বদরুল ইসলাম মাসুদ ও শাহ আলম আলীকদম (বান্দরবান)
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার নবগঠিত কুরুকপাতা ইউনিয়নকে বলা হয় সবচেয়ে অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া অঞ্চল। ২০১৪ সালে ইউনিয়ন পরিষদ গঠন করা হয়।
আর ২০১৬ সালে হয় প্রথম নির্বাচন। নবগঠিত ইউনিয়নটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর ইউনিয়ন হলেও নেই অনেক কিছুই। তবে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে আলীকদম-করুকপাতা-পোয়ামুহুরী সড়কের মাধ্যমে।
৫০৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত বান্দরবান জেলার আলীকদম-পোয়ামুহুরী সড়কটিই বদলে দিচ্ছে অবহেলিত কুরুকপাতা ইউনিয়নের সার্বিক চিত্র। বছরের পর বছর নৌপথই ছিল যাঁদের যোগাযোগের একমাত্র নদীপথ। সেই এলাকায় প্রায় ৪৩ কিলোমিটার সড়ক পথ যোগাযোগসহ সার্বিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
সড়ক নির্মাণের ফলে সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি দুর্গমে বসবাসকারী ম্রো, মারমা, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে বাঙালিদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।
পাশাপাশি বেড়েছে পর্যটনখাতের সম্ভাবনাও। কুরুকপাতা ইউনিয়নের ১২ হাজার ৫০০ মানুষের জীবনযাত্রা বদলে যাচ্ছে। দুর্গম ও অবহেলিত কুরুকপাতা উন্নয়নের মূলস্রোতে যুক্ত হয়েছে।
জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় আলীকদম থেকে পোয়ামুহুরী পর্যন্ত ৩৭ দশমিক ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি ৫ দশমিক ৫ মিটার প্রস্থে উন্নয়নের জন্য ৩৭৪ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়।
সূত্রমতে, ২০১৯ সালে ৩৬ দশমিক ১৭ শতাংশ ব্যয় বাড়িয়ে অর্থাৎ ১৩৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা বেড়ে প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয় ৫০৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা। প্রকল্পের শুরুতে ২০১৯ সালের জুনে বাস্তবায়নের কথা থাকলেও দুই বছর বাড়িয়ে করা হয় ২০২১ সালের জুন মাসে কাজ শেষ পর্যায়ে।
সরেজমিনের দেখা গেছে, সড়কে নির্মাণাধীন কয়েকটি ব্রিজ ছাড়া সড়ক কার্পেটিংয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলার দুর্গম পাহাড়ের মধ্য দিয়ে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
আধুনিক নির্মাণ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সড়ক নির্মাণ কাজটি বাস্তবায়ন করে সেনাবাহিনী। সড়কটি নির্মাণে পাহাড়ের পর পাহাড় কাটতে হয়েছে। দেশের অন্যতম সংরক্ষিত বনাঞ্চল (রিজার্ভ ফরেস্ট) মাতামুহুরীর মধ্যে দিয়ে এবং খরস্রোতা মাতামুহুরী নদীর কুলঘেঁষে নির্মাণ করা হয় আলীকদম-পোয়ামুহুরী সড়কটি।
সড়ক নির্মাণ হলেও পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন পোয়ামুহুরী বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাসাধারণ। তারা জানান, পোয়ামুহুরী বাজার থেকে ১ কিলোমিটার দূরে খেদারঝিরিতে শেষ হয়েছে সড়কের ৩৭ কিলোমিটার অংশ। প্রকল্পটির নাম ‘পোয়ামুহুরী’ হলেও ওই এলাকার বহুল পরিচিত ‘পোয়ামুহুরী বাজার’ স্পর্শ করেনি সড়কটি!
এ ব্যাপারে পোয়ামুহুরী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফরিদুল আলম বলেন, তাদের আশা, শেষ পর্যন্ত পোয়ামুহুরী বাজারের সঙ্গে সড়কের সংযোগ করা হবে।
কুরুকপাতা ইউপি চেয়ারম্যান ক্রাতপুং ম্রোর বলেন, এ সড়কটি নির্মাণের ফলে সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা জোরদার, দুর্গমে বসবাসকারী ম্রো, মারমা, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি বাঙালিদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের বিকাশ হবে বলেও চেয়ারম্যান অভিমত প্রকাশ করেন।
কুরুকপাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু শামা বলেন, সড়ক নির্মাণ হওয়ায় সেখানে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা সদর থেকে লোকজনের মোটরবাইকসহ জিপ, মাইক্রো এবং চাঁদের গাড়ি (জিপ) করে সহজে যাতায়াত করার সুযোগ হয়েছে।
আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম বলেন, সড়ক নির্মাণের ফলে কুরুকপাতা ইউনিয়ন উন্নয়নের মূলধারায় যুক্ত হয়েছে। এরই মধ্যে কুরুকপাতায় নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও অবকাঠামো গড়ে উঠছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নে গতি আসবে। মানুষের সার্বিক অর্থনৈতিক চিত্রে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার নবগঠিত কুরুকপাতা ইউনিয়নকে বলা হয় সবচেয়ে অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া অঞ্চল। ২০১৪ সালে ইউনিয়ন পরিষদ গঠন করা হয়।
আর ২০১৬ সালে হয় প্রথম নির্বাচন। নবগঠিত ইউনিয়নটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর ইউনিয়ন হলেও নেই অনেক কিছুই। তবে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে আলীকদম-করুকপাতা-পোয়ামুহুরী সড়কের মাধ্যমে।
৫০৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত বান্দরবান জেলার আলীকদম-পোয়ামুহুরী সড়কটিই বদলে দিচ্ছে অবহেলিত কুরুকপাতা ইউনিয়নের সার্বিক চিত্র। বছরের পর বছর নৌপথই ছিল যাঁদের যোগাযোগের একমাত্র নদীপথ। সেই এলাকায় প্রায় ৪৩ কিলোমিটার সড়ক পথ যোগাযোগসহ সার্বিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
সড়ক নির্মাণের ফলে সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি দুর্গমে বসবাসকারী ম্রো, মারমা, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে বাঙালিদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।
পাশাপাশি বেড়েছে পর্যটনখাতের সম্ভাবনাও। কুরুকপাতা ইউনিয়নের ১২ হাজার ৫০০ মানুষের জীবনযাত্রা বদলে যাচ্ছে। দুর্গম ও অবহেলিত কুরুকপাতা উন্নয়নের মূলস্রোতে যুক্ত হয়েছে।
জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় আলীকদম থেকে পোয়ামুহুরী পর্যন্ত ৩৭ দশমিক ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি ৫ দশমিক ৫ মিটার প্রস্থে উন্নয়নের জন্য ৩৭৪ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়।
সূত্রমতে, ২০১৯ সালে ৩৬ দশমিক ১৭ শতাংশ ব্যয় বাড়িয়ে অর্থাৎ ১৩৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা বেড়ে প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয় ৫০৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা। প্রকল্পের শুরুতে ২০১৯ সালের জুনে বাস্তবায়নের কথা থাকলেও দুই বছর বাড়িয়ে করা হয় ২০২১ সালের জুন মাসে কাজ শেষ পর্যায়ে।
সরেজমিনের দেখা গেছে, সড়কে নির্মাণাধীন কয়েকটি ব্রিজ ছাড়া সড়ক কার্পেটিংয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলার দুর্গম পাহাড়ের মধ্য দিয়ে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
আধুনিক নির্মাণ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সড়ক নির্মাণ কাজটি বাস্তবায়ন করে সেনাবাহিনী। সড়কটি নির্মাণে পাহাড়ের পর পাহাড় কাটতে হয়েছে। দেশের অন্যতম সংরক্ষিত বনাঞ্চল (রিজার্ভ ফরেস্ট) মাতামুহুরীর মধ্যে দিয়ে এবং খরস্রোতা মাতামুহুরী নদীর কুলঘেঁষে নির্মাণ করা হয় আলীকদম-পোয়ামুহুরী সড়কটি।
সড়ক নির্মাণ হলেও পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন পোয়ামুহুরী বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাসাধারণ। তারা জানান, পোয়ামুহুরী বাজার থেকে ১ কিলোমিটার দূরে খেদারঝিরিতে শেষ হয়েছে সড়কের ৩৭ কিলোমিটার অংশ। প্রকল্পটির নাম ‘পোয়ামুহুরী’ হলেও ওই এলাকার বহুল পরিচিত ‘পোয়ামুহুরী বাজার’ স্পর্শ করেনি সড়কটি!
এ ব্যাপারে পোয়ামুহুরী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফরিদুল আলম বলেন, তাদের আশা, শেষ পর্যন্ত পোয়ামুহুরী বাজারের সঙ্গে সড়কের সংযোগ করা হবে।
কুরুকপাতা ইউপি চেয়ারম্যান ক্রাতপুং ম্রোর বলেন, এ সড়কটি নির্মাণের ফলে সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা জোরদার, দুর্গমে বসবাসকারী ম্রো, মারমা, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি বাঙালিদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের বিকাশ হবে বলেও চেয়ারম্যান অভিমত প্রকাশ করেন।
কুরুকপাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু শামা বলেন, সড়ক নির্মাণ হওয়ায় সেখানে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা সদর থেকে লোকজনের মোটরবাইকসহ জিপ, মাইক্রো এবং চাঁদের গাড়ি (জিপ) করে সহজে যাতায়াত করার সুযোগ হয়েছে।
আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম বলেন, সড়ক নির্মাণের ফলে কুরুকপাতা ইউনিয়ন উন্নয়নের মূলধারায় যুক্ত হয়েছে। এরই মধ্যে কুরুকপাতায় নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও অবকাঠামো গড়ে উঠছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নে গতি আসবে। মানুষের সার্বিক অর্থনৈতিক চিত্রে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে