কেশবপুর প্রতিনিধি
যশোরের কেশবপুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর পাঁচটি প্রচার কার্যালয় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে চার ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের কর্মী–সমর্থকেরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ সব ঘটনায় এক চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৮ জন আহত হয়েছেন।
একই সঙ্গে এ প্রার্থীর পথসভাও পণ্ড করে দেওয়া হয়েছে। এ সময় ১০টি মোটরসাইকেল, একটি প্রচার গাড়িসহ শতাধিক চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে রাতে প্রাইভেটকারের ধাক্কা দেওয়াসহ ৮ জনকে মারধর করা হয়। আহতদের মধ্যে তিনজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের খবর ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। বর্তমানে ওই সমস্ত ইউনিয়নে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এ দিকে গৌরীঘোনায় বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মাসুদুর রহমানের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর ও কর্মীদের মারধরের প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার বিকেলে গৌরীঘোনা বাজারে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে।
জানা গেছে, নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকেরা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার সুফলাকাটি ইউপির বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম মুনজুর রহমানের কলাগাছি বাজারের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়, গৌরীঘোনায় বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মাসুদুর রহমানের গৌরীঘোনা বাজারের চশমা প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় ও ভরতভায়না বাজারের কার্যালয় এবং বিদ্যানন্দকাটি ইউপির বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আমজাদ হোসেনের আনারস প্রতীকের ভান্ডারখোলা ও পরচক্রা বাজারের দুটি নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া ওই দিন বিকেলে উপজেলার মঙ্গলকোট গরুহাটা এলাকায় এক পথসভার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন। এ সময় ওই পথ দিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল কাদের বিশ্বাসের কর্মীরা মিছিল সহকারে যাওয়ার সময় দুই পক্ষের কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
সুফলাকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান এস এম মুনজুর রহমান বলেন, ‘রাতে আমার কলাগাছি বাজারের প্রধান নির্বাচন কার্যালয় ভাঙচুর করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এলে প্রাইভেটকার দিয়ে ধাক্কা মেরে আমাকে আহত করা হয়। এ সময় আমার দুই কর্মী নাইম হোসেন ও জোবান হোসেনকে মারধর করা হয়। এ ছাড়া একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।’
গৌরীঘোনা ইউনিয়নের চশমা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাসুদুর রহমান বলেন, ‘নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকেরা আমার গৌরীঘোনা বাজারের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়সহ ছয়টি মোটরসাইকেল, একটি প্রচার গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এ সময় অলিদ মোড়ল নামে এক কর্মীকে মারধর করা হয়।’
বিদ্যানন্দকাটি ইউপির আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আমার ভান্ডারখোলা ও পরচক্রা বাজারের দুটি নির্বাচনী কার্যালয় নৌকা প্রতীকের কর্মীরা ভাঙচুর করাসহ কর্মীদের হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে।’
মঙ্গলকোট ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোয়ার হোসেনের ছেলে খালিদ হোসেন বলেন, ‘মঙ্গলকোট গরুহাটা এলাকায় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে পথসভার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় নৌকার কর্মীরা মিছিল সহকারে এসে হামলা চালান। এ ঘটনায় আমাদের আনারস প্রতীকের কর্মী কন্দর্পপুর গ্রামের আমজানুর রহমান, সোহেল রানা, রাশেদ সানা ও রফিকুল ইসলাম আহত হন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।’
এসব চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘটনা উল্লেখ করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করবেন বলে জানান।
তবে এসব ইউপির নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা হামলা, ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, নৌকা প্রতীকের কোনো কর্মী-সমর্থক এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত নেই।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা বজলুর রশীদ বলেন, ‘প্রার্থীদের কাছ থেকে খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়।’
কেশবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
যশোরের কেশবপুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর পাঁচটি প্রচার কার্যালয় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে চার ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের কর্মী–সমর্থকেরা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ সব ঘটনায় এক চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৮ জন আহত হয়েছেন।
একই সঙ্গে এ প্রার্থীর পথসভাও পণ্ড করে দেওয়া হয়েছে। এ সময় ১০টি মোটরসাইকেল, একটি প্রচার গাড়িসহ শতাধিক চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে রাতে প্রাইভেটকারের ধাক্কা দেওয়াসহ ৮ জনকে মারধর করা হয়। আহতদের মধ্যে তিনজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের খবর ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। বর্তমানে ওই সমস্ত ইউনিয়নে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এ দিকে গৌরীঘোনায় বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মাসুদুর রহমানের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর ও কর্মীদের মারধরের প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার বিকেলে গৌরীঘোনা বাজারে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে।
জানা গেছে, নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকেরা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার সুফলাকাটি ইউপির বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম মুনজুর রহমানের কলাগাছি বাজারের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়, গৌরীঘোনায় বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মাসুদুর রহমানের গৌরীঘোনা বাজারের চশমা প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় ও ভরতভায়না বাজারের কার্যালয় এবং বিদ্যানন্দকাটি ইউপির বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আমজাদ হোসেনের আনারস প্রতীকের ভান্ডারখোলা ও পরচক্রা বাজারের দুটি নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া ওই দিন বিকেলে উপজেলার মঙ্গলকোট গরুহাটা এলাকায় এক পথসভার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন। এ সময় ওই পথ দিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল কাদের বিশ্বাসের কর্মীরা মিছিল সহকারে যাওয়ার সময় দুই পক্ষের কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
সুফলাকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান এস এম মুনজুর রহমান বলেন, ‘রাতে আমার কলাগাছি বাজারের প্রধান নির্বাচন কার্যালয় ভাঙচুর করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এলে প্রাইভেটকার দিয়ে ধাক্কা মেরে আমাকে আহত করা হয়। এ সময় আমার দুই কর্মী নাইম হোসেন ও জোবান হোসেনকে মারধর করা হয়। এ ছাড়া একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।’
গৌরীঘোনা ইউনিয়নের চশমা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাসুদুর রহমান বলেন, ‘নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকেরা আমার গৌরীঘোনা বাজারের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়সহ ছয়টি মোটরসাইকেল, একটি প্রচার গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এ সময় অলিদ মোড়ল নামে এক কর্মীকে মারধর করা হয়।’
বিদ্যানন্দকাটি ইউপির আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আমার ভান্ডারখোলা ও পরচক্রা বাজারের দুটি নির্বাচনী কার্যালয় নৌকা প্রতীকের কর্মীরা ভাঙচুর করাসহ কর্মীদের হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে।’
মঙ্গলকোট ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোয়ার হোসেনের ছেলে খালিদ হোসেন বলেন, ‘মঙ্গলকোট গরুহাটা এলাকায় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে পথসভার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় নৌকার কর্মীরা মিছিল সহকারে এসে হামলা চালান। এ ঘটনায় আমাদের আনারস প্রতীকের কর্মী কন্দর্পপুর গ্রামের আমজানুর রহমান, সোহেল রানা, রাশেদ সানা ও রফিকুল ইসলাম আহত হন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।’
এসব চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘটনা উল্লেখ করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করবেন বলে জানান।
তবে এসব ইউপির নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা হামলা, ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, নৌকা প্রতীকের কোনো কর্মী-সমর্থক এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত নেই।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা বজলুর রশীদ বলেন, ‘প্রার্থীদের কাছ থেকে খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়।’
কেশবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে