সম্পাদকীয়
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে ৫ আগস্ট সোমবার দুপুরে। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং দেশত্যাগের খবর জানানোর পর দেশজুড়ে মানুষের বিজয়োল্লাস যেমন ছিল চোখে পড়ার মতো, তেমনি গণভবন, সংসদ ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ঢুকে লুটপাট, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বাসাবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আক্রমণের ঘটনাকে ক্ষুব্ধ মানুষের ক্রোধের সাময়িক বহিঃপ্রকাশ বলে মনে হলেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাসাবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়ে হামলার ঘটনাগুলো সাম্প্রদায়িক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কি?
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নিয়েছে ৮ আগস্ট রাতে। এই সরকারের শপথ গ্রহণের আগমুহূর্ত পর্যন্ত দেশ চলছিল সরকারবিহীন। মানুষের মধ্যে ছিল চরম অনিশ্চয়তা, উৎকণ্ঠা। পুলিশ বাহিনী নিষ্ক্রিয় থাকার সুযোগে দুষ্কৃতকারীরা চুরি-ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করেছে। নতুন এই সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। মানুষ আশা করছে, অতীতের ভুলত্রুটির পুনরাবৃত্তি নয়, এই সরকারের হাত ধরে এক নতুন বাংলাদেশের উত্থান ঘটবে। মুক্তিযুদ্ধের যে আকাঙ্ক্ষা—অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে। নতুন সরকার মানুষের অগ্রগতি ও স্বপ্নযাত্রার পথের সব বাধা অপসারণে দৃঢ়চিত্ত ও আপসহীন অবস্থানে থাকবে।
নতুন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে যাঁরা শপথ নিয়েছেন, তাঁদের নিজ নিজ রাজনৈতিক বিশ্বাস যা-ই হোক না কেন, দায়িত্বপালনে তাঁরা সব ধরনের পক্ষপাতমুক্ত থাকবেন বলেই আমরা আশা করি। এটা অস্বীকার করা যাবে না যে রাজনৈতিকভাবে আমরা চরম বিভাজিত এক জাতি। এত দিন এটা বলা হতো দুই ভাগে বিভাজিত জাতির এক ভাগের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, আরেক ভাগ বিএনপির নেতৃত্বে। তৃতীয় একটি শক্তির কথা বলা হলেও তা যে অতি দুর্বল, সেটা নিয়েও বিতর্কের অবকাশ নেই। আওয়ামী লীগ এখন পরাজিত শক্তি। তাহলে বিএনপি কি বিজয়ী? না। ড. ইউনূসসহ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের মানুষ দেখতে চাইবে সত্যিকার নির্দলীয় ভূমিকায়। আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করেছিল, বলপ্রয়োগের মাধ্যমে ভিন্নমত দলনে উঠেপড়ে লেগেছিল। নতুন সরকার নিশ্চয়ই সেই পথ অনুসরণ করবে না। এই সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। বলা হচ্ছে, এবারের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান নাকি দ্বিতীয় স্বাধীনতা। তাহলে প্রথম স্বাধীনতা নিশ্চয়ই একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ। প্রথম স্বাধীনতা দেশবাসীর যেসব স্বপ্ন অপূর্ণ রেখেছে, দ্বিতীয় স্বাধীনতা সেগুলো পূর্ণ করবে। নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে যে উপদেষ্টা পরিষদ বা সরকার গঠিত হয়েছে, সেই সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় নিশ্চয়ই থাকবে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, যারা অপরাধ করেছে, তাদের আইনের মাধ্যমে বিচারের আওতায় শিগগিরই উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। অরাজকতার বিষবাষ্প যে-ই ছড়াবে, বিজয়ী ছাত্র-জনতাসহ মুক্ত মানসিকতার মানুষ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পূর্ণ শক্তি তাদের ব্যর্থ করে দেবে।
আমরা চাই, প্রতিহিংসা ও হানাহানি পরিহার করে শাস্তি, সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের নীতি কার্যকর হোক।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে ৫ আগস্ট সোমবার দুপুরে। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং দেশত্যাগের খবর জানানোর পর দেশজুড়ে মানুষের বিজয়োল্লাস যেমন ছিল চোখে পড়ার মতো, তেমনি গণভবন, সংসদ ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ঢুকে লুটপাট, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বাসাবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আক্রমণের ঘটনাকে ক্ষুব্ধ মানুষের ক্রোধের সাময়িক বহিঃপ্রকাশ বলে মনে হলেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাসাবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়ে হামলার ঘটনাগুলো সাম্প্রদায়িক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কি?
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নিয়েছে ৮ আগস্ট রাতে। এই সরকারের শপথ গ্রহণের আগমুহূর্ত পর্যন্ত দেশ চলছিল সরকারবিহীন। মানুষের মধ্যে ছিল চরম অনিশ্চয়তা, উৎকণ্ঠা। পুলিশ বাহিনী নিষ্ক্রিয় থাকার সুযোগে দুষ্কৃতকারীরা চুরি-ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করেছে। নতুন এই সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। মানুষ আশা করছে, অতীতের ভুলত্রুটির পুনরাবৃত্তি নয়, এই সরকারের হাত ধরে এক নতুন বাংলাদেশের উত্থান ঘটবে। মুক্তিযুদ্ধের যে আকাঙ্ক্ষা—অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে। নতুন সরকার মানুষের অগ্রগতি ও স্বপ্নযাত্রার পথের সব বাধা অপসারণে দৃঢ়চিত্ত ও আপসহীন অবস্থানে থাকবে।
নতুন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে যাঁরা শপথ নিয়েছেন, তাঁদের নিজ নিজ রাজনৈতিক বিশ্বাস যা-ই হোক না কেন, দায়িত্বপালনে তাঁরা সব ধরনের পক্ষপাতমুক্ত থাকবেন বলেই আমরা আশা করি। এটা অস্বীকার করা যাবে না যে রাজনৈতিকভাবে আমরা চরম বিভাজিত এক জাতি। এত দিন এটা বলা হতো দুই ভাগে বিভাজিত জাতির এক ভাগের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, আরেক ভাগ বিএনপির নেতৃত্বে। তৃতীয় একটি শক্তির কথা বলা হলেও তা যে অতি দুর্বল, সেটা নিয়েও বিতর্কের অবকাশ নেই। আওয়ামী লীগ এখন পরাজিত শক্তি। তাহলে বিএনপি কি বিজয়ী? না। ড. ইউনূসসহ অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের মানুষ দেখতে চাইবে সত্যিকার নির্দলীয় ভূমিকায়। আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করেছিল, বলপ্রয়োগের মাধ্যমে ভিন্নমত দলনে উঠেপড়ে লেগেছিল। নতুন সরকার নিশ্চয়ই সেই পথ অনুসরণ করবে না। এই সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। বলা হচ্ছে, এবারের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান নাকি দ্বিতীয় স্বাধীনতা। তাহলে প্রথম স্বাধীনতা নিশ্চয়ই একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ। প্রথম স্বাধীনতা দেশবাসীর যেসব স্বপ্ন অপূর্ণ রেখেছে, দ্বিতীয় স্বাধীনতা সেগুলো পূর্ণ করবে। নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে যে উপদেষ্টা পরিষদ বা সরকার গঠিত হয়েছে, সেই সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকায় নিশ্চয়ই থাকবে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, যারা অপরাধ করেছে, তাদের আইনের মাধ্যমে বিচারের আওতায় শিগগিরই উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। অরাজকতার বিষবাষ্প যে-ই ছড়াবে, বিজয়ী ছাত্র-জনতাসহ মুক্ত মানসিকতার মানুষ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পূর্ণ শক্তি তাদের ব্যর্থ করে দেবে।
আমরা চাই, প্রতিহিংসা ও হানাহানি পরিহার করে শাস্তি, সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের নীতি কার্যকর হোক।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে