সমির মল্লিক, খাগড়াছড়ি
খাগড়াছড়ির মুবাছড়ি গভীর অরণ্যে ধনেশ পাখির দেখা মিলছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে এ তথ্য পেয়ে সম্প্রতি যাই জেলা সদর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরের ওই অরণ্যে।
সেখানে দেখি দুই জোড়া ধনেশ পাখি। একটি বটগাছে বসেছে এবং ডালে ডালে ঘুরে বটফল খাচ্ছে। এ সময় তাদের ক্যামেরাবন্দী করি। খাবার শেষে পাখি চারটি ডানা মেলে উড়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অনেকে মনে করেন, ধনেশ পাখির ঠোঁট কবিরাজিতে ব্যবহার করা যায়। তা ছাড়া ধনেশ পাখির মাংস অনেকের পছন্দ। এ কারণে শিকারিরা এ পাখি নির্বিচারে শিকার করে। তাঁরা আরও জানান, সাধারণত খুব সকালে এবং বিকেলের একটা নির্দিষ্ট সময়ে ফল খেতে বটের শাখায় শাখায় ঘুরে আসে ধনেশ পাখি। বড় চঞ্চু দিয়ে এরা বটফল নিমেষেই সাবাড় করে দেয়। ফল খাওয়া শেষে এরা আবার গভীর বনে ফিরে যায়।
আমাদের দেশে রাজধনেশ ও পাতাঠুঁটি ধনেশ থাকলেও খুব কম দেখা যায়। ধনেশ পাখির পিঠ চকচকে কালো। মাথা, ঘাড়, গলা ও বুক কালো। অতিকায় চঞ্চু ও ওপরের চঞ্চুতে শিং-সদৃশ স্ফীত অংশ থাকে। চওড়া ডানার এই পাখি টানা না উড়ে ঘন ঘন বিরতি দেয়। পেট ও লেজতল সাদা। কালো ডানা ও লেজের প্রান্ত সাদা। চোখের পাশে ও চঞ্চুর গোড়ায় পালকহীন চামড়া নীলচে। স্ত্রী পাখি আকারে একটু ছোট। এদের চঞ্চুর প্রান্ত কালচে। স্ত্রী ধনেশের গড়নে কোনো পার্থক্য থাকে না। ধনেশ বিশাল আকারের বৃক্ষচারী পাখি। পুরুষ উদরী-পাকরা ধনেশ লম্বায় ৬০ সেন্টিমিটার হয়। সাদা-কালো দেহ।
মুবাছড়ির স্থানীয় বাসিন্দা উত্তম চাকমা ও এফলিন চাকমা বলেন, ‘বটগাছে ফল আসার পর থেকে ধনেশ পাখি দিনে দুবার আসে। সব সময় চারটা ধনেশ একসঙ্গে বটফল খেতে পছন্দ করে। এখানকার কেউ এই পাখিদের বিরক্ত করে না। কেউ পাখি শিকার করে না। তাই ধনেশ পাখি এখানে আসতে ভয় পায় না। কয়েক বছর ধরে এদের দেখা যাচ্ছে। শুধু বটফলের মৌসুমে এদের দেখা যায়। বছরের অন্য সময় এরা দূরের কোনো বনে থাকে।
খাগড়াছড়ির শৌখিন আলোকচিত্রী ও প্রকৃতিবিষয়ক সংগঠন প্ল্যানটেশন ফর নেচারের প্রতিষ্ঠাতা সবুজ চাকমা বলেন, কাচালং সংরক্ষিত বনের দিকে ধনেশ পাখি দেখা যায়।
খাগড়াছড়ির প্রাকৃতিক বনে এদের সন্ধান পাওয়া সুখবর বলা যায়। পাহাড়ে ধনেশ পাখি বিলুপ্তপ্রায়। পাখি রক্ষায় বন সংরক্ষণ জরুরি। বনে স্বর্ণচাপা, বট, পাকুড়গাছ রোপণ করলে তা পাখির খাবারের জোগান দেবে। ধনেশসহ নানা প্রজাতির পাখি এসব ফল খেতে খুব পছন্দ করে। তাই এ ধরনের ফলের ব্যবস্থা করা দরকার।
আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণবিষয়ক সংঘের (আইইউসিএন) তালিকায় ধনেশ পাখি প্রায় বিপদগ্রস্ত প্রাণী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, ব্রুনেই, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনামে এদের নিয়মিত দেখা যায়। এপ্রিল থেকে মে এদের প্রজনন মৌসুম। স্ত্রী ধনেশ দুটি সাদা ডিম পাড়ে। বন্য প্রাণী আইন (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী ধনেশ পাখি সংরক্ষিত।
খাগড়াছড়ির মুবাছড়ি গভীর অরণ্যে ধনেশ পাখির দেখা মিলছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে এ তথ্য পেয়ে সম্প্রতি যাই জেলা সদর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরের ওই অরণ্যে।
সেখানে দেখি দুই জোড়া ধনেশ পাখি। একটি বটগাছে বসেছে এবং ডালে ডালে ঘুরে বটফল খাচ্ছে। এ সময় তাদের ক্যামেরাবন্দী করি। খাবার শেষে পাখি চারটি ডানা মেলে উড়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অনেকে মনে করেন, ধনেশ পাখির ঠোঁট কবিরাজিতে ব্যবহার করা যায়। তা ছাড়া ধনেশ পাখির মাংস অনেকের পছন্দ। এ কারণে শিকারিরা এ পাখি নির্বিচারে শিকার করে। তাঁরা আরও জানান, সাধারণত খুব সকালে এবং বিকেলের একটা নির্দিষ্ট সময়ে ফল খেতে বটের শাখায় শাখায় ঘুরে আসে ধনেশ পাখি। বড় চঞ্চু দিয়ে এরা বটফল নিমেষেই সাবাড় করে দেয়। ফল খাওয়া শেষে এরা আবার গভীর বনে ফিরে যায়।
আমাদের দেশে রাজধনেশ ও পাতাঠুঁটি ধনেশ থাকলেও খুব কম দেখা যায়। ধনেশ পাখির পিঠ চকচকে কালো। মাথা, ঘাড়, গলা ও বুক কালো। অতিকায় চঞ্চু ও ওপরের চঞ্চুতে শিং-সদৃশ স্ফীত অংশ থাকে। চওড়া ডানার এই পাখি টানা না উড়ে ঘন ঘন বিরতি দেয়। পেট ও লেজতল সাদা। কালো ডানা ও লেজের প্রান্ত সাদা। চোখের পাশে ও চঞ্চুর গোড়ায় পালকহীন চামড়া নীলচে। স্ত্রী পাখি আকারে একটু ছোট। এদের চঞ্চুর প্রান্ত কালচে। স্ত্রী ধনেশের গড়নে কোনো পার্থক্য থাকে না। ধনেশ বিশাল আকারের বৃক্ষচারী পাখি। পুরুষ উদরী-পাকরা ধনেশ লম্বায় ৬০ সেন্টিমিটার হয়। সাদা-কালো দেহ।
মুবাছড়ির স্থানীয় বাসিন্দা উত্তম চাকমা ও এফলিন চাকমা বলেন, ‘বটগাছে ফল আসার পর থেকে ধনেশ পাখি দিনে দুবার আসে। সব সময় চারটা ধনেশ একসঙ্গে বটফল খেতে পছন্দ করে। এখানকার কেউ এই পাখিদের বিরক্ত করে না। কেউ পাখি শিকার করে না। তাই ধনেশ পাখি এখানে আসতে ভয় পায় না। কয়েক বছর ধরে এদের দেখা যাচ্ছে। শুধু বটফলের মৌসুমে এদের দেখা যায়। বছরের অন্য সময় এরা দূরের কোনো বনে থাকে।
খাগড়াছড়ির শৌখিন আলোকচিত্রী ও প্রকৃতিবিষয়ক সংগঠন প্ল্যানটেশন ফর নেচারের প্রতিষ্ঠাতা সবুজ চাকমা বলেন, কাচালং সংরক্ষিত বনের দিকে ধনেশ পাখি দেখা যায়।
খাগড়াছড়ির প্রাকৃতিক বনে এদের সন্ধান পাওয়া সুখবর বলা যায়। পাহাড়ে ধনেশ পাখি বিলুপ্তপ্রায়। পাখি রক্ষায় বন সংরক্ষণ জরুরি। বনে স্বর্ণচাপা, বট, পাকুড়গাছ রোপণ করলে তা পাখির খাবারের জোগান দেবে। ধনেশসহ নানা প্রজাতির পাখি এসব ফল খেতে খুব পছন্দ করে। তাই এ ধরনের ফলের ব্যবস্থা করা দরকার।
আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণবিষয়ক সংঘের (আইইউসিএন) তালিকায় ধনেশ পাখি প্রায় বিপদগ্রস্ত প্রাণী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, ব্রুনেই, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনামে এদের নিয়মিত দেখা যায়। এপ্রিল থেকে মে এদের প্রজনন মৌসুম। স্ত্রী ধনেশ দুটি সাদা ডিম পাড়ে। বন্য প্রাণী আইন (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী ধনেশ পাখি সংরক্ষিত।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে