মিনহাজ তুহিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে এবারও বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকেরা অংশ নিচ্ছেন না। জাতীয় নির্বাচন বর্জনের ধারাবাহিকতায় তাঁরা এই নির্বাচনও বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে আওয়ামী ও বামপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন হলুদ দল পূর্ণ প্যানেলে প্রার্থী দিলেও একাধিক পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে কয়েকজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
পূর্বঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৩ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের তারিখ থাকলেও প্রার্থীদের অনুরোধে তা ২৫ দিন পিছিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সংশোধিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৭ জানুয়ারি ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১১টি পদে ১৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সোমবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন থাকলেও প্রচারণার সুবিধার্থে প্রার্থীদের অনুরোধে আমরা তফসিল পরিবর্তন করেছি। সংশোধিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৩ ডিসেম্বর। ভোটগ্রহণ আগামী ১৭ জানুয়ারি। তবে ভোটারেরা ১১ ও ১৩ জানুয়ারি অগ্রিম ভোট দিতে পারবেন।’
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী গত রোববার ছিল মনোনয়নপত্র নেওয়া ও জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। এতে হলুদ দল থেকে ১১টি পদে পূর্ণ প্যানেল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। কিন্তু বিএনপি-জামাতপন্থী শিক্ষক সমর্থিত সাদা দল ও সাদা দল থেকে বেরিয়ে আসা বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের একাংশের সংগঠন ‘জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম’ থেকে কেউই মনোনয়নপত্র জমা দেননি। তবে সভাপতি, সহসভাপতি, কোষাধ্যক্ষ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে হলুদ দলের প্রার্থীদের বিপরীতে ৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁরা সবাই নিজেদের হলুদ দলের বলে দাবি করেছেন।
বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানতে চাইলে হলুদ দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় আছে। আমরা আশাবাদী এর মধ্যেই এটার একটা সুরাহা হয়ে যাবে।’
জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের মহাসচিব অধ্যাপক ড. নসরুল কাদির বলেন, ‘সারা দেশে নির্বাচনের চিত্র একই। জাতীয় নির্বাচনও বয়কট করা হচ্ছে। তাই আমরাও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি না।’
তবে নির্বাচন করার মতো পরিবেশ নেই জানিয়ে নির্বাচনে সাদা দল অংশ নিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন। তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরে সাদা দল নির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছে না। বর্তমানে নির্বাচন করার মতো কোনো অবস্থা নেই।
এদিকে হলুদ দলের বিপরীতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া প্রার্থীদের প্রশাসনের সমর্থনপুষ্ট বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনেট ও হলুদ দলের স্ট্যান্ডিং কমিটির একাধিক সদস্য।
সভাপতি পদে হলুদ দলের বিদ্রোহী প্রার্থী অধ্যাপক সেলিনা আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার চেতনা ও প্রগতিশীল দলেই আছি। আমি দল থেকে কয়েকবার মনোনয়নপত্র চেয়েছি। কিন্তু আমাকে দেওয়া হয়নি। একজন সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে আমি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। তবে দলের প্রতি এখনো আমার বিশ্বস্ততা ও ভালোবাসা আছে। এটা আজীবন থাকবে।’
নির্বাচনে প্রার্থীরা হলেন—হলুদ দল থেকে সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মা. হানিফ সিদ্দিকী, সহসভাপতি পদে ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আবদুল হক, কোষাধ্যক্ষ পদে চারুকলা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মা. জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক পদে মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সজীব কুমার ঘোষ, যুগ্ম সম্পাদক পদে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী হেলাল উদ্দিন আহম্মদ। এ ছাড়া ছয়টি সদস্য পদে যথাক্রমে জিন প্রকৌশল ও জৈবপ্রযুক্তি বিভাগের ড. নাজনীন নাহার ইসলাম, বাংলা বিভাগের ড. শারমিন মুস্তারী, সমাজতত্ত্ব বিভাগের মুহাম্মদ শোয়াইব উদ্দিন হায়দার, রসায়ন বিভাগের ফণী ভূষণ বিশ্বাস, পদার্থবিদ্যা বিভাগের সৈয়দা করিমুন্নেছা ও আইন বিভাগের হোছাইন মোহাম্মদ ইউনুছ সিরাজী।
এ ছাড়া ৪টি পদে বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন—সভাপতি পদে ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক সেলিনা আখতার, সহসভাপতি পদে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুমন বড়ুয়া, কোষাধ্যক্ষ পদে একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুমন গাঙ্গুলি ও যুগ্ম সম্পাদক পদে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এসএএম জিয়াউল ইসলাম।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে এবারও বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকেরা অংশ নিচ্ছেন না। জাতীয় নির্বাচন বর্জনের ধারাবাহিকতায় তাঁরা এই নির্বাচনও বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে আওয়ামী ও বামপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন হলুদ দল পূর্ণ প্যানেলে প্রার্থী দিলেও একাধিক পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে কয়েকজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
পূর্বঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৩ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের তারিখ থাকলেও প্রার্থীদের অনুরোধে তা ২৫ দিন পিছিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সংশোধিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৭ জানুয়ারি ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১১টি পদে ১৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সোমবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন থাকলেও প্রচারণার সুবিধার্থে প্রার্থীদের অনুরোধে আমরা তফসিল পরিবর্তন করেছি। সংশোধিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৩ ডিসেম্বর। ভোটগ্রহণ আগামী ১৭ জানুয়ারি। তবে ভোটারেরা ১১ ও ১৩ জানুয়ারি অগ্রিম ভোট দিতে পারবেন।’
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী গত রোববার ছিল মনোনয়নপত্র নেওয়া ও জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। এতে হলুদ দল থেকে ১১টি পদে পূর্ণ প্যানেল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। কিন্তু বিএনপি-জামাতপন্থী শিক্ষক সমর্থিত সাদা দল ও সাদা দল থেকে বেরিয়ে আসা বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের একাংশের সংগঠন ‘জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম’ থেকে কেউই মনোনয়নপত্র জমা দেননি। তবে সভাপতি, সহসভাপতি, কোষাধ্যক্ষ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে হলুদ দলের প্রার্থীদের বিপরীতে ৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁরা সবাই নিজেদের হলুদ দলের বলে দাবি করেছেন।
বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানতে চাইলে হলুদ দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় আছে। আমরা আশাবাদী এর মধ্যেই এটার একটা সুরাহা হয়ে যাবে।’
জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের মহাসচিব অধ্যাপক ড. নসরুল কাদির বলেন, ‘সারা দেশে নির্বাচনের চিত্র একই। জাতীয় নির্বাচনও বয়কট করা হচ্ছে। তাই আমরাও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি না।’
তবে নির্বাচন করার মতো পরিবেশ নেই জানিয়ে নির্বাচনে সাদা দল অংশ নিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন। তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরে সাদা দল নির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছে না। বর্তমানে নির্বাচন করার মতো কোনো অবস্থা নেই।
এদিকে হলুদ দলের বিপরীতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া প্রার্থীদের প্রশাসনের সমর্থনপুষ্ট বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনেট ও হলুদ দলের স্ট্যান্ডিং কমিটির একাধিক সদস্য।
সভাপতি পদে হলুদ দলের বিদ্রোহী প্রার্থী অধ্যাপক সেলিনা আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার চেতনা ও প্রগতিশীল দলেই আছি। আমি দল থেকে কয়েকবার মনোনয়নপত্র চেয়েছি। কিন্তু আমাকে দেওয়া হয়নি। একজন সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে আমি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। তবে দলের প্রতি এখনো আমার বিশ্বস্ততা ও ভালোবাসা আছে। এটা আজীবন থাকবে।’
নির্বাচনে প্রার্থীরা হলেন—হলুদ দল থেকে সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মা. হানিফ সিদ্দিকী, সহসভাপতি পদে ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আবদুল হক, কোষাধ্যক্ষ পদে চারুকলা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মা. জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক পদে মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সজীব কুমার ঘোষ, যুগ্ম সম্পাদক পদে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী হেলাল উদ্দিন আহম্মদ। এ ছাড়া ছয়টি সদস্য পদে যথাক্রমে জিন প্রকৌশল ও জৈবপ্রযুক্তি বিভাগের ড. নাজনীন নাহার ইসলাম, বাংলা বিভাগের ড. শারমিন মুস্তারী, সমাজতত্ত্ব বিভাগের মুহাম্মদ শোয়াইব উদ্দিন হায়দার, রসায়ন বিভাগের ফণী ভূষণ বিশ্বাস, পদার্থবিদ্যা বিভাগের সৈয়দা করিমুন্নেছা ও আইন বিভাগের হোছাইন মোহাম্মদ ইউনুছ সিরাজী।
এ ছাড়া ৪টি পদে বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন—সভাপতি পদে ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক সেলিনা আখতার, সহসভাপতি পদে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুমন বড়ুয়া, কোষাধ্যক্ষ পদে একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুমন গাঙ্গুলি ও যুগ্ম সম্পাদক পদে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এসএএম জিয়াউল ইসলাম।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে