সম্পাদকীয়
ট্রেনে মানুষ পুড়িয়ে মারার ঐতিহ্য কি আবার ফিরে এল? কে মারছে, কেন মারছে—এই প্রশ্নগুলো নিশ্চয়ই জরুরি, কিন্তু এ রকম একটি হৃদয়বিদারক ঘটনার পর শুধু কোনো এক পক্ষকে দোষী করে বক্তৃতা-বিবৃতি দেওয়া শোভন হবে না।
জনগণের করের পয়সায় রাষ্ট্র যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দিষ্ট কিছু কাজ দিয়েছে, তার একটি হচ্ছে এই দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করা। তারও আগে দরকার এ ধরনের পৈশাচিক ঘটনা যেন রেলের রাস্তায় না ঘটে, সে জন্য সতর্ক পাহারায় থাকা। দোষারোপের রাজনীতি এখানে সাধারণ নাগরিকদের খুব একটা কাজে লাগবে না।
এখন নিজেকেই প্রশ্ন করতে হবে, নির্বাচন এলেই কেন একটা দেশের মানুষ সহিংস হয়ে উঠবে? কেন কোনো ধরনের সমঝোতা হবে না বিবদমান দলগুলোর মধ্যে? কেন শুধু নিজস্ব কৌশল নিয়ে এগিয়ে যাবে রাজনৈতিক দল? কেন তারা অন্য কাউকে কোনো ধরনের ছাড় দেবে না? এই প্রশ্নগুলোর সহজ উত্তর নেই। অথচ একটি গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন মানেই উৎসবমুখর পরিবেশে সাধারণ জনগণ তার পছন্দের মানুষকে ভোট দেবে—এটাই কাঙ্ক্ষিত।
স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরেও আমরা যে তিমিরে ছিলাম, সেই তিমিরেই বসবাস করছি। এখনো লাশ পড়ার সঙ্গে রাজনীতির অপূর্ব সংযোগ! এটা কোনো স্বাভাবিক জীবনযাপন হতে পারে না।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ট্রেনটিতে শিশুসন্তানসহ পুড়ে অঙ্গার হলেন যে মা, তাঁর জানা ছিল না এ রকম এক ভয়াবহ হিংস্রতার শিকার হতে পারেন তিনি। হরতাল-অবরোধের নামে মানুষ হত্যার নাম রাজনীতি হতে পারে না। মানুষকেই যদি নিরাপত্তা দেওয়ার কথা মনে না থাকে, তাহলে মানুষের জন্য সেই রাজনীতি হয় কী করে?
ট্রেনে কে আগুন দিয়েছে সেটা জানা দরকার। যদি এই দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করা না যায়, তাহলে এই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিংবা এই গোয়েন্দাদের দিয়ে দেশের কোন কাজটা হবে? সাধারণ মানুষকে ঠ্যাঙানো আর ‘ছত্রিশ ঘা’র ভয় দেখানো কোনো বাহিনী কীভাবে জনগণের বন্ধু হবে? অথচ এই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বহু সদস্য আছেন, যাঁরা প্রকৃত অর্থেই জনগণের বন্ধু। তাঁদের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হলে জনগণ ও পুলিশের মধ্যে সেই সুসম্পর্ক আর বজায় থাকে না।
রাজনীতির নামে মানুষ হত্যা বন্ধ হোক। সেটা কে ঘটিয়েছে তা নিশ্চিতভাবে না জেনে অনুমানের ভিত্তিতে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা হবে অন্যায়। ট্রেনে আগুন দেওয়া কোনো রাজনৈতিক বিষয় হতে পারে না। এটা সরাসরি ফৌজদারি অপরাধ। এই অপরাধ যে করে, তাকে বিচারের কাঠগড়ায় এনে দাঁড় করানোর দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। সেটাই তারা করে দেখাক।
রাজনীতিটা কখনো এ রকম খেলো বিষয়ে পরিণত হবে, সে কথা কে কবে ভেবেছিল? না সরকারি দল, না বিরোধী দল, কেউই জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে বলছে না, ‘ভয় নেই আমরা আপনাদের পাশে আছি।’ এ রকম অনিশ্চিত অবস্থা দেশের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।
