মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর সড়কপথে সর্বোচ্চ ২০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালানো যাবে। বন্যপ্রাণী রক্ষায় বন বিভাগ এই গতিসীমা নির্ধারণ করেছে।
বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসে ‘বিপন্ন বন্যপ্রাণী রক্ষা করি, প্রতিবেশ পুনরুদ্ধারে এগিয়ে আসি’—প্রতিপাদ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ২০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালানোর কর্মসূচি পালন করা হয়।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস উপলক্ষে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মেহেদী হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বন বিভাগের কর্মকর্তা ও সহব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ ও লাউয়াছড়া সহব্যবস্থাপনা কমিটির আয়োজনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ১৯৯৬ সালে ১ হাজার ২৫০ হেক্টরের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়াকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হয়। এ উদ্যানে রয়েছে বিশ্বের বিরল এবং বিপন্ন অনেক বৃক্ষ, উদ্ভিদ ও প্রাণীর বাস।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে গত এক বছরে অন্তত ১০০ বন্যপ্রাণী মারা গেছে। এর মধ্যে সাপের সংখ্যাই বেশি। কখনো গাড়িচাপায়, আবার কখনো রেললাইনে কাটা পড়ে এসব প্রাণী মারা যায়।
বনবিভাগ সূত্র জানায়, গত এক বছরে লাউয়াছড়া বনে পাঁচটি অজগর, ৩০টি বিষাক্ত সাপ, পাঁচটি চিত্রা হরিণ, দুটি বনবিড়াল, তিনটি বন্য শূকর, সাতটি বানরসহ নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণী মারা গেছে। নানাভাবে আহত হয়েছে আরও অনেক প্রাণী।
দেশের গবেষকদের কাছে তুলনামূলক চিত্রে লাউয়াছড়া ভালো অবস্থানে আছে; তবে নানা চাপে লাউয়াছড়া ক্ষয় হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে। দালিলিক হিসাবে ১ হাজার ২৫০ হেক্টর জায়গা থাকলেও দখল এবং বনের পার্শ্ববর্তী আবাসিক এলাকা ও পর্যটনকেন্দ্রিক রিসোর্টের কারণে নেতিবাচক চাপ পড়েছে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে। আশপাশের বনভূমি হ্রাস পাওয়ার পাশাশাশি কমে এসেছে প্রাণীদের বিচরণের জায়গা।
পরিবেশকর্মী রিপন দে জানান, প্রাণবৈচিত্র্যে-সমৃদ্ধ এই লাউয়াছড়া বনের ভেতরে সড়ক ও রেলপথে প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছে একাধিক প্রাণী। মৃত্যুর এই মিছিল ঠেকাতে দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশকর্মীরা আন্দোলন করলেও কাজ হয়নি। ওই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে অনেক ছোট-বড় গাড়ি।
রিপন দে আরও জানান, রাস্তা পারাপারের সময় হঠাৎ করে সামনে চলে আসা দ্রুতগামী যানবাহনের আলোয় প্রাণীরা হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। তখন দ্রুতগামী গাড়ির আঘাতে অনেক প্রাণী মারা যায়।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্ট্যান্ড ফর আওয়ার এন্ডেঞ্জার্ড ওয়াইল্ড লাইফের সদস্য সোহেল শ্যাম বলেন, ‘আমরা বিগত সময়ে ১২৬টি বন্যপ্রাণী বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্বার করে লাউয়াছড়ায় অবমুক্ত করেছি। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে প্রতিনিয়ত বন্যপ্রাণী মারা যাচ্ছে। এই উদ্যোগ গ্রহণের ফলে অনেক বনপ্রাণী রক্ষা পাবে। আমাদের দাবি এই উদ্যোগ কার্যকর করার।’
লাউয়াছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় এরই মধ্যে উড়ন্ত পাঁচটি সেতু তৈরি করা হয়েছে। জাতীয় উদ্যানের বন্যপ্রাণী রক্ষায় বনের রাস্তায় সর্বোচ্চ ২০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালানোর কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
বনবিভাগ ও বন্যপ্রাণী সেবা সংস্থা শ্রীমঙ্গলের তথ্যমতে, ২০২০ সালের জুন থেকে গত জানুয়ারি পর্যন্ত লোকালয়ে বেরিয়ে যাওয়া ১০টি অজগর, দুটি ফণীমনসা, পাঁচটি শঙ্খিনী, দুটি পিট ভাইপারসহ বিভিন্ন জাতের ৫০টি সাপ, ১০টি গন্ধগোকুল, পাঁচটি মেছোবিড়াল, পাঁচটি বিষধর সাপ, সাতটি লজ্জাবতী বানর, তিনটি বনরুই, পাঁচটি হরিণশাবক, বিভিন্ন প্রজাতির ৫০টি পাখিসহ দুই শতাধিক আটক ও আহত বন্য প্রাণী লাউয়াছড়ায় অবমুক্ত করা হয়েছে।
তবে অবমুক্তের পরও অনেক প্রাণী অসুস্থ হয়ে মারা গেছে, আবার লোকালয়ে চলে গেছে। সর্বশেষ গত ১২ ফেব্রুয়ারি ৬০ কেজি ওজনের প্রায় ১৫ ফুট লম্বা একটি অজগর জাগছড়া বাগান থেকে বনবিভাগ উদ্ধার করে লাউয়াছড়ায় অবমুক্ত করে।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, বন্যপ্রাণী রক্ষায় লাউয়াছড়া অংশের সড়কপথের সাড়ে ৭ কিলোমিটারে সর্বোচ্চ ২০ কিলোমিটার গতিতে যানবাহন চালানো যাবে। ডিএফও আরও বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে শিগগির উদ্যানের দুই প্রান্তে দুটি বুথ করে যানবাহনের গতিরোধ করা হবে।
মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর সড়কপথে সর্বোচ্চ ২০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালানো যাবে। বন্যপ্রাণী রক্ষায় বন বিভাগ এই গতিসীমা নির্ধারণ করেছে।
বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসে ‘বিপন্ন বন্যপ্রাণী রক্ষা করি, প্রতিবেশ পুনরুদ্ধারে এগিয়ে আসি’—প্রতিপাদ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ২০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালানোর কর্মসূচি পালন করা হয়।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস উপলক্ষে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মেহেদী হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বন বিভাগের কর্মকর্তা ও সহব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ ও লাউয়াছড়া সহব্যবস্থাপনা কমিটির আয়োজনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ১৯৯৬ সালে ১ হাজার ২৫০ হেক্টরের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়াকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হয়। এ উদ্যানে রয়েছে বিশ্বের বিরল এবং বিপন্ন অনেক বৃক্ষ, উদ্ভিদ ও প্রাণীর বাস।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে গত এক বছরে অন্তত ১০০ বন্যপ্রাণী মারা গেছে। এর মধ্যে সাপের সংখ্যাই বেশি। কখনো গাড়িচাপায়, আবার কখনো রেললাইনে কাটা পড়ে এসব প্রাণী মারা যায়।
বনবিভাগ সূত্র জানায়, গত এক বছরে লাউয়াছড়া বনে পাঁচটি অজগর, ৩০টি বিষাক্ত সাপ, পাঁচটি চিত্রা হরিণ, দুটি বনবিড়াল, তিনটি বন্য শূকর, সাতটি বানরসহ নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণী মারা গেছে। নানাভাবে আহত হয়েছে আরও অনেক প্রাণী।
দেশের গবেষকদের কাছে তুলনামূলক চিত্রে লাউয়াছড়া ভালো অবস্থানে আছে; তবে নানা চাপে লাউয়াছড়া ক্ষয় হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে। দালিলিক হিসাবে ১ হাজার ২৫০ হেক্টর জায়গা থাকলেও দখল এবং বনের পার্শ্ববর্তী আবাসিক এলাকা ও পর্যটনকেন্দ্রিক রিসোর্টের কারণে নেতিবাচক চাপ পড়েছে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে। আশপাশের বনভূমি হ্রাস পাওয়ার পাশাশাশি কমে এসেছে প্রাণীদের বিচরণের জায়গা।
পরিবেশকর্মী রিপন দে জানান, প্রাণবৈচিত্র্যে-সমৃদ্ধ এই লাউয়াছড়া বনের ভেতরে সড়ক ও রেলপথে প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছে একাধিক প্রাণী। মৃত্যুর এই মিছিল ঠেকাতে দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশকর্মীরা আন্দোলন করলেও কাজ হয়নি। ওই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে অনেক ছোট-বড় গাড়ি।
রিপন দে আরও জানান, রাস্তা পারাপারের সময় হঠাৎ করে সামনে চলে আসা দ্রুতগামী যানবাহনের আলোয় প্রাণীরা হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। তখন দ্রুতগামী গাড়ির আঘাতে অনেক প্রাণী মারা যায়।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্ট্যান্ড ফর আওয়ার এন্ডেঞ্জার্ড ওয়াইল্ড লাইফের সদস্য সোহেল শ্যাম বলেন, ‘আমরা বিগত সময়ে ১২৬টি বন্যপ্রাণী বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্বার করে লাউয়াছড়ায় অবমুক্ত করেছি। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে প্রতিনিয়ত বন্যপ্রাণী মারা যাচ্ছে। এই উদ্যোগ গ্রহণের ফলে অনেক বনপ্রাণী রক্ষা পাবে। আমাদের দাবি এই উদ্যোগ কার্যকর করার।’
লাউয়াছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, বন্যপ্রাণী সুরক্ষায় এরই মধ্যে উড়ন্ত পাঁচটি সেতু তৈরি করা হয়েছে। জাতীয় উদ্যানের বন্যপ্রাণী রক্ষায় বনের রাস্তায় সর্বোচ্চ ২০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালানোর কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
বনবিভাগ ও বন্যপ্রাণী সেবা সংস্থা শ্রীমঙ্গলের তথ্যমতে, ২০২০ সালের জুন থেকে গত জানুয়ারি পর্যন্ত লোকালয়ে বেরিয়ে যাওয়া ১০টি অজগর, দুটি ফণীমনসা, পাঁচটি শঙ্খিনী, দুটি পিট ভাইপারসহ বিভিন্ন জাতের ৫০টি সাপ, ১০টি গন্ধগোকুল, পাঁচটি মেছোবিড়াল, পাঁচটি বিষধর সাপ, সাতটি লজ্জাবতী বানর, তিনটি বনরুই, পাঁচটি হরিণশাবক, বিভিন্ন প্রজাতির ৫০টি পাখিসহ দুই শতাধিক আটক ও আহত বন্য প্রাণী লাউয়াছড়ায় অবমুক্ত করা হয়েছে।
তবে অবমুক্তের পরও অনেক প্রাণী অসুস্থ হয়ে মারা গেছে, আবার লোকালয়ে চলে গেছে। সর্বশেষ গত ১২ ফেব্রুয়ারি ৬০ কেজি ওজনের প্রায় ১৫ ফুট লম্বা একটি অজগর জাগছড়া বাগান থেকে বনবিভাগ উদ্ধার করে লাউয়াছড়ায় অবমুক্ত করে।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, বন্যপ্রাণী রক্ষায় লাউয়াছড়া অংশের সড়কপথের সাড়ে ৭ কিলোমিটারে সর্বোচ্চ ২০ কিলোমিটার গতিতে যানবাহন চালানো যাবে। ডিএফও আরও বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে শিগগির উদ্যানের দুই প্রান্তে দুটি বুথ করে যানবাহনের গতিরোধ করা হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে