সম্পাদকীয়
সেন্ট্রাল ক্যালকাটা কলেজে একসময় চাকরি করতেন তপন রায়চৌধুরী। সেখানে তিনি সহকর্মী হিসেবে পেয়েছিলেন কবি বিষ্ণু দেকে।
বিষ্ণু দে খুবই রসিক মানুষ। শুধু একটি বিষয়ে ছিলেন খুবই স্পর্শকাতর। তাঁর কবিতার দুর্বোধ্যতা নিয়ে কেউ কথা বললে তিনি চটে উঠতেন। সুনীল সেন সেই সুযোগটা নিতেন খুব। সুযোগ পেলেই তিনি বিষ্ণু দের কবিতার দুর্বোধ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করতেন।
একদিন এ রকম এক খোঁচার জবাবে বিষ্ণু দে বলেছিলেন, ‘আমার কবিতা মেয়েদের আর শিশুদের বুঝতে অসুবিধা হয় না। মুশকিল হয় শুধু অর্ধশিক্ষিত মধ্যবিত্তদের।’
বিষ্ণু দের কবিতা শিশুরা বুঝে যাবে, এতটা ভাবা বাড়াবাড়ি। উত্ত্যক্ত হয়েই এ কথা বলেছিলেন তিনি। তবে কখনো কখনো তিনি চটুল কবিতাও লিখেছেন। যেমন
দিলীপ সেনের বিয়ে উপলক্ষে তিনি খুবই সহজবোধ্য একটি কবিতা লিখেছিলেন, যার প্রথম পঙ্ক্তি ছিল, ‘দিলীপ সেনের কেন এত ঘোরাঘুরি’।
কলেজের পাশেই কমলালয় স্টোরের ভেতরে একটি চায়ের দোকান ছিল। চায়ের নেশা পেলে ক্লাস ফাঁকি দিয়েও সেখানে যেতেন অধ্যাপকেরা। তপন রায়চৌধুরী যেতেন, বিষ্ণু দে যেতেন। সেখানে চা খাওয়ানোর দায়টা মোটামুটি সবাই অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেন। কিন্তু বিষ্ণু দে এ খেলায় শামিল হতেন না। তিনি বেশির ভাগ দিনই সবাইকে নিজের পয়সায় চা খাওয়াতেন।
বিষ্ণু দের আরও একটি অবাক করা ব্যাপার দেখেছেন তপন রায়চৌধুরী। বিষ্ণু দে কলেজে আসতেন বাস অথবা ট্রামে। সেই বাস বা ট্রামে তিলধারণের ঠাঁই থাকত না। কিন্তু যখন বিষ্ণু দে নামতেন, তখন সবাই অবাক হয়ে লক্ষ করত, বিষ্ণু দের ধুতি বা পাঞ্জাবিতে কোনো ভাঁজ নেই।
কলেজের পর বাড়ি ফিরে বিষ্ণু দে অর্ধশায়িত হয়ে সুন্দর চাদরে ঢাকা একটি কুশনে মাথা রেখে বসে বা শুয়ে পড়তেন, কখনো বাখ শুনতেন, কখনো এলিয়ট পাউন্ডের কবিতা পড়তেন, কখনো পিকাসোর ছবির প্রতিলিপি দেখতেন। সেটাই ছিল তাঁর নিজস্ব সময়।
সূত্র: তপন রায়চৌধুরী, বাঙালনামা, পৃষ্ঠা ১৮০-১৮১
সেন্ট্রাল ক্যালকাটা কলেজে একসময় চাকরি করতেন তপন রায়চৌধুরী। সেখানে তিনি সহকর্মী হিসেবে পেয়েছিলেন কবি বিষ্ণু দেকে।
বিষ্ণু দে খুবই রসিক মানুষ। শুধু একটি বিষয়ে ছিলেন খুবই স্পর্শকাতর। তাঁর কবিতার দুর্বোধ্যতা নিয়ে কেউ কথা বললে তিনি চটে উঠতেন। সুনীল সেন সেই সুযোগটা নিতেন খুব। সুযোগ পেলেই তিনি বিষ্ণু দের কবিতার দুর্বোধ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করতেন।
একদিন এ রকম এক খোঁচার জবাবে বিষ্ণু দে বলেছিলেন, ‘আমার কবিতা মেয়েদের আর শিশুদের বুঝতে অসুবিধা হয় না। মুশকিল হয় শুধু অর্ধশিক্ষিত মধ্যবিত্তদের।’
বিষ্ণু দের কবিতা শিশুরা বুঝে যাবে, এতটা ভাবা বাড়াবাড়ি। উত্ত্যক্ত হয়েই এ কথা বলেছিলেন তিনি। তবে কখনো কখনো তিনি চটুল কবিতাও লিখেছেন। যেমন
দিলীপ সেনের বিয়ে উপলক্ষে তিনি খুবই সহজবোধ্য একটি কবিতা লিখেছিলেন, যার প্রথম পঙ্ক্তি ছিল, ‘দিলীপ সেনের কেন এত ঘোরাঘুরি’।
কলেজের পাশেই কমলালয় স্টোরের ভেতরে একটি চায়ের দোকান ছিল। চায়ের নেশা পেলে ক্লাস ফাঁকি দিয়েও সেখানে যেতেন অধ্যাপকেরা। তপন রায়চৌধুরী যেতেন, বিষ্ণু দে যেতেন। সেখানে চা খাওয়ানোর দায়টা মোটামুটি সবাই অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেন। কিন্তু বিষ্ণু দে এ খেলায় শামিল হতেন না। তিনি বেশির ভাগ দিনই সবাইকে নিজের পয়সায় চা খাওয়াতেন।
বিষ্ণু দের আরও একটি অবাক করা ব্যাপার দেখেছেন তপন রায়চৌধুরী। বিষ্ণু দে কলেজে আসতেন বাস অথবা ট্রামে। সেই বাস বা ট্রামে তিলধারণের ঠাঁই থাকত না। কিন্তু যখন বিষ্ণু দে নামতেন, তখন সবাই অবাক হয়ে লক্ষ করত, বিষ্ণু দের ধুতি বা পাঞ্জাবিতে কোনো ভাঁজ নেই।
কলেজের পর বাড়ি ফিরে বিষ্ণু দে অর্ধশায়িত হয়ে সুন্দর চাদরে ঢাকা একটি কুশনে মাথা রেখে বসে বা শুয়ে পড়তেন, কখনো বাখ শুনতেন, কখনো এলিয়ট পাউন্ডের কবিতা পড়তেন, কখনো পিকাসোর ছবির প্রতিলিপি দেখতেন। সেটাই ছিল তাঁর নিজস্ব সময়।
সূত্র: তপন রায়চৌধুরী, বাঙালনামা, পৃষ্ঠা ১৮০-১৮১
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৯ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২১ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে