রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো থেকে সম্প্রতি সাময়িকভাবে পুলিশ প্রত্যাহার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলো অস্থায়ী ক্যাম্প করে অবস্থান করছে পুলিশ। আবাসিক হল থেকে পুলিশ প্রত্যাহারের ঘটনায় সাধুবাদ জানালেও পুরো ক্যাম্পাস থেকেই পুলিশ প্রত্যাহার চায় ছাত্র সংগঠনের নেতারা। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছাত্রলীগ।
ছাত্র সংগঠনের নেতারা বলছেন, ক্যাম্পাসে পুলিশের অবস্থান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাঁরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সহযোগিতামূলক আচরণ করে না। বরং বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাসের পরিবেশ ঘোলাটে করে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে যথেষ্ট বলে মনে করেন ছাত্রনেতারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই কিন্তু আমরা হল থেকে পুলিশ সরিয়ে নিয়েছি। এখন তারা ক্যাম্পাসের প্রবেশপথগুলোতে অবস্থান করছে। যাতে বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে এসে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে। আমাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আশির দশকে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক বারী প্রথম ক্যাম্পাসে পুলিশ ডেকে এনেছিলেন। পরবর্তীতে যাঁরাই উপাচার্য হয়েছেন, তাঁরা বিভিন্ন রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ ডেকেছেন। সময়ের সঙ্গে ক্যাম্পাসে বাড়তে থাকে পুলিশের উপস্থিতি। প্রথমে ক্যাম্পাসের প্রবেশপথগুলোতে অস্থায়ী ক্যাম্প এবং পরবর্তীতে ছেলেদের আবাসিক হলগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
তবে ক্যাম্পাসে পুলিশের অবস্থান নিয়ে বরাবরই শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ ছিল। তাঁরা বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাস থেকে পুলিশ প্রত্যাহারের দাবি জানান। সর্বশেষ ১ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে ট্রাকচাপায় চারুকলার শিক্ষার্থী হিমেলের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ প্রকাশ পায়। তাঁরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে পুলিশকে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য করেন। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে হল থেকে পুলিশ প্রত্যাহার করে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ বিষয়ে রাবি শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুদ্দীন সানিন বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরে হলেও আবাসিক হলগুলো থেকে পুলিশ প্রত্যাহার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ জন্য প্রশাসনকে সাধুবাদ জানাই।’
ছাত্র ইউনিয়ন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি শাকিলা খাতুন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা তাঁদের কোনো ইস্যু নিয়ে জমায়েত হলে পুলিশ সেখানে এসে একটা ঘোলাটে পরিবেশ তৈরি করে। বর্তমানে ছাত্র-শিক্ষকের যে মুখোমুখি অবস্থান, সে জন্য পুলিশই দায়ী।’
রাষ্ট্রীয় বাহিনী ব্যবহার করে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিতকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করেন বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর রাবি শাখার আহ্বায়ক রঞ্জু হাসান। তিনি বলেন, একটি রাষ্ট্রীয় বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের অধীনে ক্যাম্পাসে অবস্থান করবে, এটি স্বায়ত্তশাসন ও মুক্তিবুদ্ধির চর্চার সঙ্গে যায় না। এটি এক ধরনের নজরদারি।
ব্যতিক্রম ছাত্রলীগ
ছাত্রলীগ নেতারা মনে করছেন, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের নিয়মিত টহল থাকা প্রয়োজন।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘হলে পুলিশের প্রয়োজন নেই। তাই আমরা নিজেরাই বিভিন্ন সময় হল থেকে পুলিশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলাম। তবে ক্যাম্পাসে পুলিশি টহল থাকা দরকার।’
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো ক্রমান্বয়ে পূরণ করছি। হল থেকে পুলিশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিছুদিন পরিস্থিতি দেখব। তাঁরা যদি মনে করে ক্যাম্পাসেই পুলিশ প্রয়োজন নেই। তাহলে সময়সাপেক্ষে সেটিও কার্যকর করা হবে।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো থেকে সম্প্রতি সাময়িকভাবে পুলিশ প্রত্যাহার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলো অস্থায়ী ক্যাম্প করে অবস্থান করছে পুলিশ। আবাসিক হল থেকে পুলিশ প্রত্যাহারের ঘটনায় সাধুবাদ জানালেও পুরো ক্যাম্পাস থেকেই পুলিশ প্রত্যাহার চায় ছাত্র সংগঠনের নেতারা। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছাত্রলীগ।
ছাত্র সংগঠনের নেতারা বলছেন, ক্যাম্পাসে পুলিশের অবস্থান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাঁরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সহযোগিতামূলক আচরণ করে না। বরং বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাসের পরিবেশ ঘোলাটে করে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে যথেষ্ট বলে মনে করেন ছাত্রনেতারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই কিন্তু আমরা হল থেকে পুলিশ সরিয়ে নিয়েছি। এখন তারা ক্যাম্পাসের প্রবেশপথগুলোতে অবস্থান করছে। যাতে বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে এসে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে। আমাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আশির দশকে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক বারী প্রথম ক্যাম্পাসে পুলিশ ডেকে এনেছিলেন। পরবর্তীতে যাঁরাই উপাচার্য হয়েছেন, তাঁরা বিভিন্ন রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ ডেকেছেন। সময়ের সঙ্গে ক্যাম্পাসে বাড়তে থাকে পুলিশের উপস্থিতি। প্রথমে ক্যাম্পাসের প্রবেশপথগুলোতে অস্থায়ী ক্যাম্প এবং পরবর্তীতে ছেলেদের আবাসিক হলগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
তবে ক্যাম্পাসে পুলিশের অবস্থান নিয়ে বরাবরই শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ ছিল। তাঁরা বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাস থেকে পুলিশ প্রত্যাহারের দাবি জানান। সর্বশেষ ১ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে ট্রাকচাপায় চারুকলার শিক্ষার্থী হিমেলের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ প্রকাশ পায়। তাঁরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে থেকে পুলিশকে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য করেন। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে হল থেকে পুলিশ প্রত্যাহার করে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ বিষয়ে রাবি শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুদ্দীন সানিন বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরে হলেও আবাসিক হলগুলো থেকে পুলিশ প্রত্যাহার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ জন্য প্রশাসনকে সাধুবাদ জানাই।’
ছাত্র ইউনিয়ন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি শাকিলা খাতুন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা তাঁদের কোনো ইস্যু নিয়ে জমায়েত হলে পুলিশ সেখানে এসে একটা ঘোলাটে পরিবেশ তৈরি করে। বর্তমানে ছাত্র-শিক্ষকের যে মুখোমুখি অবস্থান, সে জন্য পুলিশই দায়ী।’
রাষ্ট্রীয় বাহিনী ব্যবহার করে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিতকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করেন বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর রাবি শাখার আহ্বায়ক রঞ্জু হাসান। তিনি বলেন, একটি রাষ্ট্রীয় বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের অধীনে ক্যাম্পাসে অবস্থান করবে, এটি স্বায়ত্তশাসন ও মুক্তিবুদ্ধির চর্চার সঙ্গে যায় না। এটি এক ধরনের নজরদারি।
ব্যতিক্রম ছাত্রলীগ
ছাত্রলীগ নেতারা মনে করছেন, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের নিয়মিত টহল থাকা প্রয়োজন।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘হলে পুলিশের প্রয়োজন নেই। তাই আমরা নিজেরাই বিভিন্ন সময় হল থেকে পুলিশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলাম। তবে ক্যাম্পাসে পুলিশি টহল থাকা দরকার।’
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো ক্রমান্বয়ে পূরণ করছি। হল থেকে পুলিশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিছুদিন পরিস্থিতি দেখব। তাঁরা যদি মনে করে ক্যাম্পাসেই পুলিশ প্রয়োজন নেই। তাহলে সময়সাপেক্ষে সেটিও কার্যকর করা হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে