নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভারতে হতে যাওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে বড় স্বপ্নই দেখছিল বাংলাদেশ। যে দল ওয়ানডে সুপার লিগে শীর্ষ তিনে থেকে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে, সেই দল বড় স্বপ্ন দেখবে, সেটিই তো স্বাভাবিক। কিন্তু এখন ‘দেখছিল’ বলতে হচ্ছে। কারণ, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে তামিম ইকবালের হঠাৎ অবসর। প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে অবসর ভেঙে ফিরে আসা এবং তারপর ওয়ানডে অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া—এক অস্থির সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ওয়ানডে দল।
এই অস্থিরতার মধ্যে বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ-স্বপ্ন কি এখনো আগের মতো আছে? বিশ্বকাপ-স্বপ্ন নিয়ে গত পরশু বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কণ্ঠে কিছুটা অসহায়ত্ব ফুটে উঠল, ‘ভালো করার সম্ভাবনা বাড়ার কোনো কারণ দেখি না। কমে থাকতে পারে একটু, এটাকে আবার ঠিক করতে হবে।’ এই ঠিক করতে সবার আগে দরকার একজন যোগ্য অধিনায়ক নির্বাচন।
কেমন অধিনায়ক খুঁজছে বিসিবি, সেটির একটি ধারণা পরশুই দিয়েছেন পাপন। তিনি বলেছেন, ‘এমন কাউকে অধিনায়ক করব না, যাকে করলে দলের মধ্যে সমস্যা হতে পারে। আমরা সবার সঙ্গে কথা বলে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একজনকে অধিনায়ক বানাব। তবে যাকেই করি না কেন; তামিম, সাকিব, মুশফিক—এদের কিন্তু সব সময় গাইড করতেই হবে।’
গত বছর এশিয়া কাপের আগেও ঠিক এভাবে অধিনায়ক খুঁজতে হয়েছিল বিসিবিকে। পরে সাকিব আল হাসানকে দিয়ে হয়েছে সমাধান। যে বাংলাদেশ কখনো টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিক ভালো খেলেনি, সেই দল এক বছরের মধ্যে গুছিয়ে এনেছেন সাকিব। তাঁর অধীনে সব সময়ই উজ্জীবিত এক দলকেই দেখা গেছে।
সাকিব-ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র গতকাল আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছে, বিসিবি চাইলে তারকা অলরাউন্ডারের পক্ষ থেকে খুব একটা আপত্তি থাকবে না। তাঁদের একজন বললেন, ‘যখন টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়েছিল, ওর তো করার কথা ছিল না। কারণ, এই ফরম্যাটে আমাদের দল খুব দুর্বল, সে তখন না করেনি। তার অধীনে দল ভালো করছে।’ আরেকজন বললেন, ‘বিশ্বকাপে ভালো করতে সাকিব ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। আর বিশ্ব মঞ্চে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ কেন হাতছাড়া করতে চাইবে? তার মতো অভিজ্ঞ অধিনায়ককে যেকোনো দলই অধিনায়ক হিসেবে পেতে চাইবে।’
তবু এখানে সাকিবের রাজি হওয়ার ব্যাপার অবশ্যই আছে। যদি তিনি অনুমিতভাবে ‘হ্যাঁ’ বলে দেন, সমস্যার সমাধান তো হয়েই গেল। বোর্ড এখন তাঁর অপেক্ষাতেই আছে। বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা নাজমুল আবেদিন ফাহিমও মনে করেন, এই মুহূর্তে দল পরিচালনায় সাকিবের চেয়ে সেরা পছন্দ নেই। গতকাল তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘এখানে আসলে খুব বেশি ভাবার নেই। ব্যাপারটা তো এমন না যে একদিকে ধোনি আছে, একদিকে বিরাট কোহলি আছে। অবশ্যই সাকিবের হাতেই দায়িত্ব তুলে দেওয়া উচিত। অধিনায়ক হলে সে দলের জন্য যেটা করতে পারবে, আমার মনে হয় না অন্য কেউ হলে সেটা সম্ভব হবে। ভবিষ্যতে হয়তো কেউ দল গড়ে তুলতে পারবে, কিন্তু এই মুহূর্তে না।’
সাকিব যদি কোনো কারণে রাজি না হন, সে ক্ষেত্রে লিটন দাস শেষ ভরসা। তামিমের অবর্তমানে ভারত সিরিজ ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ দুই ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। ধারাভাষ্যকার ও সাবেক ক্রিকেটার আতহার আলী খানের ভোট লিটনের পক্ষে, ‘যেহেতু লিটন সহ-অধিনায়ক ছিল, অধিনায়কত্বও করেছে। অধিনায়ক হিসেবে তার যোগ্যতা ভালোই। আমার মনে হয়, ও খুব ভালো চয়েস। তবে সাকিবকে নিয়েও চিন্তা করার সুযোগ আছে।’ শুধু এশিয়া কাপের জন্য হলে বিসিবি বেছে নিতে পারত লিটনকে। গত পরশু বিসিবির সভাপতি পাপনও সেটি বলছিলেন, ‘ও (তামিম) যদি বলত যে সে এশিয়া কাপ খেলবে না, সে ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই একজন তো আছেই, লিটন দাস হতো। কিন্তু এটা তো হচ্ছে না।’
অধিনায়কত্ব যাঁকেই দেওয়া হোক, সেটি হতে পারে দুই বছরের মেয়াদে। লম্বা মেয়াদে এ দায়িত্ব কে পালন করেন, সেটিই দেখার।
ভারতে হতে যাওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিয়ে বড় স্বপ্নই দেখছিল বাংলাদেশ। যে দল ওয়ানডে সুপার লিগে শীর্ষ তিনে থেকে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে, সেই দল বড় স্বপ্ন দেখবে, সেটিই তো স্বাভাবিক। কিন্তু এখন ‘দেখছিল’ বলতে হচ্ছে। কারণ, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে তামিম ইকবালের হঠাৎ অবসর। প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে অবসর ভেঙে ফিরে আসা এবং তারপর ওয়ানডে অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া—এক অস্থির সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ওয়ানডে দল।
এই অস্থিরতার মধ্যে বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ-স্বপ্ন কি এখনো আগের মতো আছে? বিশ্বকাপ-স্বপ্ন নিয়ে গত পরশু বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কণ্ঠে কিছুটা অসহায়ত্ব ফুটে উঠল, ‘ভালো করার সম্ভাবনা বাড়ার কোনো কারণ দেখি না। কমে থাকতে পারে একটু, এটাকে আবার ঠিক করতে হবে।’ এই ঠিক করতে সবার আগে দরকার একজন যোগ্য অধিনায়ক নির্বাচন।
কেমন অধিনায়ক খুঁজছে বিসিবি, সেটির একটি ধারণা পরশুই দিয়েছেন পাপন। তিনি বলেছেন, ‘এমন কাউকে অধিনায়ক করব না, যাকে করলে দলের মধ্যে সমস্যা হতে পারে। আমরা সবার সঙ্গে কথা বলে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একজনকে অধিনায়ক বানাব। তবে যাকেই করি না কেন; তামিম, সাকিব, মুশফিক—এদের কিন্তু সব সময় গাইড করতেই হবে।’
গত বছর এশিয়া কাপের আগেও ঠিক এভাবে অধিনায়ক খুঁজতে হয়েছিল বিসিবিকে। পরে সাকিব আল হাসানকে দিয়ে হয়েছে সমাধান। যে বাংলাদেশ কখনো টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিক ভালো খেলেনি, সেই দল এক বছরের মধ্যে গুছিয়ে এনেছেন সাকিব। তাঁর অধীনে সব সময়ই উজ্জীবিত এক দলকেই দেখা গেছে।
সাকিব-ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র গতকাল আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছে, বিসিবি চাইলে তারকা অলরাউন্ডারের পক্ষ থেকে খুব একটা আপত্তি থাকবে না। তাঁদের একজন বললেন, ‘যখন টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়েছিল, ওর তো করার কথা ছিল না। কারণ, এই ফরম্যাটে আমাদের দল খুব দুর্বল, সে তখন না করেনি। তার অধীনে দল ভালো করছে।’ আরেকজন বললেন, ‘বিশ্বকাপে ভালো করতে সাকিব ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। আর বিশ্ব মঞ্চে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ কেন হাতছাড়া করতে চাইবে? তার মতো অভিজ্ঞ অধিনায়ককে যেকোনো দলই অধিনায়ক হিসেবে পেতে চাইবে।’
তবু এখানে সাকিবের রাজি হওয়ার ব্যাপার অবশ্যই আছে। যদি তিনি অনুমিতভাবে ‘হ্যাঁ’ বলে দেন, সমস্যার সমাধান তো হয়েই গেল। বোর্ড এখন তাঁর অপেক্ষাতেই আছে। বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা নাজমুল আবেদিন ফাহিমও মনে করেন, এই মুহূর্তে দল পরিচালনায় সাকিবের চেয়ে সেরা পছন্দ নেই। গতকাল তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, ‘এখানে আসলে খুব বেশি ভাবার নেই। ব্যাপারটা তো এমন না যে একদিকে ধোনি আছে, একদিকে বিরাট কোহলি আছে। অবশ্যই সাকিবের হাতেই দায়িত্ব তুলে দেওয়া উচিত। অধিনায়ক হলে সে দলের জন্য যেটা করতে পারবে, আমার মনে হয় না অন্য কেউ হলে সেটা সম্ভব হবে। ভবিষ্যতে হয়তো কেউ দল গড়ে তুলতে পারবে, কিন্তু এই মুহূর্তে না।’
সাকিব যদি কোনো কারণে রাজি না হন, সে ক্ষেত্রে লিটন দাস শেষ ভরসা। তামিমের অবর্তমানে ভারত সিরিজ ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ দুই ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। ধারাভাষ্যকার ও সাবেক ক্রিকেটার আতহার আলী খানের ভোট লিটনের পক্ষে, ‘যেহেতু লিটন সহ-অধিনায়ক ছিল, অধিনায়কত্বও করেছে। অধিনায়ক হিসেবে তার যোগ্যতা ভালোই। আমার মনে হয়, ও খুব ভালো চয়েস। তবে সাকিবকে নিয়েও চিন্তা করার সুযোগ আছে।’ শুধু এশিয়া কাপের জন্য হলে বিসিবি বেছে নিতে পারত লিটনকে। গত পরশু বিসিবির সভাপতি পাপনও সেটি বলছিলেন, ‘ও (তামিম) যদি বলত যে সে এশিয়া কাপ খেলবে না, সে ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই একজন তো আছেই, লিটন দাস হতো। কিন্তু এটা তো হচ্ছে না।’
অধিনায়কত্ব যাঁকেই দেওয়া হোক, সেটি হতে পারে দুই বছরের মেয়াদে। লম্বা মেয়াদে এ দায়িত্ব কে পালন করেন, সেটিই দেখার।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে