টিসিবির পণ্য কিনতে উপচে পড়া ভিড় নীলফামারীর বিভিন্ন ডিলার পয়েন্টে। ক্রেতার ভিড়ের কারণে গা-ঘেঁষাঘেঁষি এবং আগে কেনার প্রতিযোগিতায় হযবরল অবস্থা। ফলে বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে এসব স্থানে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জেলার সৈয়দপুর শহরের গির্জা মোড়ে দেখা গেছে বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের উপচে পড়া ভিড়। মুষলধারে বৃষ্টি উপেক্ষা করে শত শত মানুষ এসেছে টিসিবি পণ্য কিনতে। মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। সারিবদ্ধ না হওয়ায় কে আগে পাবে পণ্য তা নিয়ে চলছে ক্রেতাদের মধ্যে হট্টগোল।

শহরের হানিফ মোড়ের সুলতানা বেগম জানান, স্বামী রিকশা নিয়ে বেড়িয়ে গেছেন। তাঁর আয়ে ৬ জনের পরিবারের জন্য চাহিদা মতো চাল-আটা কিনতে পারি না। তাই এখান থেকে চাল-আটা কিনি। মাঝেমধ্যে ভিড়ের কারণে ডিলারের কাছে পৌঁছাতে পারি না। সেদিন খালি হাতে বাসায় ফিরে যাই। ভিড়ের কারণে পণ্য না পাওয়ার এমন অভিযোগ স্টেশন এলাকার বৃদ্ধ আনোয়ার হোসেনের।

টিসিবি ডিলার মো. আলতাফ হোসেন জানান, শহরে টিসিবির ৬ জন ডিলার রয়েছে। শুক্রবার বাদে প্রতিদিন ৪টি পয়েন্টে এসব ডিলার চাল ও আটা বিক্রয় করেন। প্রতিজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল ও ৫ কেজি আটা ক্রয় করতে পারবেন।

স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে এ কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ক্রেতাদের বারবার সচেতন করা হলেও তারা মানছেন না। এ দৃশ্য দেখে কিছু সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তি উদ্যোগে ক্রেতাদের মাস্ক সরবরাহ করেছে। তিনি আরও জানান, ক্রেতার সংখ্যা বেশি হওয়ায় প্রতিদিন প্রচুর ভিড় হয়। মাঝে মধ্যে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে ভিড় সামলাতে হয়।

সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আলেমুর বাশার জানান, ডিলার পয়েন্টগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি যেন উপেক্ষিত না হয় সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি ডিলারদের সচেতন থাকতে হবে। স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগও বিষয়টি নজরদারি করবে।

নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আজাহারুল ইসলাম জানান, জেলায় টিসিবি পণ্য বিক্রয়ের জন্য ২৭ জন ডিলার রয়েছে। কিন্তু নিয়মিত মালামাল উত্তোলন করেন ১৬ জন।

তিনি বলেন, ডিলার পয়েন্টে ক্রেতা-বিক্রেতাদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেওয়া রয়েছে।