ট্রেনে মানুষ পুড়িয়ে মারার ঐতিহ্য কি আবার ফিরে এল? কে মারছে, কেন মারছে—এই প্রশ্নগুলো নিশ্চয়ই জরুরি, কিন্তু এ রকম একটি হৃদয়বিদারক ঘটনার পর শুধু কোনো এক পক্ষকে দোষী করে বক্তৃতা-বিবৃতি দেওয়া শোভন হবে না।
জনগণের করের পয়সায় রাষ্ট্র যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দিষ্ট কিছু কাজ দিয়েছে, তার একটি হচ্ছে এই দুর্বৃত্তদের খুঁজে বের করা। তারও আগে দরকার এ ধরনের পৈশাচিক ঘটনা যেন রেলের রাস্তায় না ঘটে, সে জন্য সতর্ক পাহারায় থাকা। দোষারোপের রাজনীতি এখানে সাধারণ নাগরিকদের খুব একটা কাজে লাগবে না।
এখন নিজেকেই প্রশ্ন করতে হবে, নির্বাচন এলেই কেন একটা দেশের মানুষ সহিংস হয়ে উঠবে? কেন কোনো ধরনের সমঝোতা হবে না বিবদমান দলগুলোর মধ্যে? কেন শুধু নিজস্ব কৌশল নিয়ে এগিয়ে যাবে রাজনৈতিক দল? কেন তারা অন্য কাউকে কোনো ধরনের ছাড় দেবে না? এই প্রশ্নগুলোর সহজ উত্তর নেই। অথচ একটি গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন মানেই উৎসবমুখর পরিবেশে সাধারণ জনগণ তার পছন্দের মানুষকে ভোট দেবে—এটাই কাঙ্ক্ষিত।
স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরেও আমরা যে তিমিরে ছিলাম, সেই তিমিরেই বসবাস করছি। এখনো লাশ পড়ার সঙ্গে রাজনীতির অপূর্ব সংযোগ! এটা কোনো স্বাভাবিক জীবনযাপন হতে পারে না।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ট্রেনটিতে শিশুসন্তানসহ পুড়ে অঙ্গার হলেন যে মা, তাঁর জানা ছিল না এ রকম এক ভয়াবহ হিংস্রতার শিকার হতে পারেন তিনি। হরতাল-অবরোধের নামে মানুষ হত্যার নাম রাজনীতি হতে পারে না। মানুষকেই যদি নিরাপত্তা দেওয়ার কথা মনে না থাকে, তাহলে মানুষের জন্য সেই রাজনীতি হয় কী করে?
ট্রেনে কে আগুন দিয়েছে সেটা জানা দরকার। যদি এই দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করা না যায়, তাহলে এই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিংবা এই গোয়েন্দাদের দিয়ে দেশের কোন কাজটা হবে? সাধারণ মানুষকে ঠ্যাঙানো আর ‘ছত্রিশ ঘা’র ভয় দেখানো কোনো বাহিনী কীভাবে জনগণের বন্ধু হবে? অথচ এই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বহু সদস্য আছেন, যাঁরা প্রকৃত অর্থেই জনগণের বন্ধু। তাঁদের রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হলে জনগণ ও পুলিশের মধ্যে সেই সুসম্পর্ক আর বজায় থাকে না।
রাজনীতির নামে মানুষ হত্যা বন্ধ হোক। সেটা কে ঘটিয়েছে তা নিশ্চিতভাবে না জেনে অনুমানের ভিত্তিতে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা হবে অন্যায়। ট্রেনে আগুন দেওয়া কোনো রাজনৈতিক বিষয় হতে পারে না। এটা সরাসরি ফৌজদারি অপরাধ। এই অপরাধ যে করে, তাকে বিচারের কাঠগড়ায় এনে দাঁড় করানোর দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। সেটাই তারা করে দেখাক।
রাজনীতিটা কখনো এ রকম খেলো বিষয়ে পরিণত হবে, সে কথা কে কবে ভেবেছিল? না সরকারি দল, না বিরোধী দল, কেউই জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে বলছে না, ‘ভয় নেই আমরা আপনাদের পাশে আছি।’ এ রকম অনিশ্চিত অবস্থা দেশের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে