রেঙ্গুনে তখন যে ফ্ল্যাটে থাকতেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, সেই ফ্ল্যাটের পাশে থাকতেন এক ধোপা। সেই ধোপার বাড়িতে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। শরৎচন্দ্র বুঝতে পারলেন, আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে নেবে তাঁর ফ্ল্যাটটিকেও। তাড়াতাড়ি কিছু জিনিসপত্র টিনের তোরঙ্গে পুরে ফেলে দিলেন নিচে। এরপর পুরো বাড়ি ভস্মীভূত হয়ে গেল। হিরণ্ময়ী দেবীকে নিয়ে তিনি ১৪ নম্বর পুজনডং স্ট্রিটে আরেকটি কাঠের বাড়িতে উঠলেন।
নতুন বাড়িতে দাঁড়িয়ে দেখলেন কীভাবে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে তাঁর ফ্ল্যাট। তাঁর লেখার খাতা পুড়ে যাচ্ছে। পুড়ে যাচ্ছে তাঁর লাইব্রেরি। ‘মহাশ্বেতা’, ‘চরিত্রহীন’, ‘নারীর ইতিহাস’–সবই পুড়ে গেল।
আবার লিখতে শুরু করলেন। রেঙ্গুনে বেশ কিছু মানুষ পেলেন, যারা তাঁর লেখার সমঝদার। তাঁদেরই অনুপ্রেরণায় কলকাতার ‘যমুনা’য় পাঠিয়ে দিলেন ‘রামের সুমতি’। সেটা প্রকাশিত হচ্ছিল ধারাবাহিকভাবে। এরপর ‘বিন্দুর ছেলে’, ‘পথনির্দেশ’। ‘ভারতবর্ষ’ নামে নতুন পত্রিকা থেকেও শরৎচন্দ্রের কাছে লেখা চাওয়া হলো। তিনি পাঠালেন ‘চরিত্রহীন’। তারা ছাপল না। সম্পাদক জলধর সেন। ‘বিরাজ বৌ’ ধারাবাহিকভাবে ছাপল তারা।
এরপর কয়েক মাসের ছুটি নিয়ে কলকাতায় এলেন শরৎচন্দ্র। যমুনা অফিসে বসে সম্পাদক ফণীবাবুর সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় তাঁকে দেখতে ‘ভারতবর্ষ’ পত্রিকার জলধর সেন এলেন। শরৎচন্দ্র বললেন, ‘দাদার সঙ্গে আমার পরিচয় করিয়ে দিতে হবে না।’
জলধর সেন অবাক হলেন। আগে থেকে তো পরিচয় নেই তাদের! তাহলে?
শরৎচন্দ্র খোলাসা করলেন, ‘আপনার বোধ হয় মনে আছে, আপনি কুন্তলীন-পুরস্কারের রচনা-প্রতিযোগিতার পরীক্ষক ছিলেন। “মন্দির” নামের একটি গল্পকে প্রথম স্থান দিয়েছিলেন।’
জলধর সেন বললেন, ‘হ্যাঁ, প্রায় দেড় শ গল্প এসেছিল। “মন্দির” সবচেয়ে ভালো লেগেছিল। মন্তব্যে লিখেছিলাম, লেখক চর্চা করলে ভবিষ্যতে যশস্বী হবে। সে তো লিখেছিলেন সুরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়!’
শরৎচন্দ্র বললেন, ‘গল্পটি আমিই লিখেছিলাম মামা সুরেনের নামে। তাই বলছিলাম, আপনার সঙ্গে আমার বহুদিনের পরিচয়।’
সূত্র: মণীন্দ্র চক্রবর্তী, দরদি শরৎচন্দ্র, পৃষ্ঠা, ১২৭-১৪৩
রেঙ্গুনে তখন যে ফ্ল্যাটে থাকতেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, সেই ফ্ল্যাটের পাশে থাকতেন এক ধোপা। সেই ধোপার বাড়িতে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। শরৎচন্দ্র বুঝতে পারলেন, আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে নেবে তাঁর ফ্ল্যাটটিকেও। তাড়াতাড়ি কিছু জিনিসপত্র টিনের তোরঙ্গে পুরে ফেলে দিলেন নিচে। এরপর পুরো বাড়ি ভস্মীভূত হয়ে গেল। হিরণ্ময়ী দেবীকে নিয়ে তিনি ১৪ নম্বর পুজনডং স্ট্রিটে আরেকটি কাঠের বাড়িতে উঠলেন।
নতুন বাড়িতে দাঁড়িয়ে দেখলেন কীভাবে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে তাঁর ফ্ল্যাট। তাঁর লেখার খাতা পুড়ে যাচ্ছে। পুড়ে যাচ্ছে তাঁর লাইব্রেরি। ‘মহাশ্বেতা’, ‘চরিত্রহীন’, ‘নারীর ইতিহাস’–সবই পুড়ে গেল।
আবার লিখতে শুরু করলেন। রেঙ্গুনে বেশ কিছু মানুষ পেলেন, যারা তাঁর লেখার সমঝদার। তাঁদেরই অনুপ্রেরণায় কলকাতার ‘যমুনা’য় পাঠিয়ে দিলেন ‘রামের সুমতি’। সেটা প্রকাশিত হচ্ছিল ধারাবাহিকভাবে। এরপর ‘বিন্দুর ছেলে’, ‘পথনির্দেশ’। ‘ভারতবর্ষ’ নামে নতুন পত্রিকা থেকেও শরৎচন্দ্রের কাছে লেখা চাওয়া হলো। তিনি পাঠালেন ‘চরিত্রহীন’। তারা ছাপল না। সম্পাদক জলধর সেন। ‘বিরাজ বৌ’ ধারাবাহিকভাবে ছাপল তারা।
এরপর কয়েক মাসের ছুটি নিয়ে কলকাতায় এলেন শরৎচন্দ্র। যমুনা অফিসে বসে সম্পাদক ফণীবাবুর সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় তাঁকে দেখতে ‘ভারতবর্ষ’ পত্রিকার জলধর সেন এলেন। শরৎচন্দ্র বললেন, ‘দাদার সঙ্গে আমার পরিচয় করিয়ে দিতে হবে না।’
জলধর সেন অবাক হলেন। আগে থেকে তো পরিচয় নেই তাদের! তাহলে?
শরৎচন্দ্র খোলাসা করলেন, ‘আপনার বোধ হয় মনে আছে, আপনি কুন্তলীন-পুরস্কারের রচনা-প্রতিযোগিতার পরীক্ষক ছিলেন। “মন্দির” নামের একটি গল্পকে প্রথম স্থান দিয়েছিলেন।’
জলধর সেন বললেন, ‘হ্যাঁ, প্রায় দেড় শ গল্প এসেছিল। “মন্দির” সবচেয়ে ভালো লেগেছিল। মন্তব্যে লিখেছিলাম, লেখক চর্চা করলে ভবিষ্যতে যশস্বী হবে। সে তো লিখেছিলেন সুরেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়!’
শরৎচন্দ্র বললেন, ‘গল্পটি আমিই লিখেছিলাম মামা সুরেনের নামে। তাই বলছিলাম, আপনার সঙ্গে আমার বহুদিনের পরিচয়।’
সূত্র: মণীন্দ্র চক্রবর্তী, দরদি শরৎচন্দ্র, পৃষ্ঠা, ১২৭-১৪৩
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে