সাইফুল আলম তুহিন, ত্রিশাল
ত্রিশালের পোড়াবাড়ী-কান্দানিয়া সড়কের দুই পাশের ফিশারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সড়ক। পোড়াবাড়ী বাজার হতে এই সড়কের প্রায় এক কিলোমিটারে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ। ফিশারির পাড় হিসেবে ব্যবহার করায় অল্প বৃষ্টিতেই সড়কে তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। অথচ ত্রিশাল, ফুলবাড়িয়া, ভালুকা ও টাঙ্গাইল জেলার সখীপুর, ঘাটাইলের মানুষ এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। কিন্তু সড়কটি বেহাল হয়ে পড়ার দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ, ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের বেশির ভাগ অংশেই দুপাশে ফিশারি রয়েছে। মালিকেরা তাঁদের ফিশারি খননের পর থেকে ওই সড়ক পাড় হিসেবে ব্যবহার করছে। এতে সড়কে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় পানির নিচে ডুবে থাকে সড়কটি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এভাবে সড়কে পানি জমে থাকায় পথচারীদের হেঁটে চলাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সড়কের পাশে পাড় ছাড়াই ফিশারি নির্মাণ ঠেকাতে ও সড়কের উচ্চতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তেমন কোনো উদ্যোগ নেননি। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাইমুর রহমান নাইমের কথায়, ‘আমাদের স্কুলে আসা-যাওয়া করতে খুব কষ্ট হয়। একহাতে জুতা ও আরেক হাতে বই নিয়ে পানি মাড়িয়েই আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। ফিশারির পাড় দিয়ে ঘুরে আসার সুযোগ থাকলেও মালিকেরা বেড়া দিয়ে পথ আটকে দেয়। ফিশারিগুলোর জন্যই সড়কের এই বেহাল দশা।’
পোড়াবাড়ী বাজার এলাকার বাসিন্দা মনিরুজ্জামান তাকরিম বলেন, রাস্তার চেয়ে ফিশারির পাড় উঁচু। ফলে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় বেশ কিছু অংশ পানিতে ডুবে থাকে। পানির নিচে খানাখন্দ থাকায় প্রায়ই বাইসাইকেল, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পিচঢালা এই সড়ক এক বছর আগে মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু নিম্নমানের হওয়ায় এলাকাবাসী বাধা দিলে উপজেলা প্রশাসন গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবার কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু সড়কটি বেহালই রয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আনিস বলেন, কয়েক দিন আগেই এই সড়কে দুই পুলিশ সদস্য মোটরসাইকেল নিয়ে পানিতে পড়ে যান। আরও অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। কিছুদিন পরপরই খানাখন্দে আটকে যাচ্ছে যানবাহন। এতে অনেক সময় বন্ধ থাকছে যানবাহন চলাচল। এলাকার কিছু ফিশারির মালিক পাড় নির্মাণ করে সড়কের দুপাশে উঁচু করে রেখেছে। এতে করে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে থাকছে।
বৃদ্ধ ছাবেদ আলী ফকির বলেন, ‘অল্প বৃষ্টি হলেই রাস্তায় হাঁটু পানি জমে। গাড়ির চালকেরা যাত্রী নিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। তাঁরা ফিশারির মালিকদের গালাগালি করে। এ জন্য অনেক ফিশারির মালিক শ্যালো মেশিন দিয়ে রাস্তা থেকে পানি সরিয়েছে।’
এ বিষয়ে ফিশারির মালিক রেজাউল করীম বলেন, ‘আমি একা পানি নিষ্কাশনের জায়গা রেখে পাড় করলে লাভ কি। আশপাশে কোনো পুকুরেরই পাড় নেই। এ জন্য আমাদেরও অনেক সমস্যা হচ্ছে। বৃষ্টি হলে পুকুর ও সড়ক পানিতে একাকার হয়ে যায়। মাছ আটকে রাখতে জালের বেড়া দিয়েছি।’ আর ভেঙে পড়া সড়ক শুকনো মৌসুমে মাটি দিয়ে ভরাট করে দেবেন বলে জানান তিনি।
উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে রাস্তাটি মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর ফিশারির কারণে রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে আইন অনুযায়ী।’
ত্রিশাল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে যদি ফিশারি করা হয় এবং তাতে রাস্তায় স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, তবে ফিশারি মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ত্রিশালের পোড়াবাড়ী-কান্দানিয়া সড়কের দুই পাশের ফিশারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সড়ক। পোড়াবাড়ী বাজার হতে এই সড়কের প্রায় এক কিলোমিটারে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ। ফিশারির পাড় হিসেবে ব্যবহার করায় অল্প বৃষ্টিতেই সড়কে তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। অথচ ত্রিশাল, ফুলবাড়িয়া, ভালুকা ও টাঙ্গাইল জেলার সখীপুর, ঘাটাইলের মানুষ এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। কিন্তু সড়কটি বেহাল হয়ে পড়ার দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ, ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের বেশির ভাগ অংশেই দুপাশে ফিশারি রয়েছে। মালিকেরা তাঁদের ফিশারি খননের পর থেকে ওই সড়ক পাড় হিসেবে ব্যবহার করছে। এতে সড়কে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় পানির নিচে ডুবে থাকে সড়কটি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এভাবে সড়কে পানি জমে থাকায় পথচারীদের হেঁটে চলাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সড়কের পাশে পাড় ছাড়াই ফিশারি নির্মাণ ঠেকাতে ও সড়কের উচ্চতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তেমন কোনো উদ্যোগ নেননি। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাইমুর রহমান নাইমের কথায়, ‘আমাদের স্কুলে আসা-যাওয়া করতে খুব কষ্ট হয়। একহাতে জুতা ও আরেক হাতে বই নিয়ে পানি মাড়িয়েই আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। ফিশারির পাড় দিয়ে ঘুরে আসার সুযোগ থাকলেও মালিকেরা বেড়া দিয়ে পথ আটকে দেয়। ফিশারিগুলোর জন্যই সড়কের এই বেহাল দশা।’
পোড়াবাড়ী বাজার এলাকার বাসিন্দা মনিরুজ্জামান তাকরিম বলেন, রাস্তার চেয়ে ফিশারির পাড় উঁচু। ফলে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় বেশ কিছু অংশ পানিতে ডুবে থাকে। পানির নিচে খানাখন্দ থাকায় প্রায়ই বাইসাইকেল, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পিচঢালা এই সড়ক এক বছর আগে মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু নিম্নমানের হওয়ায় এলাকাবাসী বাধা দিলে উপজেলা প্রশাসন গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবার কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু সড়কটি বেহালই রয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আনিস বলেন, কয়েক দিন আগেই এই সড়কে দুই পুলিশ সদস্য মোটরসাইকেল নিয়ে পানিতে পড়ে যান। আরও অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। কিছুদিন পরপরই খানাখন্দে আটকে যাচ্ছে যানবাহন। এতে অনেক সময় বন্ধ থাকছে যানবাহন চলাচল। এলাকার কিছু ফিশারির মালিক পাড় নির্মাণ করে সড়কের দুপাশে উঁচু করে রেখেছে। এতে করে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে থাকছে।
বৃদ্ধ ছাবেদ আলী ফকির বলেন, ‘অল্প বৃষ্টি হলেই রাস্তায় হাঁটু পানি জমে। গাড়ির চালকেরা যাত্রী নিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। তাঁরা ফিশারির মালিকদের গালাগালি করে। এ জন্য অনেক ফিশারির মালিক শ্যালো মেশিন দিয়ে রাস্তা থেকে পানি সরিয়েছে।’
এ বিষয়ে ফিশারির মালিক রেজাউল করীম বলেন, ‘আমি একা পানি নিষ্কাশনের জায়গা রেখে পাড় করলে লাভ কি। আশপাশে কোনো পুকুরেরই পাড় নেই। এ জন্য আমাদেরও অনেক সমস্যা হচ্ছে। বৃষ্টি হলে পুকুর ও সড়ক পানিতে একাকার হয়ে যায়। মাছ আটকে রাখতে জালের বেড়া দিয়েছি।’ আর ভেঙে পড়া সড়ক শুকনো মৌসুমে মাটি দিয়ে ভরাট করে দেবেন বলে জানান তিনি।
উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে রাস্তাটি মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর ফিশারির কারণে রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে আইন অনুযায়ী।’
ত্রিশাল উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে যদি ফিশারি করা হয় এবং তাতে রাস্তায় স্থায়ী জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, তবে ফিশারি মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে