা একজন কৃষক, অন্যের জুমে দিনমজুরিতে কাজ করেন। কাজ না থাকলে ঘরে বসে থাকতে হয় তাঁকে। মা লক্ষ্মী দেবী তঞ্চঙ্গ্যা গৃহিণী। তিন বোনের মধ্যে সবার বড় সান্তনা। মেজো বোন দয়াবালা তঞ্চঙ্গ্যা কর্ণফুলী সরকারি কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে পড়ছে। ছোট বোন আদরবালা তঞ্চঙ্গ্যার পড়ালেখা প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে।
দীর্ঘশ্বাস ফেলেই সান্ত্বনা জানান, তিনি চন্দ্রঘোনা পাহাড়িকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০১৬ সালে এসএসসি উত্তীর্ণ হয়ে রাঙ্গুনিয়া সরকারি কলেজে ভর্তি হন। নানা কারণে এইচএসসি পাস করতে পারেননি। আর্থিক অবস্থার কারণে তাঁকে এই পিনন বুননের কাজ করতে হচ্ছে।
সান্ত্বনা জানান, তাঁরা তিন বোনই পিনন বোনেন। একটি পিনন তৈরিতে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ লাগে। স্থানীয়ভাবে একটি পিনন ৪ থেকে ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। আবার বাইরে নিয়ে গেলে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকাও বিক্রি হয়। তাঁরা মাসে চার-পাঁচটি পিনন তৈরি করেন। এগুলো বিক্রি করে যে লাভ হয়, তা দিয়ে পরিবার চলে।
সান্ত্বনা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পিনন তৈরি করা অত্যন্ত পরিশ্রমের কাজ। আবার পুঁজিও দরকার। যদি সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা পাওয়া যেত, তবে আরও বেশি এগিয়ে যেতে পারতাম।’
১১৯ নম্বর ভাইজ্যাতলী মৌজার হেডম্যান থোয়াই অং মারমা জানান, দুছড়িপাড়ায় সান্ত্বনা তঞ্চঙ্গ্যা ও তাঁর দুই বোন মিলে তাঁদের সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন। তবে এসব দুর্গম এলাকায় জেলা পরিষদ বা সরকারি সংস্থা এগিয়ে এলে, এমন অনেকে তাঁদের প্রতিভাকে আরও কাজে লাগাতে পারবেন।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য নবীন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সান্ত্বনারা খুবই গরিব। অনেক সময় তাঁরা সঠিক দাম পান না।’
গত বুধবার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শনে দুছড়িপাড়ায় যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনতাসির জাহান। এ সময় সান্ত্বনার পিনন বুনন দেখে বলেন, ‘সরকার যেমন উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দেয়, সহযোগিতা দেয়, তেমনি উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রান্তিক পর্যায়ে এই হস্তশিল্পীদের সহযোগিতা করা হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৮ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে