মির্জাপুর প্রতিনিধি
মির্জাপুরের বংশাই নদের বুকে এখন সবুজ ফসলের সমারোহ। শত শত বিঘা জমিতে আলু, গম, করলা, ভুট্টা, সরিষা, পটোল, সিম, পেঁয়াজ, রসুন, কপিসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করা হয়েছে। ভালো ফলনে কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। কৃষি বিভাগের পরামর্শে ভবিষ্যতে নদের বুকে পড়ে থাকা জমিতে আরও বেশি করে সবজিজাতীয় ফসল আবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকেরা।
জানা গেছে, উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত বংশাই নদ মধুপুর থেকে গাজীপুরের তুরাগ নদে যুক্ত হয়েছে। প্রায় ১০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই নদে প্রতিবছর বর্ষায় প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। বন্যা কমতে শুরু করলে নদের তীরবর্তী কৃষকেরা নদের বুকে গম, করলা, ভুট্টা, সরিষা, পটোল, সিম, আখ, মিষ্টি আলু, পেঁয়াজ, মিষ্টিকুমড়া, রসুন, কপিসহ বিভিন্ন সবজির আবাদ শুরু করেন। প্রতিবছরের মতো এ বছরও চাষিরা এসব ফসলের চাষ করেছেন। ফলনও পাচ্ছেন ভালো। এতে হাসি ফুটেছে স্থানীয় কৃষকের মুখে।
সরেজমিন দেখা গেছে, নদসংলগ্ন লতিফপুর ইউনিয়নের ফিরিঙ্গীপাড়া, প্যাচপাড়া, শেওড়াতৈল, চাকলেশ্বর, থলপাড়া, টেংরাপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় নদের বুকে বিশালাকার চর জেগেছে। এসব চরে স্থানীয় কৃষকেরা ইরি-বোরো ছাড়াও করলা, পেঁয়াজ, মিষ্টি আলু, মিষ্টিকুমড়া, ভুট্টা, খিরাইসহ বিভিন্ন সবজির আবাদ করছেন। ফলে নদের বিশাল এলাকাজুড়ে এখন সবুজের সমারোহ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বংশাই নদে একসময় বারো মাস থই থই পানি থাকত। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে কোনো সংস্কার না হওয়ায় নদটি জৌলুশ হারিয়েছে। নদের বুকে জেগেছে বিশাল চর। সেই চরে আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন তাঁরা। এতে স্থানীয় কৃষকদের আয়রোজগার বেড়েছে।
উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের শেওড়াতৈল গ্রামের নিবারণ সরকার (৮০) জানান, নদের বুকে তিনি ৮৫ শতাংশ জমিতে ইরি-বোরোসহ করলা, পেঁয়াজ ও মিষ্টিকুমড়ার আবাদ করেছেন। আবাদ ভালো হয়েছে। সেখান থেকেও বেশ মোটা অঙ্কের লাভ হবে বলে তিনি আশাবাদী।
প্যাচপাড়া গ্রামের আজাদ মিয়া জানান, নদের চরে তিনি সাড়ে সাত বিঘায় সরিষা, আলু, গম ও মিষ্টি আলু চাষ করেছেন। ভালো পরিচর্যা করায় আবাদও ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যে এক বিঘার আলু ও দেশীয় সরিষা তুলে আশানুরূপ ফলন পাওয়া গেছে।
মির্জাপুর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন জানান, বংশাই নদের ফিরিঙ্গিপাড়া এলাকায় তিনি সূর্যমুখী ফুলের আবাদ করেছেন। এ ছাড়া অনেকে সরিষা, আলু, পেঁয়াজ, ডাল, রসুন আবাদ করেছেন। আবাদ খুব ভালো হয়েছে। ফসল ঘরে তুলে নেওয়ার পর অনেকে আবার ওই জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ করে থাকেন। তিনি আরও বলেন, কৃষি বিভাগ কৃষকদের বিভিন্ন সময় পরামর্শ দিয়ে থাকে। তবে আরও বেশি করে অর্থাৎ সপ্তাহে একবার এলাকার কৃষকদের কাছে এসে কৃষি পরামর্শ দিলে কৃষকেরা আরও লাভবান হতেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার পাল জানান, কৃষকেরা যেন কৃষি পরামর্শ পেয়ে থাকেন, সে জন্যে ব্লক সুপারভাইজারদের নির্দেশনা দেওয়া আছে। তিনিসহ কৃষি অফিসের প্রত্যেক কর্মী প্রতিনিয়ত এসব এলাকায় ঘুরে কৃষকদের ফসলের মাঠ পরিদর্শন করে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
মির্জাপুরের বংশাই নদের বুকে এখন সবুজ ফসলের সমারোহ। শত শত বিঘা জমিতে আলু, গম, করলা, ভুট্টা, সরিষা, পটোল, সিম, পেঁয়াজ, রসুন, কপিসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করা হয়েছে। ভালো ফলনে কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। কৃষি বিভাগের পরামর্শে ভবিষ্যতে নদের বুকে পড়ে থাকা জমিতে আরও বেশি করে সবজিজাতীয় ফসল আবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকেরা।
জানা গেছে, উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত বংশাই নদ মধুপুর থেকে গাজীপুরের তুরাগ নদে যুক্ত হয়েছে। প্রায় ১০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই নদে প্রতিবছর বর্ষায় প্রচুর মাছ পাওয়া যায়। বন্যা কমতে শুরু করলে নদের তীরবর্তী কৃষকেরা নদের বুকে গম, করলা, ভুট্টা, সরিষা, পটোল, সিম, আখ, মিষ্টি আলু, পেঁয়াজ, মিষ্টিকুমড়া, রসুন, কপিসহ বিভিন্ন সবজির আবাদ শুরু করেন। প্রতিবছরের মতো এ বছরও চাষিরা এসব ফসলের চাষ করেছেন। ফলনও পাচ্ছেন ভালো। এতে হাসি ফুটেছে স্থানীয় কৃষকের মুখে।
সরেজমিন দেখা গেছে, নদসংলগ্ন লতিফপুর ইউনিয়নের ফিরিঙ্গীপাড়া, প্যাচপাড়া, শেওড়াতৈল, চাকলেশ্বর, থলপাড়া, টেংরাপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় নদের বুকে বিশালাকার চর জেগেছে। এসব চরে স্থানীয় কৃষকেরা ইরি-বোরো ছাড়াও করলা, পেঁয়াজ, মিষ্টি আলু, মিষ্টিকুমড়া, ভুট্টা, খিরাইসহ বিভিন্ন সবজির আবাদ করছেন। ফলে নদের বিশাল এলাকাজুড়ে এখন সবুজের সমারোহ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বংশাই নদে একসময় বারো মাস থই থই পানি থাকত। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে কোনো সংস্কার না হওয়ায় নদটি জৌলুশ হারিয়েছে। নদের বুকে জেগেছে বিশাল চর। সেই চরে আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন তাঁরা। এতে স্থানীয় কৃষকদের আয়রোজগার বেড়েছে।
উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়নের শেওড়াতৈল গ্রামের নিবারণ সরকার (৮০) জানান, নদের বুকে তিনি ৮৫ শতাংশ জমিতে ইরি-বোরোসহ করলা, পেঁয়াজ ও মিষ্টিকুমড়ার আবাদ করেছেন। আবাদ ভালো হয়েছে। সেখান থেকেও বেশ মোটা অঙ্কের লাভ হবে বলে তিনি আশাবাদী।
প্যাচপাড়া গ্রামের আজাদ মিয়া জানান, নদের চরে তিনি সাড়ে সাত বিঘায় সরিষা, আলু, গম ও মিষ্টি আলু চাষ করেছেন। ভালো পরিচর্যা করায় আবাদও ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যে এক বিঘার আলু ও দেশীয় সরিষা তুলে আশানুরূপ ফলন পাওয়া গেছে।
মির্জাপুর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন জানান, বংশাই নদের ফিরিঙ্গিপাড়া এলাকায় তিনি সূর্যমুখী ফুলের আবাদ করেছেন। এ ছাড়া অনেকে সরিষা, আলু, পেঁয়াজ, ডাল, রসুন আবাদ করেছেন। আবাদ খুব ভালো হয়েছে। ফসল ঘরে তুলে নেওয়ার পর অনেকে আবার ওই জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ করে থাকেন। তিনি আরও বলেন, কৃষি বিভাগ কৃষকদের বিভিন্ন সময় পরামর্শ দিয়ে থাকে। তবে আরও বেশি করে অর্থাৎ সপ্তাহে একবার এলাকার কৃষকদের কাছে এসে কৃষি পরামর্শ দিলে কৃষকেরা আরও লাভবান হতেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার পাল জানান, কৃষকেরা যেন কৃষি পরামর্শ পেয়ে থাকেন, সে জন্যে ব্লক সুপারভাইজারদের নির্দেশনা দেওয়া আছে। তিনিসহ কৃষি অফিসের প্রত্যেক কর্মী প্রতিনিয়ত এসব এলাকায় ঘুরে কৃষকদের ফসলের মাঠ পরিদর্শন করে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে