সম্পাদকীয়
শৈশব-কৈশোরে সেলিনা হোসেন কখনোই ভাবেননি যে সাহিত্যিক হবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েই কেবল তাঁর মনে লেখালেখির বিষয়টি পোক্ত হতে থাকে। এটা-ওটা লিখতে লিখতেই তিনি শিক্ষকদের নজরে পড়ে যান। স্যারদের অনেকেই বলতেন, ‘ভালোই তো লিখতে পারো। লিখে দাও, আমি ছাপব।’
তবে তার আগে আরেকটি ঘটনার কথা এ প্রসঙ্গে বলে নেওয়া ভালো। উচ্চমাধ্যমিকে পড়ার সময় একবার অসুস্থ হয়ে তিনি হাসপাতালে ছিলেন দুই মাস। সে সময় জীবনের অন্য কোনো বিষয় সম্পর্কে আগ্রহগুলো মরে যাচ্ছিল। বিভাগীয় আন্তকলেজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল, কিন্তু সেখানে তিনি কীভাবে অংশ নেবেন? সেখানে রাজশাহী বিভাগের কমিশনার এসেছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও এসেছিলেন। কলেজশিক্ষকেরা বললেন, এই মেয়ে তো মঞ্চ ছাড়া কিছু বোঝে না। ও স্টেজে উঠুক।
সেলিনা হোসেন গল্প লিখলেন, তাতে প্রথম হলেন। বিতর্ক করলেন, তাতেও চ্যাম্পিয়ন হলেন। আগে কখনো উপস্থিত বক্তৃতা করেননি, তাই সে বিষয়ে নাম দেননি। তখন শিক্ষকেরা বললেন, ‘তুমি উপস্থিত বক্তৃতায় নাম দাও। উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় সেদিনের সভাপতি ছিলেন মুস্তাফা নূরউল ইসলাম। তাঁকে জীবনে প্রথম দেখলেন সেদিন। তিনি সেলিনা হোসেনকে বললেন, ‘একটা কাগজ তোলো।’ উপস্থিত বক্তৃতার নিয়ম অনুযায়ী অনেকগুলো কাগজের মধ্য থেকে লটারির মতো একটি কাগজ তুলতে হবে। সেলিনা যেটা তুললেন, সেটাতে লেখা ছিল ‘তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে’।
রবীন্দ্রনাথের এই কবিতা পড়েছেন অনেক আগেই। মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়িয়ে সে কথা মনে পড়ল তাঁর। এরপর তিনি যেখানে যত তালগাছ দেখেছেন, তার বর্ণনা করলেন। বললেন বাবুই পাখির বাসার কথা। এত গুছিয়ে তিনি কথা বলতে পারবেন, সেটা নিজেই কখনো ধারণা করেননি। কিন্তু ফলাফলে দেখা গেল, এ বিষয়েও তিনি প্রথম স্থান অধিকার করেছেন।
সাহিত্য রচনার সঙ্গে এ বিষয়ের হয়তো সম্পর্ক নেই, কিন্তু নানাভাবে যে তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, সে কথাটা এই ঘটনার মাধ্যমে জানা হয়ে গেল আমাদের।
সূত্র: বিধান চন্দ্র পালের লেখা ‘সেতুবন্ধন’ বইয়ে সেলিনা হোসেনের সাক্ষাৎকার, পৃষ্ঠা ৪৩১-৪৩২
শৈশব-কৈশোরে সেলিনা হোসেন কখনোই ভাবেননি যে সাহিত্যিক হবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েই কেবল তাঁর মনে লেখালেখির বিষয়টি পোক্ত হতে থাকে। এটা-ওটা লিখতে লিখতেই তিনি শিক্ষকদের নজরে পড়ে যান। স্যারদের অনেকেই বলতেন, ‘ভালোই তো লিখতে পারো। লিখে দাও, আমি ছাপব।’
তবে তার আগে আরেকটি ঘটনার কথা এ প্রসঙ্গে বলে নেওয়া ভালো। উচ্চমাধ্যমিকে পড়ার সময় একবার অসুস্থ হয়ে তিনি হাসপাতালে ছিলেন দুই মাস। সে সময় জীবনের অন্য কোনো বিষয় সম্পর্কে আগ্রহগুলো মরে যাচ্ছিল। বিভাগীয় আন্তকলেজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল, কিন্তু সেখানে তিনি কীভাবে অংশ নেবেন? সেখানে রাজশাহী বিভাগের কমিশনার এসেছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও এসেছিলেন। কলেজশিক্ষকেরা বললেন, এই মেয়ে তো মঞ্চ ছাড়া কিছু বোঝে না। ও স্টেজে উঠুক।
সেলিনা হোসেন গল্প লিখলেন, তাতে প্রথম হলেন। বিতর্ক করলেন, তাতেও চ্যাম্পিয়ন হলেন। আগে কখনো উপস্থিত বক্তৃতা করেননি, তাই সে বিষয়ে নাম দেননি। তখন শিক্ষকেরা বললেন, ‘তুমি উপস্থিত বক্তৃতায় নাম দাও। উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় সেদিনের সভাপতি ছিলেন মুস্তাফা নূরউল ইসলাম। তাঁকে জীবনে প্রথম দেখলেন সেদিন। তিনি সেলিনা হোসেনকে বললেন, ‘একটা কাগজ তোলো।’ উপস্থিত বক্তৃতার নিয়ম অনুযায়ী অনেকগুলো কাগজের মধ্য থেকে লটারির মতো একটি কাগজ তুলতে হবে। সেলিনা যেটা তুললেন, সেটাতে লেখা ছিল ‘তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে’।
রবীন্দ্রনাথের এই কবিতা পড়েছেন অনেক আগেই। মাইক্রোফোনের সামনে দাঁড়িয়ে সে কথা মনে পড়ল তাঁর। এরপর তিনি যেখানে যত তালগাছ দেখেছেন, তার বর্ণনা করলেন। বললেন বাবুই পাখির বাসার কথা। এত গুছিয়ে তিনি কথা বলতে পারবেন, সেটা নিজেই কখনো ধারণা করেননি। কিন্তু ফলাফলে দেখা গেল, এ বিষয়েও তিনি প্রথম স্থান অধিকার করেছেন।
সাহিত্য রচনার সঙ্গে এ বিষয়ের হয়তো সম্পর্ক নেই, কিন্তু নানাভাবে যে তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, সে কথাটা এই ঘটনার মাধ্যমে জানা হয়ে গেল আমাদের।
সূত্র: বিধান চন্দ্র পালের লেখা ‘সেতুবন্ধন’ বইয়ে সেলিনা হোসেনের সাক্ষাৎকার, পৃষ্ঠা ৪৩১-৪৩২
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৯ দিন আগে