ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ
বিশ বছর আগেও স্বাভাবিক পানি প্রবাহ ছিল ময়মনসিংহ নগরীর ঐতিহ্যবাহী মাকরজানি খালে। মিলতো নানা প্রজাতির দেশি মাছ। কিন্তু সেই খাল দখলে-ভরাটে এখন হারিয়ে যাওয়ার পথে। পানির বদলে আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে খালটি। শুধু তাই-ই নয়, খাল দখল করে একের পর এক গড়ে তোলা হচ্ছে বহুতল ভবন। মূলত এই খালের জীর্ণদশার কারণে বর্ষায় নগরীতে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।
এসব যাদের দেখার কথা সেই পরিবেশ অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) ও স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের নীরবতায় ক্ষুব্ধ নগরবাসী। এভাবে দখল ও ভাগাড় তৈরি হওয়ার জন্য সিটি করপোরেশনের নিষ্ক্রিয়তা ও উদাসীনতাকে দুষছেন তাঁরা। ‘নামকাওয়াস্তে’ জরিমানা নয়, দখলকৃত ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়া হলেই দখল রোধ করা ধরা সম্ভব বলে মত তাঁদের।
সরেজমিন দেখা গেছে, নগরীর বিদ্যাময়ী স্কুলের পেছনের সড়ক ঘেঁষে প্রবাহিত ২৪ ফুট প্রস্থের মাকরজানি খাল ঘিরে শুরু হয়েছে দখলবাজি। শতাধিক ভবনের পেটে চলে গেছে খালটির প্রায় অর্ধেক অংশ। প্রভাবশালীরা একের পর এক বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি সবার চোখের সামনেই খাল ভরাট করে স্থানীয় প্রভাবশালী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম গড়ছেন ৭ তলা ভবন। ভবনটির সীমানা প্রাচীরের পুরোটাই খালের ওপরে চলে আসায় সংকুচিত হয়ে পড়েছে পানি প্রবাহ। একইভাবে মেদেনী হাই টাওয়ারসহ শতাধিক বহুতল ভবনের দখলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে খালের স্বাভাবিক গতি।
নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা এরশাদ করিম, মো. মানিক এবং রুবেল খান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দখলবাজিতে কে কাকে ছাড়িয়ে যাবেন সেই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। মসিক দখলবাজি বন্ধে কঠোর না হলে খালের অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে পড়বে।
সূত্র জানায়, সিটি করপোরেশন খাল দখলদারদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। জেল না দেওয়া হলেও গুনতে হয় জরিমানা। কিন্তু এরপর ফের দখলবাজিতে মেতে ওঠেন প্রভাবশালীরা। সম্প্রতি খাল দখল করায় প্রকৌশলী আব্দুর রহিমকে দুই দফায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহম্মেদ বলেন, গত অক্টোবর থেকে ৪২ দিন অভিযান চালিয়ে ১৮১টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১টি মামলাসহ আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে বিল্ডিং কোডে।
এদিকে খাল দখল করে বহুতল ভবন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুর রহিম বলেন, ‘খালের জমি ভরাট হলে সিটি করপোরেশন আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিত। কিন্তু সব নিয়মকানুন আমরা মেনে চলেছি। দখলের জন্য নয়, মশার উৎপাতের জন্য আমাদের জরিমানা করা হয়েছিল।’ যদিও সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, দখলের কারণেই তিনি জরিমানা গুনেছেন।
জেলা জনউদ্যোগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু বলেন, সিটি করপোরেশন যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন না করায় খাল দখলের প্রবণতা বাড়ছে। কেউ নিয়ম না মানলে প্রাথমিকভাবে জরিমানার বিধান রয়েছে। এরপরও কাজ না হলে তারা খালের জায়গায় নির্মিত ভবন ভেঙে দিতে পারে।’
ময়মনসিংহ পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ফরিদ আহম্মেদ বলেন, ‘দখলদারদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালায়। তবে নিজেদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি না হলে দখলদারদের নিবৃত্ত করা সম্ভব নয়।’
খাল দখলের অভিযোগের কথা স্বীকার করে ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘শর্ত মেনে অনেকেই ভবন নির্মাণ করছেন না। ফলে ভবনগুলোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে অভিযান চালানো আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। নিজেদের নিরাপত্তার জন্যই সবার নিয়মকানুন মেনে চলা জরুরি।’
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘শুধু আইন প্রয়োগের মাধ্যমে দখলবাজির টুঁটি চেপে ধরা সম্ভব নয়। প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে। দখলদারদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।’
বিশ বছর আগেও স্বাভাবিক পানি প্রবাহ ছিল ময়মনসিংহ নগরীর ঐতিহ্যবাহী মাকরজানি খালে। মিলতো নানা প্রজাতির দেশি মাছ। কিন্তু সেই খাল দখলে-ভরাটে এখন হারিয়ে যাওয়ার পথে। পানির বদলে আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে খালটি। শুধু তাই-ই নয়, খাল দখল করে একের পর এক গড়ে তোলা হচ্ছে বহুতল ভবন। মূলত এই খালের জীর্ণদশার কারণে বর্ষায় নগরীতে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।
এসব যাদের দেখার কথা সেই পরিবেশ অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) ও স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের নীরবতায় ক্ষুব্ধ নগরবাসী। এভাবে দখল ও ভাগাড় তৈরি হওয়ার জন্য সিটি করপোরেশনের নিষ্ক্রিয়তা ও উদাসীনতাকে দুষছেন তাঁরা। ‘নামকাওয়াস্তে’ জরিমানা নয়, দখলকৃত ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়া হলেই দখল রোধ করা ধরা সম্ভব বলে মত তাঁদের।
সরেজমিন দেখা গেছে, নগরীর বিদ্যাময়ী স্কুলের পেছনের সড়ক ঘেঁষে প্রবাহিত ২৪ ফুট প্রস্থের মাকরজানি খাল ঘিরে শুরু হয়েছে দখলবাজি। শতাধিক ভবনের পেটে চলে গেছে খালটির প্রায় অর্ধেক অংশ। প্রভাবশালীরা একের পর এক বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি সবার চোখের সামনেই খাল ভরাট করে স্থানীয় প্রভাবশালী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম গড়ছেন ৭ তলা ভবন। ভবনটির সীমানা প্রাচীরের পুরোটাই খালের ওপরে চলে আসায় সংকুচিত হয়ে পড়েছে পানি প্রবাহ। একইভাবে মেদেনী হাই টাওয়ারসহ শতাধিক বহুতল ভবনের দখলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে খালের স্বাভাবিক গতি।
নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা এরশাদ করিম, মো. মানিক এবং রুবেল খান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দখলবাজিতে কে কাকে ছাড়িয়ে যাবেন সেই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। মসিক দখলবাজি বন্ধে কঠোর না হলে খালের অস্তিত্বই বিপন্ন হয়ে পড়বে।
সূত্র জানায়, সিটি করপোরেশন খাল দখলদারদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। জেল না দেওয়া হলেও গুনতে হয় জরিমানা। কিন্তু এরপর ফের দখলবাজিতে মেতে ওঠেন প্রভাবশালীরা। সম্প্রতি খাল দখল করায় প্রকৌশলী আব্দুর রহিমকে দুই দফায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহম্মেদ বলেন, গত অক্টোবর থেকে ৪২ দিন অভিযান চালিয়ে ১৮১টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১টি মামলাসহ আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে বিল্ডিং কোডে।
এদিকে খাল দখল করে বহুতল ভবন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুর রহিম বলেন, ‘খালের জমি ভরাট হলে সিটি করপোরেশন আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিত। কিন্তু সব নিয়মকানুন আমরা মেনে চলেছি। দখলের জন্য নয়, মশার উৎপাতের জন্য আমাদের জরিমানা করা হয়েছিল।’ যদিও সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, দখলের কারণেই তিনি জরিমানা গুনেছেন।
জেলা জনউদ্যোগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু বলেন, সিটি করপোরেশন যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন না করায় খাল দখলের প্রবণতা বাড়ছে। কেউ নিয়ম না মানলে প্রাথমিকভাবে জরিমানার বিধান রয়েছে। এরপরও কাজ না হলে তারা খালের জায়গায় নির্মিত ভবন ভেঙে দিতে পারে।’
ময়মনসিংহ পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ফরিদ আহম্মেদ বলেন, ‘দখলদারদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসন বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালায়। তবে নিজেদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি না হলে দখলদারদের নিবৃত্ত করা সম্ভব নয়।’
খাল দখলের অভিযোগের কথা স্বীকার করে ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘শর্ত মেনে অনেকেই ভবন নির্মাণ করছেন না। ফলে ভবনগুলোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে অভিযান চালানো আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। নিজেদের নিরাপত্তার জন্যই সবার নিয়মকানুন মেনে চলা জরুরি।’
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘শুধু আইন প্রয়োগের মাধ্যমে দখলবাজির টুঁটি চেপে ধরা সম্ভব নয়। প্রত্যেককে সচেতন হতে হবে। দখলদারদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।’
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৬ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১৮ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে