আনিকা জীনাত, ঢাকা
ধরে নেওয়া যাক, আপনি রেস্তোরাঁয় বন্ধুদের সঙ্গে খেতে গিয়েছিলেন। বাসায় আসার পর থেকে আর নিজের মোবাইল ফোনটি খুঁজে পাচ্ছেন না। সেটি সাইলেন্ট মোডে ছিল। তাই ভালো করেই বুঝতে পারছেন, অন্য নম্বর থেকে ফোন করেও লাভ নেই। ফোনটি চুরি হলে ফিরে পাওয়ার আশা একদমই নেই। কিন্তু আপনার মোবাইল ফোনটি যদি কোনো
সহৃদয় মানুষের হাতে পড়ে, তবে ১ শতাংশ হলেও সেটি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এই সম্ভাবনাকে মাথায় রেখেই আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ইনস্টল করে নিতে পারেন গুগল ফাইন্ড মাই ডিভাইস অ্যাপটি।
অ্যাপটি চালু হলে প্রথমে জিমেইল আইডি ও তার পাসওয়ার্ড দিতে হবে। যে ই-মেইল আইডি ও পাসওয়ার্ড আপনার ল্যাপটপ বা অন্য ফোনের সঙ্গে লগইন করা আছে, সেটাই দিতে হবে।
এরপর লোকেশনের অ্যাকসেস দিলে ফোনটি কোথায় আছে, তা দেখা যাবে। এ ছাড়া ফোনের মডেল নম্বর, ব্যাটারির চার্জ কত শতাংশ আছে তা-ও দেখা যাবে। এর নিচে থাকবে প্লে সাউন্ড
ও সিকিউর ডিভাইস নমের দুটি ফিচার। ফোন থেকে আপনার কাজ এখানেই শেষ।
ল্যাপটপ থেকে যা দেখবেন
এবার আপনার ল্যাপটপ চালু করে গুগলে গিয়ে ফাইন্ড মাই ফোন লিখে খোঁজ করুন। ল্যাপটপে দেওয়া গুগল অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ফোনের গুগল অ্যাকাউন্ট সিঙ্ক করা থাকলে আপনার ফোনের লোকেশন দেখা যাবে। রিং অপশনে ক্লিক করলে আপনার ফোন বেজে উঠবে। ফোন সাইলেন্ট করা থাকলেও টানা ৫ মিনিট ধরে রিং
হতে থাকবে।
পরের অপশন রিকভার। এতে ক্লিক করা মাত্র সিকিউর ডিভাইসের অপশন চলে আসবে। এতে ক্লিক করলে মেসেজ লেখার ও আলাদা একটি ফোন নম্বর দেওয়ার সুযোগ পাবেন। পরিবারের কোনো সদস্যের ফোন নম্বর দিয়ে সিকিউর ডিভাইস অপশনে ক্লিক করা মাত্র ফোনটি লক হয়ে যাবে। ফোনের লক স্ক্রিনে ভেসে উঠবে আপনার দেওয়া নতুন নম্বরে কল করার অপশন। অর্থাৎ যিনি আপনার ফোনটি খুঁজে পাবেন, তিনি শুধু কল করতে পারবেন আপনার দেওয়া নম্বরে। ভেতরের কোনো ছবি, ভিডিও বা ডকুমেন্ট দেখতে পারবেন না কিংবা ফোনের পাসওয়ার্ড বদলাতে বা লকও খুলতে পারবেন না। আপনার ফোন আপনি ফেরত পেলে তবেই ফোনের লক খুলতে পারবেন।
শেষ অপশনটির নাম ইরেজ ডিভাইস। এটি কফিনের শেষ পেরেকের মতো। মোবাইল ফোন চুরি বা ছিনতাই হয়েছে এবং ফিরে পাওয়ার কোনো আশা নেই বুঝতে পারলে তবেই ইরেজ ডিভাইস অপশনে ক্লিক করুন। অপশনটিতে ক্লিক করে আপনার সব ডেটা মোবাইল ফোনটি থেকে মুছে ফেলা যাবে। একই সঙ্গে ফোনটির লোকেশন জানার সুযোগও চিরতরে হারিয়ে যাবে।
ল্যাপটপ ছাড়া চাইলে অন্য একটি ফোন থেকেও কাজটি করা যাবে।
লক করা অবস্থায় মোবাইল ফোন ফেরত পেলে অবশ্যই আবারও গুগলের আইডি পাসওয়ার্ড দিতে হবে। এর জন্য গুগলে গিয়ে ফাইন্ড মাই ফোন লিখে খোঁজ করুন। এতে গুগল আপনাকে অন্য একটি পেজে নিয়ে যাবে। তার ওপরে লেখা থাকবে ভ্যারিফাই দ্যাট ইটস ইউ। এরপর জিমেইলের পাসওয়ার্ড দিতে হবে। ভেরিফিকেশন কোড এলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার মোবাইল ফোনটি সিঙ্ক হয়ে যাবে।
আইএমইআই নম্বর বের করবেন যেভাবে
আপনার কাছে ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি বা আইএমইআই নম্বর না থাকলেও আপনি তা বের করতে পারবেন। আইএমইআই নম্বরটি ইউনিক হয়ে থাকে; অর্থাৎ প্রতিটি ফোনের আইএমইআই নম্বর আলাদা। এটি ১৪ বা ১৭ ডিজিটের হয়। এ নম্বরটি ফোনের প্যাকেটের গায়ে আলাদাভাবে স্টিকার দিয়ে লাগানো থাকে। এটি যদি কোথাও টুকে না রাখেন তাহলেও কোনো সমস্যা নেই। গুগলে গিয়ে ফাইন্ড মাই ডিভাইস লিখে সার্চ করলে ম্যাপ দেখা যাবে। ম্যাপে ক্লিক করলে নতুন একটি পেজ চালু হবে। তাতে ফোনের মডেল নম্বরের ঠিক পাশেই একটি আই বাটন দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করলেই ডিভাইসের আইএমইআই নম্বর দেখা যাবে।
থানায় জিডি করতে গেলে এই নম্বর প্রয়োজন হয়। এই নম্বরের সূত্র ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ফোনটি খুঁজে দিতে পারবেন।
এ ছাড়া লোকেশনের ওপরে ফোনের আইকন দেখা যাবে। তাতে ক্লিক করলে ফোনটি যে ভবনে বা যেখানে পড়ে আছে, তার ছবি গুগল ম্যাপে দেখা যাবে।
জেনে রাখুন
ধরে নেওয়া যাক, আপনি রেস্তোরাঁয় বন্ধুদের সঙ্গে খেতে গিয়েছিলেন। বাসায় আসার পর থেকে আর নিজের মোবাইল ফোনটি খুঁজে পাচ্ছেন না। সেটি সাইলেন্ট মোডে ছিল। তাই ভালো করেই বুঝতে পারছেন, অন্য নম্বর থেকে ফোন করেও লাভ নেই। ফোনটি চুরি হলে ফিরে পাওয়ার আশা একদমই নেই। কিন্তু আপনার মোবাইল ফোনটি যদি কোনো
সহৃদয় মানুষের হাতে পড়ে, তবে ১ শতাংশ হলেও সেটি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এই সম্ভাবনাকে মাথায় রেখেই আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ইনস্টল করে নিতে পারেন গুগল ফাইন্ড মাই ডিভাইস অ্যাপটি।
অ্যাপটি চালু হলে প্রথমে জিমেইল আইডি ও তার পাসওয়ার্ড দিতে হবে। যে ই-মেইল আইডি ও পাসওয়ার্ড আপনার ল্যাপটপ বা অন্য ফোনের সঙ্গে লগইন করা আছে, সেটাই দিতে হবে।
এরপর লোকেশনের অ্যাকসেস দিলে ফোনটি কোথায় আছে, তা দেখা যাবে। এ ছাড়া ফোনের মডেল নম্বর, ব্যাটারির চার্জ কত শতাংশ আছে তা-ও দেখা যাবে। এর নিচে থাকবে প্লে সাউন্ড
ও সিকিউর ডিভাইস নমের দুটি ফিচার। ফোন থেকে আপনার কাজ এখানেই শেষ।
ল্যাপটপ থেকে যা দেখবেন
এবার আপনার ল্যাপটপ চালু করে গুগলে গিয়ে ফাইন্ড মাই ফোন লিখে খোঁজ করুন। ল্যাপটপে দেওয়া গুগল অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ফোনের গুগল অ্যাকাউন্ট সিঙ্ক করা থাকলে আপনার ফোনের লোকেশন দেখা যাবে। রিং অপশনে ক্লিক করলে আপনার ফোন বেজে উঠবে। ফোন সাইলেন্ট করা থাকলেও টানা ৫ মিনিট ধরে রিং
হতে থাকবে।
পরের অপশন রিকভার। এতে ক্লিক করা মাত্র সিকিউর ডিভাইসের অপশন চলে আসবে। এতে ক্লিক করলে মেসেজ লেখার ও আলাদা একটি ফোন নম্বর দেওয়ার সুযোগ পাবেন। পরিবারের কোনো সদস্যের ফোন নম্বর দিয়ে সিকিউর ডিভাইস অপশনে ক্লিক করা মাত্র ফোনটি লক হয়ে যাবে। ফোনের লক স্ক্রিনে ভেসে উঠবে আপনার দেওয়া নতুন নম্বরে কল করার অপশন। অর্থাৎ যিনি আপনার ফোনটি খুঁজে পাবেন, তিনি শুধু কল করতে পারবেন আপনার দেওয়া নম্বরে। ভেতরের কোনো ছবি, ভিডিও বা ডকুমেন্ট দেখতে পারবেন না কিংবা ফোনের পাসওয়ার্ড বদলাতে বা লকও খুলতে পারবেন না। আপনার ফোন আপনি ফেরত পেলে তবেই ফোনের লক খুলতে পারবেন।
শেষ অপশনটির নাম ইরেজ ডিভাইস। এটি কফিনের শেষ পেরেকের মতো। মোবাইল ফোন চুরি বা ছিনতাই হয়েছে এবং ফিরে পাওয়ার কোনো আশা নেই বুঝতে পারলে তবেই ইরেজ ডিভাইস অপশনে ক্লিক করুন। অপশনটিতে ক্লিক করে আপনার সব ডেটা মোবাইল ফোনটি থেকে মুছে ফেলা যাবে। একই সঙ্গে ফোনটির লোকেশন জানার সুযোগও চিরতরে হারিয়ে যাবে।
ল্যাপটপ ছাড়া চাইলে অন্য একটি ফোন থেকেও কাজটি করা যাবে।
লক করা অবস্থায় মোবাইল ফোন ফেরত পেলে অবশ্যই আবারও গুগলের আইডি পাসওয়ার্ড দিতে হবে। এর জন্য গুগলে গিয়ে ফাইন্ড মাই ফোন লিখে খোঁজ করুন। এতে গুগল আপনাকে অন্য একটি পেজে নিয়ে যাবে। তার ওপরে লেখা থাকবে ভ্যারিফাই দ্যাট ইটস ইউ। এরপর জিমেইলের পাসওয়ার্ড দিতে হবে। ভেরিফিকেশন কোড এলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার মোবাইল ফোনটি সিঙ্ক হয়ে যাবে।
আইএমইআই নম্বর বের করবেন যেভাবে
আপনার কাছে ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি বা আইএমইআই নম্বর না থাকলেও আপনি তা বের করতে পারবেন। আইএমইআই নম্বরটি ইউনিক হয়ে থাকে; অর্থাৎ প্রতিটি ফোনের আইএমইআই নম্বর আলাদা। এটি ১৪ বা ১৭ ডিজিটের হয়। এ নম্বরটি ফোনের প্যাকেটের গায়ে আলাদাভাবে স্টিকার দিয়ে লাগানো থাকে। এটি যদি কোথাও টুকে না রাখেন তাহলেও কোনো সমস্যা নেই। গুগলে গিয়ে ফাইন্ড মাই ডিভাইস লিখে সার্চ করলে ম্যাপ দেখা যাবে। ম্যাপে ক্লিক করলে নতুন একটি পেজ চালু হবে। তাতে ফোনের মডেল নম্বরের ঠিক পাশেই একটি আই বাটন দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করলেই ডিভাইসের আইএমইআই নম্বর দেখা যাবে।
থানায় জিডি করতে গেলে এই নম্বর প্রয়োজন হয়। এই নম্বরের সূত্র ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ফোনটি খুঁজে দিতে পারবেন।
এ ছাড়া লোকেশনের ওপরে ফোনের আইকন দেখা যাবে। তাতে ক্লিক করলে ফোনটি যে ভবনে বা যেখানে পড়ে আছে, তার ছবি গুগল ম্যাপে দেখা যাবে।
জেনে রাখুন
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে