নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
তিন ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার ‘মীমাংসা’ বৈঠকের পর চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের বিবদমান দুপক্ষের নেতারা বলছেন, বৈঠকের সিদ্ধান্তে তাঁরা সন্তুষ্ট। গতকাল রোববার রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে চট্টগ্রামের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
ওই বৈঠকে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত হয়। এগুলোর মধ্যে নগর আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সম্মেলন স্বাভাবিকভাবে করার বিষয়টি উল্লেখযোগ্য। আর সমস্যার সমাধানে প্রতিটি থানায় গঠন করা হবে সাংগঠনিক দল। এর সদস্যরা সমস্যা খুঁজে বের করে সমাধান দেবেন।
গত বছরের ১৬ নভেম্বর থেকে চট্টগ্রাম নগরের ৪৩টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডের ইউনিট সম্মেলন নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ। মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত পক্ষের নেতারা এ নিয়ে আ জ ম নাছির উদ্দীন পক্ষের নামে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে ‘নালিশ’ করেন। এতে স্থগিত হয়ে যায় ওয়ার্ড সম্মেলন। অবশেষে গতকাল কেন্দ্রীয় নেতারা দুপক্ষের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয়ে এই বৈঠক চলে বেলা দেড়টা পর্যন্ত। সভায় মহিউদ্দিন চৌধুরী পক্ষের নেতারা তাঁদের অভিযোগ তুলে ধরেন। পরে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির এসবের ব্যাখ্যা দেন।
বৈঠকে ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ মাহমুদ আল স্বপন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান, চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, সাংসদ এম আবদুল লতিফ প্রমুখ।
বৈঠকের বিষয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা খোলামেলা আলোচনা করে ঐক্যের পথ খুঁজেছি। সবাই আন্তরিকভাবে কথা বলে ছোটখাটো সমস্যা সমাধানের পথ বের করেছেন।’
আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, এখন মহানগরের নেতাদের সমন্বয়ে ১৪টি থানার জন্য ১৪টি সাংগঠনিক দল গঠিত হবে। ওই দলের নেতারা তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধান করবেন। পাশাপাশি সদস্য নবায়ন ও সংগ্রহ কাজ তদারকি করবেন। এ ছাড়া ওয়ার্ড ও থানা সম্মেলন আয়োজনের পরিবেশও গড়ে তুলবেন এই দলের সদস্যরা।
দায়িত্বে ছয় নেতা: মহানগর আওয়ামী লীগের ১৪ সাংগঠনিক থানায় ১৪টি দলে কারা থাকবেন সেটি ঠিক করবেন ছয় নেতা। মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, আ জ ম নাছির, নগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ, সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এবং মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ওপর পড়েছে এই দায়িত্ব।
সভার সিদ্ধান্তে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন মহিউদ্দিন পক্ষের নেতা খোরশেদ আলম সুজন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা উভয় পক্ষ সন্তুষ্ট হয়ে সিদ্ধান্তগুলো মেনে সভা থেকে বেরিয়েছি। আশা করছি আর সমস্যা হবে না।’
তবে বক্তব্য জানতে আ জ ম নাছির উদ্দীনকে গতকাল মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত নগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বৈঠকের সিদ্ধান্তে আমরা শতভাগ সন্তুষ্ট।’
তিন ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার ‘মীমাংসা’ বৈঠকের পর চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের বিবদমান দুপক্ষের নেতারা বলছেন, বৈঠকের সিদ্ধান্তে তাঁরা সন্তুষ্ট। গতকাল রোববার রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে চট্টগ্রামের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
ওই বৈঠকে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত হয়। এগুলোর মধ্যে নগর আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সম্মেলন স্বাভাবিকভাবে করার বিষয়টি উল্লেখযোগ্য। আর সমস্যার সমাধানে প্রতিটি থানায় গঠন করা হবে সাংগঠনিক দল। এর সদস্যরা সমস্যা খুঁজে বের করে সমাধান দেবেন।
গত বছরের ১৬ নভেম্বর থেকে চট্টগ্রাম নগরের ৪৩টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডের ইউনিট সম্মেলন নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ। মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত পক্ষের নেতারা এ নিয়ে আ জ ম নাছির উদ্দীন পক্ষের নামে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে ‘নালিশ’ করেন। এতে স্থগিত হয়ে যায় ওয়ার্ড সম্মেলন। অবশেষে গতকাল কেন্দ্রীয় নেতারা দুপক্ষের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয়ে এই বৈঠক চলে বেলা দেড়টা পর্যন্ত। সভায় মহিউদ্দিন চৌধুরী পক্ষের নেতারা তাঁদের অভিযোগ তুলে ধরেন। পরে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির এসবের ব্যাখ্যা দেন।
বৈঠকে ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ মাহমুদ আল স্বপন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান, চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন, সাংসদ এম আবদুল লতিফ প্রমুখ।
বৈঠকের বিষয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা খোলামেলা আলোচনা করে ঐক্যের পথ খুঁজেছি। সবাই আন্তরিকভাবে কথা বলে ছোটখাটো সমস্যা সমাধানের পথ বের করেছেন।’
আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, এখন মহানগরের নেতাদের সমন্বয়ে ১৪টি থানার জন্য ১৪টি সাংগঠনিক দল গঠিত হবে। ওই দলের নেতারা তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধান করবেন। পাশাপাশি সদস্য নবায়ন ও সংগ্রহ কাজ তদারকি করবেন। এ ছাড়া ওয়ার্ড ও থানা সম্মেলন আয়োজনের পরিবেশও গড়ে তুলবেন এই দলের সদস্যরা।
দায়িত্বে ছয় নেতা: মহানগর আওয়ামী লীগের ১৪ সাংগঠনিক থানায় ১৪টি দলে কারা থাকবেন সেটি ঠিক করবেন ছয় নেতা। মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী, আ জ ম নাছির, নগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ, সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এবং মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ওপর পড়েছে এই দায়িত্ব।
সভার সিদ্ধান্তে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন মহিউদ্দিন পক্ষের নেতা খোরশেদ আলম সুজন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা উভয় পক্ষ সন্তুষ্ট হয়ে সিদ্ধান্তগুলো মেনে সভা থেকে বেরিয়েছি। আশা করছি আর সমস্যা হবে না।’
তবে বক্তব্য জানতে আ জ ম নাছির উদ্দীনকে গতকাল মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত নগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘বৈঠকের সিদ্ধান্তে আমরা শতভাগ সন্তুষ্ট।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
৯ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১২ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে