কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে উচ্চফলনশীল ও উন্নত জাতের ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী বারি গম-৩৩ আবাদে। ইতিমধ্যে গমে দানা আসা শুরু করেছে। এবার ভালো ফলনের আশা করছেন চাষিরা। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে গমের বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় গত বছরের তুলনায় বেশি জমিতে গম আবাদ হয়েছে। গত মৌসুমে গম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার ৬০০ হেক্টর। আবাদ হয়েছিল ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। এবার গম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার ৫০০ হেক্টর। এর বিপরীতে আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে। এবার উচ্চফলনশীল ও উন্নত জাতের ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী বারি গম-৩৩ চাষ হয়েছে। এ জাতের গম এবার প্রায় ১ হাজার হেক্টরের মতো জমিতে চাষ হয়েছে। এ ছাড়া বারি-৩০ ও ৩২ জাতের গমও চাষ হয়েছে। গত মৌসুমে প্রতি হেক্টরে উৎপাদন হয়েছিল ৪ টন গম। এবার প্রতি হেক্টরে ৫ মেট্রিক টনেরও বেশি গম উৎপাদন হতে পারে।

সূত্র আরও জানায়, উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি, ৩৯৫ হেক্টর জমিতে গম আবাদ হয়েছে। এ ছাড়া চাঁদগ্রামে ১৪৮, ধরমপুরে ২৮২, বাহাদুরপুরে ১৪৫, জুনিয়াদহে ৩১৫, বাহিরচর ইউনিয়নে ৩০০ ও পৌরসভায় ১৫ হেক্টর জমিতে গমের আবাদ হয়েছে।

মোকারিমপুরের গমচাষি সুমন আলী বলেন, ‘ধানের চেয়ে গম লাভজনক। তা ছাড়া গম কেটে পাট চাষ করতে পারব। এবার ৩ বিঘা জমিতে গমচাষ করেছি। বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। এবার প্রতি বিঘায় ১৮ থেকে ২০ মণ গম উৎপাদন হবে।’ সুমন আলী আরও বলেন, ‘এবার গমের দানা খুব ভালো এসেছে। আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত গমের অনুকূলে এবং বাজারদর ভালো থাকলে গতবারের মতো এবারও ভালো দাম পাব।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়খুল ইসলাম বলেন, ‘রবি ফসলের মধ্যে গম একটি লাভজনক আবাদ। এ কারণে উপজেলার কৃষকেরা গম চাষে ঝুঁকেছেন।’

শায়খুল ইসলাম বলেন, ‘গম চাষে আগ্রহী করতে তালিকাভুক্ত চাষিদের ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ও উচ্চফলনশীল উন্নত জাতের বারি-৩৩ গমবীজ ও সার বিনা মূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ এবং সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। মার্চের মাঝামাঝি কৃষকেরা গম কাটা শুরু করতে পারবেন। এবার বাম্পার ফলনের আশা করছি।’