তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ঘোষিত ফল বাতিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ওই ইউপির একটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বাতিল করে কেন্দ্রটিতে পুনরায় ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

গত বুধবার কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত জানায় নির্বাচন কমিশন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম রাকিব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চিঠিতে জানানো হয়েছে, গত ২৮ নভেম্বর যাত্রাপুর ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ঝুনকারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভগবতীপুর ভোটকেন্দ্রের নির্বাচন বাতিলপূর্বক ওই কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও ওই ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তাকে চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।

ঘোষিত ফল অনুযায়ী যাত্রাপুর ইউপির চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আনারস প্রতীকে বিদ্রোহী প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল গফুর। তিনি পেয়েছেন চার হাজার ২৩৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদ্য ইস্তফা দেওয়া সাধারণ সম্পাদক শাহজামাল সরকার মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন চার হাজার ১৮৮ ভোট। আর আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. সাখাওয়াত হোসেন নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন মাত্র ৫২৩ ভোট।

জানতে চাইলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম রাকিব বলেন, ‘যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে ঘোষিত ফল বাতিল করা হয়েছে। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ঝুনকারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণ করা হবে। অন্যান্য কেন্দ্রে পূর্ব ঘোষিত ফল বহাল থাকবে।’

নির্বাচন কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘পুনর্নির্বাচনের তারিখ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। কমিশনের সঙ্গে পরামর্শ করে শিগগির ওই কেন্দ্রে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।’

গত ২৮ নভেম্বর ইউপিতে ভোটগ্রহণ শেষে ইউপির চর ভগবতীপুর এলাকার ঝুনকারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে ওই কেন্দ্র থেকে সিল দেওয়া ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী সামগ্রী ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই ইউপির ফল ঘোষণা স্থগিত রাখে নির্বাচন কর্তৃপক্ষ। নির্বাচনের চার দিন পর গত ২ ডিসেম্বর ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।