যশোর প্রতিনিধি
ভবদহ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে ছয় দফা দাবি দুই-এক দিনের মধ্যে মেনে না নিলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে ক্ষতিগ্রস্তরা টানা তৃতীয় দিনের মতো যশোর কালেক্টরেট (জেলা প্রশাসকের কার্যালয়) চত্বরে অবস্থান নেন।
জলাবদ্ধতা ক্ষতিগ্রস্তরা এ দিনও আবস্থান নিয়ে দাবি বাস্তবায়নের জন্য সমাবেশ করেন। তাঁদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে যশোর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।
টানা অবস্থান কর্মসূচিতে আসা মনিরামপুরের কুশখালী এলাকার ৭০ বছর বয়সী সুলপান গোলদার বলেন, ‘আমার ৯ জনের সংসার। দুই ছেলে পরের জমিতে কাজ করত।
এখন তাঁরা বাইরের জেলায় গিয়ে দিনমজুরের কাজ করছে। ঘরে-বাইরে পানি। এই অবস্থা থেকে আমরা মুক্তি চাই।’
সমস্যা সমাধানের দাবিতে রাজপথে নেমেছেন কুলটিয়া ইউনিয়নের ডাঙ্গা মহিষদিয়া গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ্ব রাশিদা বেগম। তিনি বলেন, ‘ঘর-বাড়ি-রান্নাঘরে পানি থই থই করছে।
আমাদের এলাকায় পানিতে ডুবে চার শিশু মারাও গেছে। এইরকম অবস্থায় মানুষ কীভাবে বেঁচে থাকতে পারে। তাই পানি সরানোর এই দাবিতে আমরা ডিসি অফিসে আসছি।’
ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির মনোহরপুর আঞ্চলিক শাখার আহ্বায়ক শেখর চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘হাইকোর্টের রায় রয়েছে, আমাদের প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন-নদী বাঁচলে দেশ বাঁচবে। কিন্তু আমরা দেখছি, এই অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি জল নিষ্কাশনের সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি টিআরএম (জোয়ারাধার) প্রকল্প বাদ দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী হত্যার জন্য সেচ প্রকল্প চালু করেছে। আমরা অবিলম্বে এই সেচ প্রকল্প বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছি।’
আহ্বায়ক শেখর চন্দ্র বিশ্বাস আরও বলেন, ‘২০১৭ সালে জাতীয় কর্মশালায় গৃহীত ৯৬ শতাংশ মানুষের দাবি ছিল, বলি কপালিয়া টিআরএম চালুর। কিন্তু সেই দাবি অগ্রাহ্য করে পাউবো (পানি উন্নয়ন বোর্ড) নদীকে হত্যা করতে সেচ প্রকল্প চালু করেছে।’
শেখর চন্দ্র বিশ্বাস আরও বলেন, ‘২-১ দিনের মধ্যে আমাদের প্রাণের দাবি যদি মেনে নেওয়া না হয়, তাহলে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’
অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানান জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতারা। সংগঠনের সভাপতি সুকুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খানসহ সংগঠনটির নেতারা গণসংগীত পরিবেশন করেন।
সংগঠনের সভাপতি সুকুমার দাস বলেন, ‘এই সেচ প্রকল্প ভবদহ অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনে তেমন কোনো কাজে আসবে না। একমাত্র কার্যকর পদ্ধতি হচ্ছে টিআরএম চালু এবংমাঘী পূর্ণিমার আগেই বিল কপালিয়ায় টিআরএম চালু করা হোক।’
ভবদহ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে ছয় দফা দাবি দুই-এক দিনের মধ্যে মেনে না নিলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে ক্ষতিগ্রস্তরা টানা তৃতীয় দিনের মতো যশোর কালেক্টরেট (জেলা প্রশাসকের কার্যালয়) চত্বরে অবস্থান নেন।
জলাবদ্ধতা ক্ষতিগ্রস্তরা এ দিনও আবস্থান নিয়ে দাবি বাস্তবায়নের জন্য সমাবেশ করেন। তাঁদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে যশোর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।
টানা অবস্থান কর্মসূচিতে আসা মনিরামপুরের কুশখালী এলাকার ৭০ বছর বয়সী সুলপান গোলদার বলেন, ‘আমার ৯ জনের সংসার। দুই ছেলে পরের জমিতে কাজ করত।
এখন তাঁরা বাইরের জেলায় গিয়ে দিনমজুরের কাজ করছে। ঘরে-বাইরে পানি। এই অবস্থা থেকে আমরা মুক্তি চাই।’
সমস্যা সমাধানের দাবিতে রাজপথে নেমেছেন কুলটিয়া ইউনিয়নের ডাঙ্গা মহিষদিয়া গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ্ব রাশিদা বেগম। তিনি বলেন, ‘ঘর-বাড়ি-রান্নাঘরে পানি থই থই করছে।
আমাদের এলাকায় পানিতে ডুবে চার শিশু মারাও গেছে। এইরকম অবস্থায় মানুষ কীভাবে বেঁচে থাকতে পারে। তাই পানি সরানোর এই দাবিতে আমরা ডিসি অফিসে আসছি।’
ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির মনোহরপুর আঞ্চলিক শাখার আহ্বায়ক শেখর চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘হাইকোর্টের রায় রয়েছে, আমাদের প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন-নদী বাঁচলে দেশ বাঁচবে। কিন্তু আমরা দেখছি, এই অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি জল নিষ্কাশনের সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি টিআরএম (জোয়ারাধার) প্রকল্প বাদ দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড নদী হত্যার জন্য সেচ প্রকল্প চালু করেছে। আমরা অবিলম্বে এই সেচ প্রকল্প বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছি।’
আহ্বায়ক শেখর চন্দ্র বিশ্বাস আরও বলেন, ‘২০১৭ সালে জাতীয় কর্মশালায় গৃহীত ৯৬ শতাংশ মানুষের দাবি ছিল, বলি কপালিয়া টিআরএম চালুর। কিন্তু সেই দাবি অগ্রাহ্য করে পাউবো (পানি উন্নয়ন বোর্ড) নদীকে হত্যা করতে সেচ প্রকল্প চালু করেছে।’
শেখর চন্দ্র বিশ্বাস আরও বলেন, ‘২-১ দিনের মধ্যে আমাদের প্রাণের দাবি যদি মেনে নেওয়া না হয়, তাহলে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’
অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানান জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নেতারা। সংগঠনের সভাপতি সুকুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খানসহ সংগঠনটির নেতারা গণসংগীত পরিবেশন করেন।
সংগঠনের সভাপতি সুকুমার দাস বলেন, ‘এই সেচ প্রকল্প ভবদহ অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনে তেমন কোনো কাজে আসবে না। একমাত্র কার্যকর পদ্ধতি হচ্ছে টিআরএম চালু এবংমাঘী পূর্ণিমার আগেই বিল কপালিয়ায় টিআরএম চালু করা হোক।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে