ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ঈদের আগে ময়মনসিংহ নগরীর বাণিজ্যিক এলাকা গাঙ্গিনারপাড়ের ফুটপাতে আট দিনের জন্য দোকান বসিয়ে ব্যবসা করতে চান দুই শতাধিক হকার। তবে নগরীকে যানজটমুক্ত রাখতে হকারদের বসতে দিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন। পাশাপাশি হকারদের ফুটপাত দখলের আশঙ্কায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। প্রশাসনের এমন কঠোর অবস্থানকে স্বাগত জানিয়ে হকারদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থার কথা বলছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কোতোয়ালি মডেল থানা কার্যালয়ে গিয়ে ফুটপাতে বসে ব্যবসা চালানোর জন্য আবেদন জানান উচ্ছেদ হওয়া দুই শতাধিক হকার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীকে যানজটমুক্ত করতে প্রায় পাঁচ মাস আগে হকারদের উচ্ছেদ করে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক)। এরপর থেকে দুই শতাধিক হকার বেকার দিন যাপন করছেন। তাঁরা ঈদের আগে নিজেদের পরিবারের কথা চিন্তা করে কয়েক দিন নগরীর গাঙ্গিনারপাড় এলাকার ফুটপাতে ব্যবসা করার সুযোগ চান। এ জন্য ঘুরছেন স্থানীয় প্রশাসন ও নেতা-কর্মীদের কাছে। তাতে সাড়া মিলছে না কোথাও। হকারদের সিটি করপোরেশন মালগুদাম এলাকায় জায়গা দিলেও তাঁরা বসেননি। তবে তাঁদের অনেককে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়।
এ বিষয়ে হকার রাসেল মিয়া বলেন, ‘শহরে যানজট দেখা দেওয়ার কারণে পাঁচ মাস আগে আমাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। এরপর আমরা কীভাবে বেঁচে আছি, কেউ খোঁজ নেয়নি। ঈদের আগে যেন আমরা কয়েক দিন ব্যবসা করতে পারি। সে জন্য বিভিন্নজনের কাছে যাচ্ছি। কিন্তু সাড়া পাচ্ছি না।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের চাওয়া একটাই—ঈদটা যেন পরিবার নিয়ে মোটামুটিভাবে কাটাতে পারি।’
হকার শরিফ আহম্মেদ বলেন, ‘পাঁচ মাস ধরে বেকার। আমাদেরও পরিবার আছে। তাদের নিয়ে ঈদ করতে হবে। পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। ঈদেও যদি ব্যবসা করতে না পারি, তাহলে আমরা কোথায় যাব, কী করব। তাই ঈদ সামনে রেখে কয়েকটা দিন ব্যবসা করার সুযোগ চাচ্ছি।’
হকার উৎপল দাস বলেন, ‘আমাদের বাপ-দাদারা গাঙ্গিনারপাড় ফুটপাতে ব্যবসা করেছে। সেই সুবাদে আমিও ব্যবসা করছি। ছোটকাল থেকে এই ব্যবসা ছাড়া আর কিছু শিখিনি। হঠাৎ করে আমাদের উচ্ছেদ করে দেওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছি।’ তিনি আরও বলেন, কয়েকটা মাস ধরে সংসার চালাতে খুব সমস্যা হচ্ছে। আমাদের কষ্টগুলো আসলে বোঝার মতো কেউ নেই। ঈদের আগে কয়েকটা দিন আমাদের সুযোগ দিলে ব্যবসা করে বাচ্চাদের কিছু অন্তত কিনে দিতে পারব।’
ফুটপাত থেকে দোকান উচ্ছেদকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই অবস্থা বজায় রাখতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
সানকিপাড়া এলাকার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ছুটির দিনে মার্কেটে এসেছি কেনাকাটা করতে। তবে সামনে অনেক হকার বসেছে। ছুটির দিন তাই কোনো সমস্যা হয়নি। এমনিতে হকার না থাকায় সকলে স্বচ্ছন্দে কেনাকাটা করে বাড়ি ফিরতে পারি। যানজট অনেকটাই কমে গেছে। আমরা চাই এই অবস্থা বলবৎ থাকুক।’
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, নগরীকে যানজটমুক্ত করতেই হকার উচ্ছেদ করা হয়েছে। তাদের আবারও বসতে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তারা আবার বসলে উঠতে চাইবে না। এ নিয়ে আবার শুরু হবে বিতর্ক। পরে নগরীতে যানজট আরও বেড়ে যাবে। ঈদ ঘিরে এমনিতেই যানজট বেড়েছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ময়মনসিংহ মহানগরের সম্পাদক আলী ইউসুফ বলেন, মানবিকতা দেখিয়ে আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রশাসন যদি হকারদের বসতে দেয়, তাহলে তাঁদের ওঠানো একটু কঠিন হয়ে যাবে। একসময় গাঙ্গিনারপাড় হকার ছিল না। মানবিক কারণে প্রশাসন তাদের বসতে দিলে পরে তারা আর উঠতে চায়নি। তবে তাদের স্থায়ীভাবে পুনর্বাসন করা হোক।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী বলেন, ‘হকাররা নগরীর গাঙ্গিনারপাড়ে ব্যবসা করতে চায়। এমন কোনো বিষয় আমার জানা নেই কিংবা কেউ কোনো আবেদনও করেননি। তবে হকারদের মালগুদাম বসার জন্য বলা হয়েছে। সেখানে তারা বসেনি। তারপরেও মেয়রের পক্ষ থেকে হকারদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে। বেশ কয়েকজনকে মেছুয়া বাজারে বসার সুযোগ করে দিয়েছেন।
ঈদের আগে ময়মনসিংহ নগরীর বাণিজ্যিক এলাকা গাঙ্গিনারপাড়ের ফুটপাতে আট দিনের জন্য দোকান বসিয়ে ব্যবসা করতে চান দুই শতাধিক হকার। তবে নগরীকে যানজটমুক্ত রাখতে হকারদের বসতে দিচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন। পাশাপাশি হকারদের ফুটপাত দখলের আশঙ্কায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। প্রশাসনের এমন কঠোর অবস্থানকে স্বাগত জানিয়ে হকারদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থার কথা বলছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কোতোয়ালি মডেল থানা কার্যালয়ে গিয়ে ফুটপাতে বসে ব্যবসা চালানোর জন্য আবেদন জানান উচ্ছেদ হওয়া দুই শতাধিক হকার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীকে যানজটমুক্ত করতে প্রায় পাঁচ মাস আগে হকারদের উচ্ছেদ করে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক)। এরপর থেকে দুই শতাধিক হকার বেকার দিন যাপন করছেন। তাঁরা ঈদের আগে নিজেদের পরিবারের কথা চিন্তা করে কয়েক দিন নগরীর গাঙ্গিনারপাড় এলাকার ফুটপাতে ব্যবসা করার সুযোগ চান। এ জন্য ঘুরছেন স্থানীয় প্রশাসন ও নেতা-কর্মীদের কাছে। তাতে সাড়া মিলছে না কোথাও। হকারদের সিটি করপোরেশন মালগুদাম এলাকায় জায়গা দিলেও তাঁরা বসেননি। তবে তাঁদের অনেককে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়।
এ বিষয়ে হকার রাসেল মিয়া বলেন, ‘শহরে যানজট দেখা দেওয়ার কারণে পাঁচ মাস আগে আমাদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। এরপর আমরা কীভাবে বেঁচে আছি, কেউ খোঁজ নেয়নি। ঈদের আগে যেন আমরা কয়েক দিন ব্যবসা করতে পারি। সে জন্য বিভিন্নজনের কাছে যাচ্ছি। কিন্তু সাড়া পাচ্ছি না।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের চাওয়া একটাই—ঈদটা যেন পরিবার নিয়ে মোটামুটিভাবে কাটাতে পারি।’
হকার শরিফ আহম্মেদ বলেন, ‘পাঁচ মাস ধরে বেকার। আমাদেরও পরিবার আছে। তাদের নিয়ে ঈদ করতে হবে। পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। ঈদেও যদি ব্যবসা করতে না পারি, তাহলে আমরা কোথায় যাব, কী করব। তাই ঈদ সামনে রেখে কয়েকটা দিন ব্যবসা করার সুযোগ চাচ্ছি।’
হকার উৎপল দাস বলেন, ‘আমাদের বাপ-দাদারা গাঙ্গিনারপাড় ফুটপাতে ব্যবসা করেছে। সেই সুবাদে আমিও ব্যবসা করছি। ছোটকাল থেকে এই ব্যবসা ছাড়া আর কিছু শিখিনি। হঠাৎ করে আমাদের উচ্ছেদ করে দেওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছি।’ তিনি আরও বলেন, কয়েকটা মাস ধরে সংসার চালাতে খুব সমস্যা হচ্ছে। আমাদের কষ্টগুলো আসলে বোঝার মতো কেউ নেই। ঈদের আগে কয়েকটা দিন আমাদের সুযোগ দিলে ব্যবসা করে বাচ্চাদের কিছু অন্তত কিনে দিতে পারব।’
ফুটপাত থেকে দোকান উচ্ছেদকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই অবস্থা বজায় রাখতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
সানকিপাড়া এলাকার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ছুটির দিনে মার্কেটে এসেছি কেনাকাটা করতে। তবে সামনে অনেক হকার বসেছে। ছুটির দিন তাই কোনো সমস্যা হয়নি। এমনিতে হকার না থাকায় সকলে স্বচ্ছন্দে কেনাকাটা করে বাড়ি ফিরতে পারি। যানজট অনেকটাই কমে গেছে। আমরা চাই এই অবস্থা বলবৎ থাকুক।’
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, নগরীকে যানজটমুক্ত করতেই হকার উচ্ছেদ করা হয়েছে। তাদের আবারও বসতে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তারা আবার বসলে উঠতে চাইবে না। এ নিয়ে আবার শুরু হবে বিতর্ক। পরে নগরীতে যানজট আরও বেড়ে যাবে। ঈদ ঘিরে এমনিতেই যানজট বেড়েছে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ময়মনসিংহ মহানগরের সম্পাদক আলী ইউসুফ বলেন, মানবিকতা দেখিয়ে আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রশাসন যদি হকারদের বসতে দেয়, তাহলে তাঁদের ওঠানো একটু কঠিন হয়ে যাবে। একসময় গাঙ্গিনারপাড় হকার ছিল না। মানবিক কারণে প্রশাসন তাদের বসতে দিলে পরে তারা আর উঠতে চায়নি। তবে তাদের স্থায়ীভাবে পুনর্বাসন করা হোক।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী বলেন, ‘হকাররা নগরীর গাঙ্গিনারপাড়ে ব্যবসা করতে চায়। এমন কোনো বিষয় আমার জানা নেই কিংবা কেউ কোনো আবেদনও করেননি। তবে হকারদের মালগুদাম বসার জন্য বলা হয়েছে। সেখানে তারা বসেনি। তারপরেও মেয়রের পক্ষ থেকে হকারদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে। বেশ কয়েকজনকে মেছুয়া বাজারে বসার সুযোগ করে দিয়েছেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে