রানা আব্বাস, অ্যাডিলেড থেকে
সাকিব আল হাসানের সংবাদ সম্মেলন শেষে অপেক্ষায় থাকা বাংলাদেশি সাংবাদিকদের ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে অনুরোধের সুরে বললেন, ‘আপনারা প্লিজ নেতিবাচক কিছু লিখবেন না। বাংলাদেশ দুর্দান্ত খেলেছে। ম্যাচে জয়-পরাজয় থাকেই। কিন্তু আজ (গতকাল) ওরা অসাধারণ খেলেছে। নেতিবাচক কিছু নয়, ওদের প্রশংসা করুন।’
ভোগলের মতো গতকাল অ্যাডিলেড ওভালে উপস্থিত বেশির ভাগ ভারতীয়ই মুগ্ধ হয় বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে। বৃষ্টিবিরতির সময় খেলা ফের মাঠে গড়ানো নিয়ে যখন ঘোর অনিশ্চয়তা, তখন আজকের পত্রিকার ফেসবুক লাইভে যে কজন ভারতীয় দর্শক কথা বলেছেন, সবারই অনুমান ছিল, বাংলাদেশই জিততে যাচ্ছে। এমন অনুমানের যৌক্তিক কারণ ছিল। ৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৬। লিটন দাস ছুটছেন দুরন্ত গতিতে, ফিফটি তুলে নিয়েছেন ২১ বলে। বৃষ্টিতে যদি আর খেলা না হতো, ম্যাচটা বাংলাদেশ তখন বৃষ্টি আইনে জিতে যায় ১৭ রানে। ম্যাচের সম্ভাব্য ফল দেখে অনেক ভারতীয় সমর্থক স্টেডিয়াম ছেড়ে যাচ্ছিলেন বৃষ্টিবিরতিতেই।
অ্যাডিলেডে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচটা আসলে ওই খ্রিষ্টাব্দের আগে ও পরের মতোই বিষয়। বৃষ্টির আগে ম্যাচের রং ছিল এক রকম। বৃষ্টির পর আরেক রকম। বৃষ্টিতে ৫২ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার আগে যে ৭ ওভার ব্যাটিং করেছিল বাংলাদেশ, তখন স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের শহরে ব্যাটকে তুলি বানিয়ে ছবি আঁকছিলেন লিটন নামের এক শিল্পী। নিজের দলের সমর্থন ভুলে খোদ ভারতীয়রা মুগ্ধ চোখে দেখছিলেন তাঁর ব্যাটিং। ভারতের দেওয়া ১৮৫ রানের লক্ষ্যটাও তখন মনে হয়েছে কঠিন কিছু নয়, লিটন এভাবে এগোতে থাকলে জয়ের প্রান্তে বাংলাদেশের চলে আসাটা সময়ের ব্যাপার মাত্র।
এ সময়ই আততায়ীর মতো বৃষ্টি এল। দমকা হাওয়ায় সে বৃষ্টি চলেও গেল। বাংলাদেশের নতুন লক্ষ্য দাঁড়াল ১৬ ওভারে ১৫১ রান। অর্থাৎ ৫৪ বলে করতে হবে ৮৫ রান। সমীকরণ আগের মতোই কঠিন। পার্থক্য হচ্ছে, বৃষ্টির আগে বাংলাদেশ একটা ছন্দ পেয়ে গিয়েছিল। বৃষ্টিবিরতিতে সেটি ছেদ পড়ল। পুরোপুরি শুকানোর আগেই খেলতে নামায় লিটন পিছলে পড়লেন দুবার। আর এতেই ডিপ মিড উইকেট থেকে লোকেশ রাহুলের দুর্দান্ত থ্রোয়ে রানআউট হয়ে গেলেন বাংলাদেশ ওপেনার। অনেক দিন পর ওপেনিংয়ে ফেরা লিটন ২৭ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলে বোঝালেন, এটিই তাঁর উপযুক্ত ব্যাটিং পজিশন।
লিটনের রানআউটই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। ৭.২ ওভারে বিনা উইকেট ৬৮ থেকে ১২.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ১০৮—৩৩ বলে ৩৪ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও পরাজয়ের দিকে এগোতে থাকল বাংলাদেশ। এ সময়ে একটু টুইস্ট, অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেট জুটিতে নুরুল হাসান সোহান আর তাসকিন আহমেদ স্বপ্ন দেখাতে শুরু করলেন জয়ের। ১৮ বলে ৪৩ রানের সমীকরণ মিলিয়ে ফেলার আশা জাগালেন। শেষ ৬ বলে দরকার ছিল ২০ রান। বাংলাদেশ তুলতে পারল ১৪ রান। আবারও সেই তীরে এসে তরি ডোবার গল্প লিখলেন সাকিবেরা। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বেঙ্গালুরুতে ভারতের কাছে হারটা ছিল ১ রানের। গতকাল অ্যাডিলেডের হার ৫ রানের।
বৃষ্টি যে একটা ফ্যাকরা বাধাবে, ম্যাচের আগেই আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছিল। এমন আবহাওয়া-পরিবেশে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের টস জিতে বোলিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিকই বলতে হবে। দলে চার পেসার নিয়ে শুরুতেই প্রতিপক্ষের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে পরীক্ষা নেওয়ার এই কৌশল প্রশংসনীয়। বড় ম্যাচ না খেলার অনভিজ্ঞতা থেকে তরুণ দুই পেসার হাসান মাহমুদ আর শরীফুল ইসলাম দেদার রান বিলালেও তাসকিন আহমেদ ছিলেন দুর্দান্ত। মোস্তাফিজুর রহমান, সাকিব আল হাসানের মতো অভিজ্ঞরাও খারাপ করেননি। লোকেশ রাহুলের ৫০ আর বিরাট কোহলির অপরাজিত ৬৪ রানে ভারত দাঁড় করাল ৬ উইকেটে ১৮৪ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর।
এ স্কোরটাই ‘মামুলি’ দেখাচ্ছিল লিটনের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে। এরপর বৃষ্টি, খেলা বন্ধ আর শেষ দিকে বাংলাদেশ শ্বাসরুদ্ধকর কিছু মুহূর্তের পর হৃদয় পোড়ানো এক হার দেখল বাংলাদেশ। আরেকটি যন্ত্রণার হারে বৃষ্টির পানি যেন দর্শকদের চোখে নেমে এল। অ্যাডিলেডের গ্যালারিতে বাবা ও তাঁর শিশুকন্যা কাঁদছে, ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যাওয়া এ দৃশ্য গতকাল কাঁদাল আরও কত যে দর্শককে।
সাকিব আল হাসানের সংবাদ সম্মেলন শেষে অপেক্ষায় থাকা বাংলাদেশি সাংবাদিকদের ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে অনুরোধের সুরে বললেন, ‘আপনারা প্লিজ নেতিবাচক কিছু লিখবেন না। বাংলাদেশ দুর্দান্ত খেলেছে। ম্যাচে জয়-পরাজয় থাকেই। কিন্তু আজ (গতকাল) ওরা অসাধারণ খেলেছে। নেতিবাচক কিছু নয়, ওদের প্রশংসা করুন।’
ভোগলের মতো গতকাল অ্যাডিলেড ওভালে উপস্থিত বেশির ভাগ ভারতীয়ই মুগ্ধ হয় বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে। বৃষ্টিবিরতির সময় খেলা ফের মাঠে গড়ানো নিয়ে যখন ঘোর অনিশ্চয়তা, তখন আজকের পত্রিকার ফেসবুক লাইভে যে কজন ভারতীয় দর্শক কথা বলেছেন, সবারই অনুমান ছিল, বাংলাদেশই জিততে যাচ্ছে। এমন অনুমানের যৌক্তিক কারণ ছিল। ৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৬। লিটন দাস ছুটছেন দুরন্ত গতিতে, ফিফটি তুলে নিয়েছেন ২১ বলে। বৃষ্টিতে যদি আর খেলা না হতো, ম্যাচটা বাংলাদেশ তখন বৃষ্টি আইনে জিতে যায় ১৭ রানে। ম্যাচের সম্ভাব্য ফল দেখে অনেক ভারতীয় সমর্থক স্টেডিয়াম ছেড়ে যাচ্ছিলেন বৃষ্টিবিরতিতেই।
অ্যাডিলেডে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচটা আসলে ওই খ্রিষ্টাব্দের আগে ও পরের মতোই বিষয়। বৃষ্টির আগে ম্যাচের রং ছিল এক রকম। বৃষ্টির পর আরেক রকম। বৃষ্টিতে ৫২ মিনিট খেলা বন্ধ থাকার আগে যে ৭ ওভার ব্যাটিং করেছিল বাংলাদেশ, তখন স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের শহরে ব্যাটকে তুলি বানিয়ে ছবি আঁকছিলেন লিটন নামের এক শিল্পী। নিজের দলের সমর্থন ভুলে খোদ ভারতীয়রা মুগ্ধ চোখে দেখছিলেন তাঁর ব্যাটিং। ভারতের দেওয়া ১৮৫ রানের লক্ষ্যটাও তখন মনে হয়েছে কঠিন কিছু নয়, লিটন এভাবে এগোতে থাকলে জয়ের প্রান্তে বাংলাদেশের চলে আসাটা সময়ের ব্যাপার মাত্র।
এ সময়ই আততায়ীর মতো বৃষ্টি এল। দমকা হাওয়ায় সে বৃষ্টি চলেও গেল। বাংলাদেশের নতুন লক্ষ্য দাঁড়াল ১৬ ওভারে ১৫১ রান। অর্থাৎ ৫৪ বলে করতে হবে ৮৫ রান। সমীকরণ আগের মতোই কঠিন। পার্থক্য হচ্ছে, বৃষ্টির আগে বাংলাদেশ একটা ছন্দ পেয়ে গিয়েছিল। বৃষ্টিবিরতিতে সেটি ছেদ পড়ল। পুরোপুরি শুকানোর আগেই খেলতে নামায় লিটন পিছলে পড়লেন দুবার। আর এতেই ডিপ মিড উইকেট থেকে লোকেশ রাহুলের দুর্দান্ত থ্রোয়ে রানআউট হয়ে গেলেন বাংলাদেশ ওপেনার। অনেক দিন পর ওপেনিংয়ে ফেরা লিটন ২৭ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলে বোঝালেন, এটিই তাঁর উপযুক্ত ব্যাটিং পজিশন।
লিটনের রানআউটই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। ৭.২ ওভারে বিনা উইকেট ৬৮ থেকে ১২.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ১০৮—৩৩ বলে ৩৪ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও পরাজয়ের দিকে এগোতে থাকল বাংলাদেশ। এ সময়ে একটু টুইস্ট, অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেট জুটিতে নুরুল হাসান সোহান আর তাসকিন আহমেদ স্বপ্ন দেখাতে শুরু করলেন জয়ের। ১৮ বলে ৪৩ রানের সমীকরণ মিলিয়ে ফেলার আশা জাগালেন। শেষ ৬ বলে দরকার ছিল ২০ রান। বাংলাদেশ তুলতে পারল ১৪ রান। আবারও সেই তীরে এসে তরি ডোবার গল্প লিখলেন সাকিবেরা। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বেঙ্গালুরুতে ভারতের কাছে হারটা ছিল ১ রানের। গতকাল অ্যাডিলেডের হার ৫ রানের।
বৃষ্টি যে একটা ফ্যাকরা বাধাবে, ম্যাচের আগেই আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছিল। এমন আবহাওয়া-পরিবেশে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের টস জিতে বোলিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিকই বলতে হবে। দলে চার পেসার নিয়ে শুরুতেই প্রতিপক্ষের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে পরীক্ষা নেওয়ার এই কৌশল প্রশংসনীয়। বড় ম্যাচ না খেলার অনভিজ্ঞতা থেকে তরুণ দুই পেসার হাসান মাহমুদ আর শরীফুল ইসলাম দেদার রান বিলালেও তাসকিন আহমেদ ছিলেন দুর্দান্ত। মোস্তাফিজুর রহমান, সাকিব আল হাসানের মতো অভিজ্ঞরাও খারাপ করেননি। লোকেশ রাহুলের ৫০ আর বিরাট কোহলির অপরাজিত ৬৪ রানে ভারত দাঁড় করাল ৬ উইকেটে ১৮৪ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর।
এ স্কোরটাই ‘মামুলি’ দেখাচ্ছিল লিটনের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে। এরপর বৃষ্টি, খেলা বন্ধ আর শেষ দিকে বাংলাদেশ শ্বাসরুদ্ধকর কিছু মুহূর্তের পর হৃদয় পোড়ানো এক হার দেখল বাংলাদেশ। আরেকটি যন্ত্রণার হারে বৃষ্টির পানি যেন দর্শকদের চোখে নেমে এল। অ্যাডিলেডের গ্যালারিতে বাবা ও তাঁর শিশুকন্যা কাঁদছে, ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যাওয়া এ দৃশ্য গতকাল কাঁদাল আরও কত যে দর্শককে।
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
৮ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১১ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে