আনোয়ার হোসেন, মনিরামপুর
যশোরের মনিরামপুরে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির প্রথম দফায় কাজ শেষ হয়েছে। এবারের কাজে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যদের বিরুদ্ধে ভুয়া নাম দিয়ে টাকা আত্মসাৎ, ৪০ দিনের জায়গায় ৩৭ দিন কাজ হওয়াসহ আরও অনেক অভিযোগ তুলেছেন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শ্রমিকেরা।
জানা গেছে, এবারের কর্মসূচিতে প্রতিটি ইউনিয়নেই ইউপি সদস্যদরা একজন করে ভুয়া শ্রমিকের নাম দিয়েছিলেন। তা ছাড়া মাইক্রোবাস ও পিকআপের মালিকের নামও রয়েছে তালিকায়। অবৈধভাবে নিজেদের নাম শ্রমিকদের তালিকায় রেখে কাজে না গিয়েই টাকা তুলেছেন সুবিধাবাদী এসব লোকজন। এ টাকা আবার ভাগ হয়েছে ইউপি সদস্যসহ প্রভাবশালীদের মধ্যে। এ ছাড়া শ্রমিকেরা ৩৭ দিন কাজ করলেও হাজিরা খাতায় দেখানো হয়েছে কাজ ৪০ দিনই হয়েছে। এ তিন দিনের মজুরিও প্রভাবশালী ওই চক্রের মধ্যেই ভাগ হয়ে যাবে বলে দাবি শ্রমিকদের।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মনিরামপুরে এবার ৪৬টি প্রকল্পে ১ হাজার ৯৫৬ জন শ্রমিক কাজ করেছেন। দৈনিক ৪০০ টাকা মজুরিতে চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এসব প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। গত বুধবার এসব কাজ শেষ হয়। সপ্তাহে বৃহস্পতি ও শুক্রবার বিরতি দিয়ে ৫ দিন করে কাজ চলতো।
চালুয়াহাটি ইউনিয়নের ১ নম্বর মোবারকপুর প্রকল্পের সভাপতি মশিউর রহমান বলেন, ‘আমার প্রকল্পের ৪২ জন শ্রমিকের সবাই কাজ করেছেন। গত বুধবার কাজের মেয়াদ ৩৭ দিন হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান বলেছেন, আর কাজ হবে না। তাই কাজ শেষ করে দিয়েছি। কেন কাজ বন্ধ হয়েছে বলতে পারব না।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাশিমনগর ইউনিয়নের ৩ নম্বর গোয়ালপাড়া ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সিদ্দিকুর রহমান নিজের ছেলে সোহাগ হোসেনের নাম দিয়েছেন কর্মসূচিতে। সোহাগ তিনটি মাইক্রোবাস ও পিকআপের মালিক। তিনি একদিনও কর্মসূচির কাজে হাজির হননি। অথচ প্রথম ধাপের ২০ দিনের কাজের টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। জানতে চাইলে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘ছেলের পরিবর্তে আমি মাঝেমধ্যে কাজ করেছি।’
কাশিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘ইউপি সদস্য সিদ্দিকের ছেলের নাম শ্রমিকদের তালিকায় আছে কিনা তা দেখতে হবে। সব ইউপি সদস্য একটি করে ভুয়া নাম দিতে পেরেছেন কিনা জানতে চাইলে চেয়ারম্যান তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘এমন কোনো তথ্য আমার জানা নেই।’
শ্রমিকের তালিকায় নাম রয়েছে হরিদাসকাটি ইউনিয়নের কুচলিয়া গ্রামের গৌরাঙ্গের, অথচ তিনি একদিনও কাজে যাননি বলে জানা গেছে। গৌরাঙ্গের নাম দিয়েছেন প্রকল্পের সভাপতি সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য চন্দনা রানী। চন্দনা রানী বলেন, ‘গৌরাঙ্গের পরিবর্তে অন্য লোক কাজ করেছেন।’ তবে গৌরাঙ্গের পরিবর্তে কাজ করা শ্রমিকের নাম বলতে পারেননি চন্দনা রানী।
রোহিতা ইউপির এক সদস্য নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ‘আমরা সবাই একজন করে শ্রমিকের নাম দেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আমি যাঁর নাম দিয়েছিলাম তিনি তিন দিন কাজে গিয়েছিলেন। তিনি ৮ হাজার টাকা পেয়েছেন।’
অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের সঠিক তদারকির অভাবেই অনিয়মের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির কাজ শেষ হয়েছে। নিয়মিত ৪৬টি প্রকল্প পরিদর্শনের নিয়ম থাকলেও এ দপ্তরের লোকজন একদিন করে প্রকল্পগুলো ঘুরেছেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ বায়েজিদের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি কল কেটে দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ জাকির হাসানের মোবাইল ফোনেও কল করা হলে তিনি কল ধরেননি।
কথা হয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী গোলাম সরোয়ার হোসেনের সঙ্গে। তিনি এ কাজের সুপারভাইজার। তিনি বলেন, ‘কাজ শুরু হওয়ার মুহূর্তে বৃষ্টি হয়েছিল। তা ছাড়া ইউপি চেয়ারম্যানেরা শ্রমিকদের তালিকা সঠিক সময়ে জমা না দেওয়ায় ৪০ দিনের পরিবর্তে ৩৭ দিন কাজ চলেছে। ৩৭ দিনের বিল তৈরি করেই সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে জমা দেওয়া হবে।’
গোলাম সরোয়ার আরও বলেন, ‘শ্রমিকদের ২০ দিনের বিল দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৭ দিনের বিল তৈরি শিগগিরই পাঠানো হবে। কোনো ইউপি সদস্য নিজেদের আত্মীয়–স্বজন কিংবা কাছের কোনো মানুষের নাম দিয়েছেন কিনা তা আমার জানা নেই।’
যশোরের মনিরামপুরে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির প্রথম দফায় কাজ শেষ হয়েছে। এবারের কাজে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যদের বিরুদ্ধে ভুয়া নাম দিয়ে টাকা আত্মসাৎ, ৪০ দিনের জায়গায় ৩৭ দিন কাজ হওয়াসহ আরও অনেক অভিযোগ তুলেছেন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শ্রমিকেরা।
জানা গেছে, এবারের কর্মসূচিতে প্রতিটি ইউনিয়নেই ইউপি সদস্যদরা একজন করে ভুয়া শ্রমিকের নাম দিয়েছিলেন। তা ছাড়া মাইক্রোবাস ও পিকআপের মালিকের নামও রয়েছে তালিকায়। অবৈধভাবে নিজেদের নাম শ্রমিকদের তালিকায় রেখে কাজে না গিয়েই টাকা তুলেছেন সুবিধাবাদী এসব লোকজন। এ টাকা আবার ভাগ হয়েছে ইউপি সদস্যসহ প্রভাবশালীদের মধ্যে। এ ছাড়া শ্রমিকেরা ৩৭ দিন কাজ করলেও হাজিরা খাতায় দেখানো হয়েছে কাজ ৪০ দিনই হয়েছে। এ তিন দিনের মজুরিও প্রভাবশালী ওই চক্রের মধ্যেই ভাগ হয়ে যাবে বলে দাবি শ্রমিকদের।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মনিরামপুরে এবার ৪৬টি প্রকল্পে ১ হাজার ৯৫৬ জন শ্রমিক কাজ করেছেন। দৈনিক ৪০০ টাকা মজুরিতে চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এসব প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। গত বুধবার এসব কাজ শেষ হয়। সপ্তাহে বৃহস্পতি ও শুক্রবার বিরতি দিয়ে ৫ দিন করে কাজ চলতো।
চালুয়াহাটি ইউনিয়নের ১ নম্বর মোবারকপুর প্রকল্পের সভাপতি মশিউর রহমান বলেন, ‘আমার প্রকল্পের ৪২ জন শ্রমিকের সবাই কাজ করেছেন। গত বুধবার কাজের মেয়াদ ৩৭ দিন হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান বলেছেন, আর কাজ হবে না। তাই কাজ শেষ করে দিয়েছি। কেন কাজ বন্ধ হয়েছে বলতে পারব না।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাশিমনগর ইউনিয়নের ৩ নম্বর গোয়ালপাড়া ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সিদ্দিকুর রহমান নিজের ছেলে সোহাগ হোসেনের নাম দিয়েছেন কর্মসূচিতে। সোহাগ তিনটি মাইক্রোবাস ও পিকআপের মালিক। তিনি একদিনও কর্মসূচির কাজে হাজির হননি। অথচ প্রথম ধাপের ২০ দিনের কাজের টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। জানতে চাইলে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘ছেলের পরিবর্তে আমি মাঝেমধ্যে কাজ করেছি।’
কাশিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘ইউপি সদস্য সিদ্দিকের ছেলের নাম শ্রমিকদের তালিকায় আছে কিনা তা দেখতে হবে। সব ইউপি সদস্য একটি করে ভুয়া নাম দিতে পেরেছেন কিনা জানতে চাইলে চেয়ারম্যান তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘এমন কোনো তথ্য আমার জানা নেই।’
শ্রমিকের তালিকায় নাম রয়েছে হরিদাসকাটি ইউনিয়নের কুচলিয়া গ্রামের গৌরাঙ্গের, অথচ তিনি একদিনও কাজে যাননি বলে জানা গেছে। গৌরাঙ্গের নাম দিয়েছেন প্রকল্পের সভাপতি সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য চন্দনা রানী। চন্দনা রানী বলেন, ‘গৌরাঙ্গের পরিবর্তে অন্য লোক কাজ করেছেন।’ তবে গৌরাঙ্গের পরিবর্তে কাজ করা শ্রমিকের নাম বলতে পারেননি চন্দনা রানী।
রোহিতা ইউপির এক সদস্য নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ‘আমরা সবাই একজন করে শ্রমিকের নাম দেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আমি যাঁর নাম দিয়েছিলাম তিনি তিন দিন কাজে গিয়েছিলেন। তিনি ৮ হাজার টাকা পেয়েছেন।’
অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের সঠিক তদারকির অভাবেই অনিয়মের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির কাজ শেষ হয়েছে। নিয়মিত ৪৬টি প্রকল্প পরিদর্শনের নিয়ম থাকলেও এ দপ্তরের লোকজন একদিন করে প্রকল্পগুলো ঘুরেছেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ বায়েজিদের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি কল কেটে দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ জাকির হাসানের মোবাইল ফোনেও কল করা হলে তিনি কল ধরেননি।
কথা হয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী গোলাম সরোয়ার হোসেনের সঙ্গে। তিনি এ কাজের সুপারভাইজার। তিনি বলেন, ‘কাজ শুরু হওয়ার মুহূর্তে বৃষ্টি হয়েছিল। তা ছাড়া ইউপি চেয়ারম্যানেরা শ্রমিকদের তালিকা সঠিক সময়ে জমা না দেওয়ায় ৪০ দিনের পরিবর্তে ৩৭ দিন কাজ চলেছে। ৩৭ দিনের বিল তৈরি করেই সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে জমা দেওয়া হবে।’
গোলাম সরোয়ার আরও বলেন, ‘শ্রমিকদের ২০ দিনের বিল দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৭ দিনের বিল তৈরি শিগগিরই পাঠানো হবে। কোনো ইউপি সদস্য নিজেদের আত্মীয়–স্বজন কিংবা কাছের কোনো মানুষের নাম দিয়েছেন কিনা তা আমার জানা নেই।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে